Adeno Virus: অ্যাডিনোর বাড়বাড়ন্তে শিশুকে অতিরিক্ত প্যারাসিটামল দিচ্ছেন? ডাকছেন মারাত্মক বিপদ!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Adeno Virus: অ্যাডিনোর (Adeno) বাড়বাড়ন্তে শিশুদের (Children) ক্ষেত্রে একটু ভুল সিদ্ধান্ত নিলে বড় সমস্যায় পড়তে পারেন। বিশেষ করে দুই বছর বয়সের কম শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধছে অ্যাডিনো ভাইরাস। এই ভাইরাসে এখনো পর্যন্ত কোন শক্তপোক্ত ওষুধ নেই। যার কারণে বেশ চিন্তায় রয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। শিশুর ঘন ঘন জ্বর, সর্দি, কাশিকে যদি এই সময় একটু অবহেলা করেন তাহলে ভুল করবেন। দেরি হয়ে যাওয়ার আগে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রত্যেকের বাড়িতেই দু একটা প্যারাসিটামল (Paracetamol) থাকে। জ্বর কমাতে যা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু শিশুর জ্বর কমাতে মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল কি আদৌ ভালো? এর ফলে হিতে বিপরীত হচ্ছে না তো? আপনি যদি এই সময় শিশুর জ্বরে প্যারাসিটামল ব্যবহার করেন তাহলে একটু সাবধান হন।

তীব্র জ্বর, তাই অভিভাবকরা জ্বর কমাতে শিশুকে প্যারাসিটামল দিচ্ছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল শিশুদের জন্য একেবারেই ভালো নয়। শীতের শেষ বেলায় আবহাওয়া বদলের কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। কিন্তু করোনার পর চেনা উপসর্গ নতুন রূপে ধরা দিচ্ছে। আগমন ঘটছে নিত্য নতুন ভাইরাসের। তাই জ্বর, সর্দি, কাশিকে ভাইরাল উপসর্গ মনে করলে ভুল হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্কতা নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে প্রথম দিন থেকে জ্বরের মাত্রা প্রায় ১০২° থেকে বা তার বেশি মাত্রায় পৌঁছে যাচ্ছে। ভাইরাল জ্বরের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে মৃদু জ্বর, সর্দি, কাশি হয়ে শিশু সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু অ্যাডিনো ভাইরাসের ক্ষেত্রে একেবারেই উল্টো। অতিরিক্ত মাত্রায় জ্বর, চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে, পাশাপাশি পেটে ইনফেকশন হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে শ্বাসকষ্ট। ওষুধ দিয়েও জ্বর কমছে না।

বিশেষ খেয়াল রাখুন বাড়িতে

এই সময় শিশুকে ভুলেও জ্বর কমানোর জন্য দু তিন ঘন্টা অন্তর প্যারাসিটামল দেবেন না। এর ফলে প্যারাসিটামল টক্সিসিটি তৈরি হতে পারে। প্যারাসিটামল দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত ৪ ঘন্টা পার্থক্য রাখতে হবে। প্যারাসিটামল শিশুকে দেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেবেন। জ্বর কমানোর ক্ষেত্রে প্যারাসিটামলের উপর শুধু ভরসা করলে হবে না। খেয়াল রাখতে হবে, শিশুর শরীরে যেন কোনো ভাবেই ডিহাইড্রেশন না হয়। পরিমিত পরিমাণে জল আর তরল জাতীয় খাবার খাওয়ান। যদি ওষুধে জ্বর না কমে তাহলে সাধারণ তাপমাত্রার জলে শিশুর মাথা ধুয়ে গা মুছিয়ে দিতে পারেন। অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে যদি প্রথম থেকেই শিশুর উপর বিশেষ ভাবে নজর রেখে বাড়িতে সতর্কতা অবলম্বন করেন তাহলে হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা হয়ত পড়বে না। সাধারণত যে শিশুদের জন্মগত ভাবে ফুসফুস, হৃৎপিণ্ডের সমস্যা রয়েছে কিংবা ওজন অনেকটা কম তাদের ঝুঁকি একটু বেশি।

বড়দের ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলছে?

শুধু শিশু নয়, এই ঋতু বদলের মরশুমে বড়দের মধ্যেও অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে টানা কাশি, গলা ব্যাথা, ঢোক গিলতে অসুবিধা অ্যাডিনো ভাইরাসের লক্ষণ হতে পারে। তবে বড়দের এই ভাইরাস খুব একটা কাবু করতে পারছে না। এখনো পর্যন্ত সেভাবে বড়দের ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকির কোন খবর আসেনি। অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে করোনার মতো যেমন সতর্কতা বিধি চলার চেষ্টা করুন। কারণ অ্যাডিনো ভাইরাস ছোঁয়াচে। রোগীর ছোঁয়া জিনিস স্পর্শ করলে সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এই সময় একটু ভিড় এলাকা এড়িয়ে চলুন। মুখে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। বাইরে থেকে বাড়িতে এলে হাত-পা ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে তবেই শিশুর সঙ্গে মেলামেশা করুন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version