বালুচিস্তানের ভয়ে মোদী নাম পাকিস্তানে! বন্ধুত্ব করার নয়া টেকনিক দিল্লির সঙ্গে?

।। প্রথম কলকাতা ।।

নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলতে উতলা শাহবাজ শরিফ, কেন? বালুচিস্তান নিয়ে ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেল পাকিস্তানের। খিদের জ্বালা বড় জ্বালা ভারতের থেকে পাকিস্তান হঠাৎ কী চাইছে? চীন সরকারের প্রতিনিধি ইসলামাবাদে কোন নতুন প্ল্যান! দিল্লির চোখ কান খোলা কারণ পাকিস্তানের এটা নতুন চক্রান্ত। পাকিস্তান মাথা ঝুঁকিয়ে দিল! পাকিস্তান মেনে নিল যুদ্ধ করে ভুল করেছে তারা। হঠাৎ এমন সুমতি কীভাবে হল ইসলামাবাদের? ভারতের কাছে চাল না গম কী ভিক্ষা চাওয়া হবে? পাকিস্তান ভালোমানুষী দেখাচ্ছে সন্দেহ তো হবেই। পাক প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দেওয়ার আগে প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিলেন অপরাধ। নরেন্দ্র মোদীর কাছে সময় চাওয়া হচ্ছে এবার বার্তালাপের আবেদন রাওয়ালপিন্ডির।

কিন্তু কেন? পিওকে নিয়ে মোদীর সাইকোলজি বোঝার চেষ্টা? নাকি চীনের বিআরআই নিয়ে দিল্লিকে ম্যানুপুলেট করার চেষ্টা করা হবে। চীন থেকে আসা একগুচ্ছ জিনপিংয়ের প্রতিনিধি তাদের সামনে শাহবাজ শরিফের গলায় রীতিমত মোদীর সুর। যুদ্ধ কোনও সমাধান নয় বললেন শরিফ, কিন্তু আসল চেহারা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মঙ্গলবার পাকিস্তানের মিনারেল সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। সেখানেই ভারতের নাম উচ্চারণ না করেই ইঙ্গিত শাহবাজ শরিফ বলেন আমরা যে কারো সঙ্গে এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও আলোচনা করতে প্রস্তুত যুদ্ধ কোনও সমাধান হতে পারে না। ১৯৪৭ সাল থেকে আমরা ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধ করেছি এর ফলশ্রুতিতে দেশে শুধু দারিদ্র্য, বেকারত্ব, নিরক্ষরতা ও দুর্বল স্বাস্থ্যব্যবস্থাই ভুগছে।

প্রশ্ন উঠছে একেবারে প্রকাশ্যে এধরণের সত্যি স্বীকার করে নেওয়ার পিছনে আসল কি চাল? বিশেষজ্ঞরা বলছেন খবর মিলছে পাকিস্তানের লাহোর-করাচীর বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানি আরব, বাহেরাইন, কাতারের কাছে অলরেডি বিক্রি করে দিয়েছেন শাহবাজ শরিফ। আবু ধাবিকে করাচী পোর্টের একটা বড় অংশ ২৫ বছরের জন্য দেওয়া হয়েছে। কে বলতে পারে বছর শেষের আগে পাকিস্তানও না নিলাম হয়ে যায়। ঘন্টা বাজছে ডেডলাইন একেবারে কাছাকাছি। আগামী বছরের মধ্যে ৮০ আরব ডলারের ঋণ মেটাতে হবে পাকিস্তানকে। এবার ভারতের সঙ্গে কথা বলে কি সেক্ষেত্রেই কোনও সাহায্য চাইবে পাকিস্তান? নাকি চীন পাকিস্তানকে ফোর্স করল ভারতের সঙ্গে কথা বলার। ভারতের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য যাতে চীনের আটকে থাকা বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রজেক্ট নিয়ে দিল্লি কোনও ধরণের ইতিবাচক পথ দেখায়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version