International Women’s Day: সিয়াচেন থেকে সুদান, চ্যালেঞ্জিং এলাকায় সাহসী ভারতীয় নারী! কুর্নিশ তাঁদেরকে

।। প্রথম কলকাতা ।।

International Women’s Day: সিয়াচেন থেকে সুদান, প্রতি মুহূর্তে নানান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি। সবকিছু সামলে দেশকে রক্ষা করছে নারী শক্তি। ভারতের নারী শক্তি প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের সাফল্যের পতাকা উত্তোলন করেছে। মহাকাশ হোক কিংবা সীমান্ত নিরাপত্তা, সর্বত্র নারী-পুরুষ মিলে নতুন ভারতের ভাগ্য লিখছে। ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women’s Day) উপলক্ষে সেই সমস্ত ভারতীয় সাহসী নারীদের স্যালুট জানাচ্ছে ‘প্রথম কলকাতা’। এই প্রতিবেদনে রইল ভারতের নারী শক্তি নিয়ে কিছু কথা যা আপনাকে অবাক করবে।

সিয়াচেনের পরিস্থিতি যে কতটা জটিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চারিদিকে শত্রুরা ওঁত পেতে রয়েছে। যদিও শত্রুদের থেকে এখানে জওয়ানদের কাছে অন্যতম বাধা প্রাকৃতিক পরিবেশ। আর সেখানেই প্রথমবারের মতো এক মহিলা অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যাপ্টেন শিবা চৌহানকে প্রথম মহিলা অফিসার হিসেবে ওখানে মোতায়েন করা হয়। জানুয়ারির প্রচন্ড শীতে সিয়াচেন হিমবাহে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর থেকে নিষ্ঠা সহকারে খেয়াল রাখছেন যাতে দেশের কেউ কোনো ক্ষতি না করতে পারে। সিয়াচেনে একদিকে তীব্র ঠান্ডা, অপরদিকে বারংবার অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার মুখোমুখি হতে হয়। মোতায়নের দুই মাস পর তিনি জানিয়েছিলেন, বরফ হিমাবাহে তাঁর চ্যালেঞ্জ পুরুষ সহকর্মীদের থেকে একেবারেই আলাদা নয়। এই চ্যালেঞ্জ পরিস্থিতির জন্য তিনি প্রশিক্ষিত। এখানে পোস্ট হওয়ার আগে তাঁকে সিয়াচেন বেস ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল।

পূর্ব লাদাখে উচ্চ উচ্চতায় কাজ করছেন মেজর ভাবনা সিয়াল। যেখানে রাতের বেলা তাপমাত্রা রীতিমত -১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। কর্পস অফ সিগন্যালের তৃতীয় প্রজন্মের সেনা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। জম্মু ও কাশ্মীরে প্রায় ১৩ বছর পোস্টিং ছিল। লেবাননে জাতিসংঘ মিশনে কাজ করেছেন প্রায় ১৯ মাস। তাঁর কাছে প্রত্যেকটি দিনই এক একটি চ্যালেঞ্জের সমতুল্য। ৭০তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভাবনা।

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আরেক জনের নাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি হলেন মেজর অভিলাশা বারাক। তিনি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অ্যাডভান্স লাইট হেলিকপ্টার এমকে৩ উড়িয়েছিলেন। তাঁর কাছে প্রত্যেকটি দিন নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জের সমান। যার মাধ্যমে অর্জন করেন নতুন অভিজ্ঞতা। প্রতিকূল এলাকার কাছে হেলিকপ্টার উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া একেবারেই সহজ নয়। সুদানে আর্মি মেডিক্যাল কোরে পোস্টিং রয়েছে শৈলি গেহলাওয়াতের। ওই অঞ্চল একটি সংঘাতপূর্ণ এলাকা। যেখানে মুহূর্তের মধ্যে বদলে যেতে পারেন নিরাপত্তা পরিস্থিতি। সেই জায়গা থেকে তিনি অর্জন করেছেন আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতা, যা তাঁর ধারণা পরিবর্তনের পাশাপাশি কাজের অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে।

ভারতীয় বায়ু সেনার ইতিহাসে এই প্রথম। নয়া দায়িত্ব গেল এক মহিলার হাতে। এই প্রথম ভারতীয় বায়ুসেনায় কমব্যাট ইউনিটকে কমান্ড দেবেন একজন মহিলা। ইতিমধ্যেই গোটা দেশ জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত এই গ্রুপ ক্যাপ্টেনকে নিয়ে। নাম শালিজা ধামি। গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পশ্চিম সেক্টরের দায়িত্ব। এর আগেও দেখা গিয়েছিল মেডিক্যাল স্ট্রিমের বাইরে বিভিন্ন ইউনিটে বায়ু সেনা অফিসার হিসেবে মহিলাদের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কমব্যাট ইউনিটের ক্ষেত্রে তা হয়নি, এবার হল। এই প্রথম কোনো মহিলা কমব্যাট ইউনিটকে কমান্ড দেবেন।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version