হামাসের সুড়ঙ্গ ভেসে যাবে ভূমধ্যসাগরের জলে ? ইহুদী ভূমির লুকনো হাতিয়ার, ছিটকে যাবে গাজা

।। প্রথম কলকাতা ।।

হামাসের সুড়ঙ্গ ফাটিয়ে হুহু করে ঢুকবে সাগরের জল? ইহুদী ভূমির “গ্রাউন্ড অপারেশন” হামাসের জীবনকে কিভাবে নরক করে দেবে “গাজা মেট্রো”র দফারফায় ইজরায়েলের সাঙ্ঘাতিক ছক। তাহলে কী গাজার মাটির তলা দিয়ে বইবে ভূমধ্যসাগর? প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী গোড়া থেকে নির্মূল হবে? একটু একটু করে গোটা দুনিয়া থেকে ছিটকে যাচ্ছে গাজা। সাগরের জলেই লুকিয়ে ইজরায়েলের খতরনাক হাতিয়ার, দেখিয়ে দেবে উৎখাত কাকে বলে। ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে প্যালেস্টাইন জঙ্গি গোষ্ঠী। হামাস? হামাসের আস্তানা, সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের হাল বেহাল করতে ইজরায়েলের নতুন প্ল্যান। লিমিটেড গ্রাউন্ড রেড কতটা মারাত্মক হতে পারে দেখবে গোটা দুনিয়া। ভরসা ভূমধ্যসাগর।

গাজ়া ভূখণ্ডে সুড়ঙ্গের ডেরা থেকে হামাস যোদ্ধাদের উৎখাত করতে ভূমধ্যসাগর থেকে বিপুল পরিমাণ জল ঢুকিয়ে সুড়ঙ্গে আত্মগোপনকারী হামাস বাহিনীকে বাইরে আনার নকশা অলরেডি তৈরি করে ফেলেছে ইসরাইল। জানেন এই জল ভরো অভিযান কতটা চ্যালেঞ্জিং হামাসের জন্য? প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ গাজ়া উপকূলের একাংশ ইজ়রায়েল নেভির দখলে রয়েছে। সেখান থেকেই শুরু হতে পারে এই ‘জল ভরো’ অভিযান। টানা ২০ দিন ধরে বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চললেও এখনও গাজ়ায় পুরোদস্তুর ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ শুরু করেনি ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। হ্যাঁ মানে যা দেখছেন শুনছেন, এটা শুধুই ট্রেলার। লেটেস্ট আপডেটটা জানুন, কয়েকটা সুড়ঙ্গের মুখের কাছে পৌঁছে গিয়েছে ইসরাইলের আইডিএফ। তাহলে এবারেই কী শুরু হবে হামাস নিকেশ অপারেশন? হামাস কী সবটা চুপচাপ দেখবে? ইসরাইলকে ঠেকাতে আইডিএফ এর উপর ‘সম্পূর্ণ শক্তি’ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। থামতে নারাজ ইসরাইল ও। হামাসকে ঠেকাতে গাজ়া ভূখণ্ডে আরও ফোর্স বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনীও। টার্গেট একটাই, পণবন্দীদের উদ্ধার।

বার বার তেল আভিভ হামাসের হাতে পণবন্দিদের উদ্ধারের জন্য গ্রাউন্ড রেড অপারেশনের কথা বললেও তাদের সামনে ‘মূর্তিমান আতঙ্ক’ হয়ে দাঁড়াচ্ছে গাজ়ায় হামাসের বানানো সুড়ঙ্গ-নেটওয়ার্ক। একাধিক স্তরে বিন্যস্ত প্রায় ৫০০ কিলোমিটারের এই সুড়ঙ্গপথ ব্যবহার করেই ইসরাইল ফৌজের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত চালাচ্ছে হামাস বাহিনী। ভুলে গেলে চলবে না, হামাসের অস্ত্র, বিস্ফোরক, জ্বালানি এবং খাদ্য মজুত রয়েছে ওই সুড়ঙ্গগুলিতেই। এই সুরঙ্গ গুলোকে গাজার সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ধরা হয়। অতএব আসল খেলাটা কিন্তু মাটির নীচে। কয়েকটি রিপোর্টে দাবি, ওই সুড়ঙ্গপথগুলোর মুখ কোথাও গাজ়ার বাসিন্দাদের ঘরে, কোথাও কোনও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে, কোথাও সরকারি দফতরে, এমনকি হাসপাতালেও। সেই সুড়ঙ্গ নাকি সীমান্ত পেরিয়ে এক দিকে মিশর এবং অন্য দিকে ইজ়রায়েল পর্যন্ত বিস্তৃত।

এই কারণেই ইজ়রায়েলি সেনা হামাসের এই সুড়ঙ্গ জালকে ‘গাজ়া মেট্রো’ বলে। যেখানে রয়েছে খাতারনাক ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা বারুদ, রকেট ও গড়ে আড়াই মিটার উঁচু এবং এক মিটার চওড়া ওই সুড়ঙ্গগুলো এতটাই পোক্ত যে গত ২০ দিনের ধারাবাহিক আকাশ-হামলাতেও তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে প্যালেস্টাইনের সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি। আর তাই গ্রাউন্ড রেডের ক্ষেত্রে গাজার নীচের বিস্তৃত সুড়ঙ্গ টেনশন বাড়াচ্ছে ইসরাইলের। এই পরিস্থিতিতে তেল আভিভের এক এবং ভরসা ভূমধ্যসাগরের জল।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version