Football match under mosquito net: মশারির নিচেই আয়োজন ফুটবল ম্যাচের, নজরকাড়া উদ্যোগ কলকাতায়

।। প্রথম কলকাতা ।।

Football match under mosquito net: বিশ্বকাপের আবহে মহানগরীতে চোখে পড়ল এক অভিনব উদ্যোগ। যা স্বাভাবিকভাবেই প্রশংসনীয়। মশারির নিচে একদল পথশিশুরা ফুটবল খেলতে ব্যস্ত। আর সেই মশারি ঘিরে রয়েছে বিভিন্ন দেশের পতাকা। এই দৃশ্য দেখে স্বাভাবিকভাবেই পথ চলতি মানুষেরাও থমকে যান। ঘটনাটি দক্ষিণ কলকাতার খিদিরপুর মোড়ের। বর্তমানে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে তার হাত থেকে পথ শিশুদের রক্ষা করতে, একইসঙ্গে খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশের জন্যেই এই উদ্যোগ।

বাংলাদেশি গণমাধ্যম সময় টিভিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, শুধুমাত্র পথশিশুরা যাতে এডিস মশার দাপট মুক্ত হয়ে নিরাপদে ফুটবল খেলতে পারে তার জন্য তৈরি করা হয় ১০ ফুট বাই ২০ ফুটের একটি বড় মশারি। এই উদ্যোগের নেপথ্যে রয়েছেন এক চিকিৎসক অজয় মিস্ত্রি। তাঁর কথায়, যে কোন শিশু বিশেষত পথ শিশুরা বাইরে ফুটবল খেলতে গিয়ে কোনোভাবে মশার কামড়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হোক তা একেবারেই কাম্য নয়। কিন্তু তাই বলে শিশুদের খেলাধুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে না। এর জন্যই একেবারে অভিনব উদ্যোগ তাঁর।

কাতারে যখন বসেছে বিশ্বকাপের আসর ঠিক তখনই কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গে দৌরাত্ম্য বেড়েছে এডিস মশার। ডেঙ্গিবাহক এই মশার কামড়ে একের পর এক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। পথ শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে ডেঙ্গিতে। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এই মশারির ভেতরে ফুটবল খেলার আয়োজন, এমনটাই দাবি আয়োজকদের। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বিধানসভার প্রশ্ন উত্তর পর্বে জানান, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তবে কলকাতার বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এ রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়ে প্রায় ৮০ হাজার এবং মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনেরও বেশি।

পথ শিশুদের ডেঙ্গি সম্পর্কে সচেতন করার জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন আয়োজকরা তা স্বাভাবিকভাবেই বহু মানুষের প্রশংসা পেয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছিল এক লাখের গণ্ডি। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় শতাধিক মানুষের। সেই ছবি যেন পুনরায় রাজ্যে ফিরে না আসে তার জন্য যথেষ্ট তৎপর রাজ্য প্রশাসন।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version