বিষ অস্ত্রে ঘায়েল হামাস! পণবন্দীদের কোন ট্রিটমেন্ট, ইহুদী ভূমিতে মেজর অ্যাটাক ? এই ফর্মেই ভয়

।। প্রথম কলকাতা ।।

বিষ মাখানো অস্ত্রে ঘায়েল হলো হামাস? লোহার বেড়ি ভেঙে কিভাবে পালালো পণবন্দীরা? গাজার সুড়ঙ্গে নেতানিয়াহুর ভয়ঙ্কর ট্রিটমেন্ট। কিভাবে হামাসের ঝাঁক ঝাঁক অস্ত্র ঢেকে দিল ইসরায়েল এর আকাশ? নেক্সট ফর্মে কিন্তু আরও পাওয়ারফুল আইডিএফ। ইহুদী ভূমিতে মেজর অ্যাটাক? আকাশ পাতাল এক করে কোন ছক সাজাচ্ছে হামাস? নতুন করে কোন ঝড় আছড়ে পড়তে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের গায়ে? যুদ্ধবিরতির নামে ঘুরছে গেম।তলে তলে কোন প্ল্যান সাজাচ্ছে হামাস ইসরাইল? সবটাই কি দিখাবা? অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে যখন মধ্যপ্রাচ্যের হাওয়া গরম তার মাঝেই শুরু হলো বহু প্রতীক্ষিত যুদ্ধ বিরতি। শর্ত মেনে অবশেষে ২৫ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলি ও থাইল্যান্ডের ১২ জন নাগরিক রয়েছেন। মুক্তি পাওয়া ইজরায়েলি নাগরিকদের রেড ক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে থাইল্যান্ডের নাগরিকদের শিগগিরি তুলে দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের হাতে। তাঁরা ইতিমধ্যেই রাফা সীমান্ত দিয়ে মিশরে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু, যুদ্ধবিরতির মাঝেই সামনের দিনগুলোতে কে কাকে কোন অস্ত্রে মাত দেবে। নকসা আঁকছে দুপক্ষই। একদিকে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে পাতাল থেকে হলেও হামাসের মাথাদের খুঁজে আনবে ইসরাইলের ধুরন্ধর ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি মোসাদ। যে প্ল্যানিং ঘিরে তোলপাড় চলছে বিশ্বজুড়ে। অন্যদিকে, ইহুদি ভূমির বুকে ঝাঁকে ঝাঁকে কি নামানোর প্ল্যান করলো প্যালেস্টাইনি জঙ্গিগোষ্ঠী? ইজরায়েল কিন্তু একদম গাজার ভেতরের খবর পেয়ে যাচ্ছে। সেই মতো যুদ্ধবিরতি শুরুর পরেই গাজা সংলগ্ন দুটি ইসরায়েলি গ্রামে বাসিন্দাদের সতর্ক করে প্রশাসন। দুটো গ্রামে রকেট হামলার প্ল্যান কষছে হামাস, আশঙ্কা করছে ইসরায়েল। এদিকে সংঘর্ষবিরতির আগে হাসপাতাল লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, পালটা অভিযোগ এনেছে হামাস।

তাহলে কি যুদ্ধ বিরতির পরেই ইসরাইল থেকে গ্রামের পর গ্রাম মুছে দেবে প্যালেস্টাইনি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস? নেতানিয়াহু বারবার বলছেন, এই যুদ্ধবিরতি নেহাতই সাময়িক। চারদিন পরেই ফের গাজায় আক্রমণ চালাবে ইসরায়েলি সেনা। সংঘর্ষবিরতি শুরুর পরেই পালটা আক্রমণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। হামাস ও তৈরি হওয়ার আরো বেশি সময় পেয়ে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে ৭ ই অক্টোবর এর আফটার শক খাবে কিনা ইসরায়েল সেটা বলবে সময়। জানিয়ে রাখি, এদিন যুদ্ধবিরতির আগেও লড়াই চলেছে পুরোদমে। কিন্তু, ইজরায়েলের ক্যাবিনেটে ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক হওয়া ৫০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে হামাসের প্রস্তাব মেনে চার দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। একই পরিবারের সদস্য শিশু ও মহিলাদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে মধ্যস্থতাকারী কাতারের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর। ঠিক হয়েছে, চারদিনে মুক্তি দেওয়া হবে ৫০ পণবন্দিকে। এছাড়া ইসরায়েলের জেলে বন্দি থাকা প্যালেস্টাইনিদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে। যদিও কাদের মুক্তি দেবে ইসরায়েল, তার বিস্তারিত বিবরণ জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, এই যুদ্ধবিরতি দম বাড়াচ্ছে দুপক্ষেরই। তাই এরপর অন্তত আরও দুমাস অভিযান চালাবে ইসরায়েলের সেনা! এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে হামাসের মতোই ইসরায়েলি সেনা ফের সংঘর্ষের জন্য নিজেদের তৈরি করে নেবে, মত বিশেষজ্ঞদের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version