।। প্রথম কলকাতা ।।
Rajasthan New CM: মোদী-শাহ- নাড্ডা কি খেলা দেখাচ্ছেন সব প্রেডিকশন তো ফেল! রাজস্থানে এ কী করলেন বিজেপির হাইকমান্ড? এখনই এত এত অঙ্কের খেলা তো তাহলে তো ২০২৪ বিরোধী বলে কিছু থাকবে না দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। রাজস্থান মুখ্যমন্ত্রী তো পেল কিন্তু নেপথ্যের স্ট্র্যাটেজিটা জানেন কি? কে এই ভজনলাল শর্মা? যিনি সকলকে পিছনে ফেলে রেসে একেবারে ফার্স্ট। না কোনও নেতা না কোনও সাংবাদিক না পার্টির কর্মকর্তা কেউ কোনওভাবে টেরই পেলেন না যে একেবারে নতুন মুখ ৫৬ বছর বয়সি ভজনলাল শর্মাকে কীভাবে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ দিয়ে দেওয়া হল? আপনি যদি রাজনীতিতে ইন্টারেস্টেড হন তাহলে এতক্ষণে জেনে যেতেও পারেন এই প্রথমবার বিধায়ক হয়েই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য ভজনলাল শর্মাকে বেছে নেওয়া হল।
রাজস্থানের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ একটা রাজ্যের জন্য বসুন্ধরা রাজে, বাবা বালকনাথ, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত কারোরই মুখ্যমন্ত্রী পদে ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল না। প্রেডিকশনে তো এদের নামই উঠে এসেছিল কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন যে ফ্যাক্টর রয়েছে ভজনলাল শর্মাকে বেছে নেওয়ার নেপথ্যে সেটা রাজস্থানের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ঘরে ভোটের জোয়ার আনতে এনাফ।
কে এই ভজনলাল শর্মা?
বিজেপির টিকিটে সঙ্গনেড় থেকে জিতেছেন ভজনলাল। প্রথম বার বিধায়ক হয়েই মুখ্যমন্ত্রী তিনি রাজস্থানের একজন ব্রাহ্মণ নেতা। এটাই শুধু তার পরিচয় নয় ভজনলাল শর্মা শিরোনামে থাকতে চাননি সেভাবে কখনও। তবে বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর সঙ্গে ভজনের যোগসূত্র দীর্ঘ দিনের। তাতে তিনি টেক্কা দিতে পারেন অনেক শীর্ষনেতাকেই। ৫৬ বছরের ভজনের রাজনীতিতে প্রবেশ। আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির হাত ধরে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে সঙ্গনেড় কেন্দ্রে সেখানকার প্রাক্তন বিধায়কের পরিবর্তে টিকিট দেওয়া হয় ভজনকে। অপেক্ষাকৃত সুরক্ষিত ওই আসনে লড়ে ৪৮ হাজার ভোটে জিতেছেন তিনি হারিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী পুষ্পেন্দ্র ভরদ্বাজকে। বিধায়ক তিনি প্রথমবার হয়েছেন ঠিকই তবে ভজন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন চার বার। বরাবরই সংগঠনের দিকটি সামলেছেন। সেই এবিভিপিতে থাকার সময় থেকেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে তাঁর।
শুধু এটাই এনাফ নয় রাজস্থানের মতো জাতপাতের অঙ্ক কষা গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের জন্য। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন এ ক্ষেত্রে সম্ভবত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথাই মাথায় রেখেছে বিজেপি। আর সে কারণেই ব্রাহ্মণ নেতা ভজনকে করা হয়েছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। রাজস্থানে এক জন ব্রাহ্মণ নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করলে তা কখনওই অন্তত দলকে বিপাকে ফেলবে না। কারণ রাজস্থানে জাঠ আর রাজপুত ভোটারদেরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিকে মুখ্যমন্ত্রী করলে অন্য সম্প্রদায় চটে যেতে পারে তার প্রভাব পড়তে পারে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে।
বসুন্ধরাকে মুখ্যমন্ত্রী করলে রাজপুত ও জাঠ দুই ভোটব্যাঙ্কের একটা সুবিধা পেতে পারত বিজেপি, কিন্তু খুব সচেনত ভাবে বসুন্দরা রাজের ডানা ছাঁটার কাজ হয়েছে এবার। বিজেপি সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নাকি ভজনের নাম পর্যবেক্ষকদের কাছে প্রস্তাব করেছেন বসুন্ধরাই। এবার দেখার কেমন চলে রাজস্থানে ভজনলালের সরকার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম