।। প্রথম কলকাতা।।
Cooking and baking Class: প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সকলেই চান। গৃহবধূরাও আজকের দিনে নিজেদের পরিচয় তৈরি করার জন্য বিভিন্ন কাজের দিক বেছে নিয়েছেন । অনেকে আবার নিজস্ব ব্যবসাও তৈরি করেছেন । কিন্তু কেউ কেউ করতে চেয়েও করতে পারছেন না । তার কারণ হল পুঁজি । আজকের প্রতিবেদনে সেই সমস্ত আগ্রহী গৃহবধূদের জন্যই রয়েছে অল্প পুঁজিতে ব্যবসার দারুন আইডিয়া। আপনি যদি রান্নাবান্নায় পটু হন এবং বেকিং করতে ভালোবাসেন তাহলে এই ব্যবসা আপনার জন্য একেবারে আদর্শ।
কুকিং অ্যান্ড বেকিং ক্লাস। সোজা কথায় বলতে গেলে আপনি যা জানেন অপরকে সেটাই শেখাবেন। এর মাধ্যমে আপনার হাতে আসবে কিছু অর্থ । আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়লে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। আর তারপর তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই নিজের বড় কোন ব্যবসা তৈরি করতেই পারেন। তবে কোথা থেকে শুরু করবেন? কীভাবে শুরু করবেন? কত টাকা পুঁজি প্রয়োজন? কতটা লাভজনক এই ব্যবসা সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য মিলবে এই প্রতিবেদনে।
* কুকিং অ্যান্ড বেকিং ক্লাস
আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের রান্নাবান্না করতে ভালোবাসেন , রান্নায় এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসেন এবং কেক , কুকিজ, পেস্ট্রি সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে পছন্দ করেন তবে আপনার সেই দক্ষতাকে কাজে লাগান । সপ্তাহের কিছু নির্দিষ্ট দিনে সেই রান্নাবান্না কিংবা বেকিং করতে শেখান অন্যান্য গৃহবধূ বা আগ্রহীদেরকে। তার বদলে একটা নির্দিষ্ট মাসিক বেতন ধার্য করুন। এতে মাসের শেষে আপনার হাতে নিজের রোজগার করা কিছু অর্থ আসবে।
* কত টাকা পুঁজি প্রয়োজন ?
এই কাজটি আপনি একেবারেই ঘরে বসে করতে পারেন। পুঁজি বলতে আপনি যেদিন যেমন ক্লাস রাখবেন, সেখানে যা যা রান্না করবেন তার সামগ্রী। এই হল আপনার খরচের জায়গা। প্রথম ছোটখাটো ভাবে এই ক্লাস শুরু করার জন্য খুব বেশি ৫০০০ টাকা হাতে রাখলেই যথেষ্ট।
* কীভাবে শুরু করবেন কুকিং অ্যান্ড বেকিং ক্লাস ?
১. সর্বপ্রথম আপনি যে ধরনের রান্না গুলি করতে ভালোবাসেন সেই ধরনের রান্নায় এক্সপেরিমেন্ট করুন। নতুনত্ব আনার চেষ্টা করুন অর্থাৎ এক কথায় নিজের দক্ষতায় শান দিন ভালোভাবে।
২. ক্লাস শুরু করার জন্য একটা জায়গায় প্রয়োজন। একটু বড় জায়গা হলে খুবই ভালো হয়। যদি আপনার বাড়িতে সেই জায়গা থাকে তবে অতি উত্তম । আর যদি না থাকে তবে উপযুক্ত জায়গা ভাড়া নিন।
৩. নিজের ক্লাসের বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যানার তৈরি করুন। এমন জায়গায় এই ব্যানার গুলি লাগানোর ব্যবস্থা করুন যেখানে গৃহবধূদের আনাগোনা খুব বেশি । যেমন ধরুন শপিং মল , কোন পার্লারের কাছাকাছি এলাকা কিংবা অফিস পাড়াতে।
৪. আপনি অনলাইনেও এই ক্লাস নিতে পারেন । তাতে দূরে থাকা আগ্রহী মানুষও শিখতে পারবেন।
৫. নিজের ব্যবসার বিজ্ঞাপন করার জন্য বেছে নিন সোশ্যাল মিডিয়াকে। প্রয়োজনে একটা পেজ তৈরি করুন। সেখানে আপনার ব্যবসার সমস্ত আপডেট দিতে থাকুন।
৬. সপ্তাহে একদিন এই ক্লাস নিলেই যথেষ্ট। এমন কিছু শেখানোর চেষ্টা করুন যাতে নতুনত্ব রয়েছে। যা শিখতে আগ্রহ বাড়বে মানুষের।
৭. আপনার স্টুডেন্টদের কাছ থেকেই ফিডব্যাক নিতে পারেন ব্যবসার প্রথম দিকে।
* কতটা লাভজনক এই ব্যবসা ?
যে কোন ব্যবসায় দাঁড় করাতে গেলে তাতে ধৈর্য ধরার প্রয়োজন রয়েছে । এই ব্যবসার ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য। এখানে আপনার লাভ নির্ভর করবে কতজন আপনার কাছে শিখছে তাঁর উপর ভিত্তি করে । তবে এই ব্যবসার একটা বড় সুবিধা হল এখানে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটাই কম। ধীরে ধীরে আপনার কুকিং-বেকিং ক্লাস প্রচারে আসলে আপনি নিজের শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে একটা কোম্পানিও তৈরি করতে পারেন । সেখানে বাইরে থেকে অর্ডার নিয়ে সেই অর্ডার পূরণ করার কাজ করতে পারেন । এছাড়াও খুলতে পারেন বেকারি। ইন্টারনেট মোবাইলের যুগে এখন সবকিছুই মিলছে অ্যাপে। তাই বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। অর্থাৎ এই কুকিং অ্যান্ড বেকিং ক্লাস আপনাকে আরও বেশ কয়েকটি ব্যবসার রাস্তা খুলে দেবে। তবে অবশ্যই প্রথম দিকে ধৈর্য রাখতে হবে । কারণ সাফল্যের চাবিকাঠি হল ধৈর্য্য আর কঠোর পরিশ্রম।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম