Puri: পুরীর জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন শপিংমলে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে ছাই ৪০টি দোকান

।। প্রথম কলকাতা ।।

Puri: পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকাগুলিতে যে ঠিক কি পরিমাণ পর্যটকদের ভিড় থাকে তা সবারই জানা। সেই জায়গায় যদি অগ্নিকাণ্ড ঘটে তাহলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হওয়াটাই স্বাভাবিক। জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন একটি শপিংমলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে বহু পর্যটক আটকে যান। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করেন দমকল কর্মীরা। যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে বেশ কয়েকটি হোটেল (Hotel), প্রচুর দোকান এবং একটি বড় শপিংমল (Shopping Mall) রয়েছে।

বুধবার রাত আটটা নাগাদ গ্র্যান্ড রোডের মারীচিকোট চকের লক্ষ্মী মার্কেট কমপ্লেক্সের একটি জামা কাপড়ের দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। তারপর ধীরে ধীরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের দোকানগুলিতে। মূলত ওই বাজার চত্বরে দোকানগুলি একটার সঙ্গে একটা দোকান ঘেঁষে অবস্থিত ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। অপরদিকে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অন্য জায়গায়। যখন অগ্নিকাণ্ড ঘটে তখন ওই বাজার চত্বরে বহু পর্যটক ছিলেন। শতাধিক দমকল কর্মী তাদের উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যদিও এই ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দমকল কর্মীরা ওই বাজার চত্বর থেকে সমস্ত পর্যটকদের নিরাপদে উদ্ধার করেছেন।

পুরী মানে অন্যতম একটি পর্যটন স্থান। জগন্নাথ ধাম দর্শন করতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক দেশ সহ দেশের বাইরে থেকে এখানে জড়ো হন। তার উপর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি পর্যটকদের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আগুন লাগার ঘটনা জানাজানি হতেই পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দমকল কর্মীরা দ্রুত মন্দির চত্বর সংলগ্ন এলাকা ব্যারিকেড করে আগুন নেভানোর কাজ করেন, তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগেছে। প্রায় ১২ ঘন্টার চেষ্টাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে একসাথে কাজ করছে প্রায় শতাধিক দল দমকল কর্মীসহ উড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। জগন্নাথ মন্দিরের কাছে থাকা একটি শপিংমলে প্রথমে আগুন লাগে। তারপর সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশে পাশে থাকা চল্লিশটির বেশি দোকানে। কাছেই ছিল বেশ কয়েকটি হোটেল। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পর্যটকরা হোটেল থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। ওই এলাকায় মজুদ ছিল প্রচুর গ্যাস সিলিন্ডার।আগুন লাগার ঘটনা ঘটতেই দ্রুত গ্যাস সিলিন্ডার গুলিকে সেই জায়গা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। না হলে পরিস্থিতি আরো মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version