Cyclone Remal: আজও প্রবল দুর্যোগ বাংলায়, কোথায় কোথায় তুমুল বৃষ্টি?

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

 

Cyclone Remal: ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপ্টা সবচেয়ে বেশি খেয়েছে দমদম। রেমালের দাপটে লন্ডভন্ড সুন্দরবন, কী কী ক্ষতি হয়েছে? দেখলে সত্যিই কান্না পাবে। রেমালের তাণ্ডব এখনই থামবে না। এই জেলায় প্রবল বিপর্যয় নেমে আসতে পারে যখন তখন। সকাল থেকে আপনার এলাকাতেও কি বৃষ্টি চলছে ? তাহলে কমেন্ট বক্সে লিখে জানান আমাদের।

রেমালের পূর্বাভাস শুনে প্রথম থেকেই তুলনা চলছিল আমপানের সঙ্গে। আমপান যেমন ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, রেমাল কি তাকে টক্কর দেবে, উঠছিল প্রশ্ন। গতিতে আমপানকে রেমাল টক্কর দিতে পারেনি ঠিকই, কিন্তু তার ধীরগতিই বাংলার জন্য কাল হচ্ছে! আমপানের সন্ধ্যায় তাণ্ডব চললেও, পরদিন সকাল থেকে আকাশ কিন্তু মেঘমুক্তই ছিল। এখানেই আমপানের সঙ্গে রেমালের তফাত। রেমাল ধীর গতিতে এগোচ্ছে। দুর্যোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ। কোথায় বেশি ঝড়-বৃষ্টি হবে?

 

কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম জেলায় অতিভারী বৃষ্টি হবে। নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার থেকে
সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় দমকা ঝড়ো বাতাস বইতে পারে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এই জেলাগুলিতে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটারথেকে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় দমকা বাতাস বইতে পারে।

 

রবিবার রাতে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সাগর দ্বীপ এবং খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী অংশে বাংলাদেশের মোংলার কাছ থেকে ঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলেছে ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়। কলকাতা শহরেও বহু অংশে গাছ পড়ে, বিদ্যুতের খুঁটি উপরে বিপত্তি ঘটেছে। কেমন থাকবে মঙ্গলবারের তাপমাত্রা?

 

মঙ্গলবার থেকে দুর্যোগ কাটতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সোমবারের পর থেকেই বৃষ্টি কমবে। মঙ্গল থেকে আপাতত দক্ষিণের কোনও জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সোমবার সকালে শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে রেমাল। বাংলাদেশের উপরে তা অবস্থান করছে। ক্রমে আরও উত্তর-পূর্বে সরে যাচ্ছে সেটি।তবে সোমবারও দক্ষিণবঙ্গের উপকূলেঝোড়ো হাওয়া বইছে, সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে অনবরত।

 

হাওয়া অফিস সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দমদমে ঝড়ের গতি ছিল সবচেয়ে বেশি। সেখানে ঘণ্টায় ৯১ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশে ঝড়ের গতি ছিল ১০০-র বেশি। রবিবার ভোর থেকে বাংলাদেশের স্থলভাগে অবস্থান করছে রেমাল। সকাল পর্যন্ত তা ‘প্রবল’ আকারেই ছিল। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ ক্যানিং থেকে তার দূরত্ব ছিল ৬৫ কিমি পূর্বে। ৮টার পরে শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে রেমাল। ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে সরছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version