Gangasagar Mela: একাধিক প্রস্তুতিতে সাজছে গঙ্গাসাগর মেলা, পুণ্যার্থীদের জন্য দারুণ সুবিধা

।। প্রথম কলকাতা ।।

Gangasagar Mela: গঙ্গাসাগর মেলা, যার নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সমুদ্রের পুণ্যস্নান। এই মেলায় সরকার থেকে যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য করা হয়। যাতে কোন পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের কোন অসুবিধা না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা করা হয় স্পেশাল বাস এবং স্পেশাল ট্রেনের। পশ্চিমবঙ্গের একেবারে দক্ষিণে সাগরদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে কপিল মুনির আশ্রম এবং এই গঙ্গাসাগর। গঙ্গাসাগর আসলে গঙ্গা নদী আর বঙ্গোপসাগরের মিলন স্থান। হিন্দু ধর্মের যত মেলা উৎসব রয়েছে তার মধ্যে একদম প্রথম সারিতে রয়েছে কুম্ভমেলা এবং তার পরেই রয়েছে গঙ্গাসাগরের মেলা (Gangasagar Mela)। প্রতিবছর মকর সংক্রান্তির সময় গঙ্গাসাগরের মেলা বসে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিহার এবং উত্তর প্রদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যাক পুণ্যার্থীরা এখানে ভিড় করেন। ২০২৩ এই গঙ্গাসাগর মেলা হবে ৮ই জানুয়ারী থেকে ১৭ই জানুয়ারী পর্যন্ত। নতুন বছরে কুম্ভ স্নান শুরু হবে ১৪ তারিখে ৫টা ৫৩ মিনিটে। পুণ্যস্নানের সময় থাকবে পুরো ২৪ ঘন্টা।

পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে চালু থাকবে প্রায় ৫০০ টি বেসরকারি বাস এবং ২২৫০ টি সরকারি বাস। পাশাপাশি চলবে ৪টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল এবং ১০০ টি লঞ্চ। সম্প্রতি একাধিক দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণের হার লাগাম ছাড়া। যার কারণে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বেশ কিছু সতর্ক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে দু’দিনের গঙ্গাসাগর (Gangasagar) সফরে যাচ্ছেন। গঙ্গাসাগর স্থায়ী হেলিপ্যাডে তিনি বুধবার দুপুরের দিকে নামবেন। সেখানে থেকে যাবেন কপিল মুনির আশ্রমে, এখানে তিনি পুজো দেবেন। প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলার (Gangasagar Mela) আগে পরিস্থিতি পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে। গত দু’বছর করোনা সংক্রমণের হার বেশি ছিল, সেই পরিস্থিতি থেকে মানুষ এখন অনেকটা মুক্ত। তাই আশা করা হচ্ছে এবারের গঙ্গাসাগরের মেলায় জনসমাগম আরো বেশি হবে। পুণ্যার্থীদের যাতে কোন রকম অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে রাজ্য বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে। মেলায় অস্থায়ী স্বাস্থ্য শিবিরের পাশাপাশি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জলপথে চলবে কড়া নজরদারি।

২০২৩ এর গঙ্গাসাগর মেলাতে চালু হচ্ছে কিউআর এবং বারকোড বেসড ওয়াটার প্রুফ হাতের ব্যান্ড। এর মাধ্যমে কেউ যদি গঙ্গাসাগরে মেলায় হারিয়ে যান তাহলে তাকে খুব সহজেই খোঁজা যাবে। একটি এনজিওর তরফ থেকে এই বিষয়ে বাংলায় বারংবার ঘোষণা করা হবে। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পরিচয়’। এই QR বেসড রিস্ট ব্যান্ড প্রবীণ এবং শিশুরা বাফার জোন থেকে বিনামূল্যে পাবেন। গোটা মেলা প্রাঙ্গণে সুরক্ষার জন্য থাকবে প্রায় ১১৫০ টি ক্যামেরা নজরদারি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version