বর্ষার দাপটে তছনছ এল নিনো! বাংলাদেশের এফেক্ট দঃবঙ্গে, দুর্যোগের কবলে কোন কোন জেলা ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

বাংলাদেশের জন্য ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ? এল নিনো কে ভেঙে দিল বর্ষা। বঙ্গোপসাগর এবং ওপার বাংলা, জোড়া ঘূর্ণাবতের এফেক্ট। দুর্যোগ বাড়ার চান্স প্রবল। উঠবে ঝড়, ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণ এর কোন কোন জেলা? আপনার জেলায় ইমার্জেন্সি অ্যালার্ট জারি হয়েছে? তাপমাত্রায় বড়সড় পরিবর্তন? উত্তরবঙ্গে কোথায় ভারী বৃষ্টি? প্রায় সারাটা দিন আকাশ মেঘলা থাকার কারণটা কী? বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন?আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস মাথায় রাখবেন। এল নিনোর কোমর ভেঙে দিল অগাস্টের বর্ষা। জুলাই মাস পর্যন্ত দেশে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ছিল ৫ শতাংশ কিন্তু, অগাস্ট মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ শতাংশ। ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এমনটাই জানিয়েছে IMD। সতর্ক থাকুন দুর্যোগ বাড়বে, বলছে আবহাওয়া দপ্তর। বুধবার থেকেই বড় পরিবর্তন।

জোড়া ঘূর্ণাবর্তের এফেক্ট যাবে কোথায়? যে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ও বঙ্গোপসাগরে। শুধুই কি তাই? সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখাও। আর তাতেই এবার ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। অলরেডি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা। চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া, পূর্ব মেদিনীপুর মানে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টির চান্স রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ের আশঙ্কাও থাকছে। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস বৃহস্পতিবার। বাকি জেলাগুলোতে শুক্রবার হাল্কা বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, দক্ষিণ বাংলাদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। তার ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে আকাশ মেঘলা থাকছে। বেশি থাকছে আর্দ্রতা তাছাড়া, তাপমাত্রারও বিশেষ পরিবর্তন হবে না। যেমন তাপমাত্রা আছে, সেরকমই‌ থাকবে। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বজায় থাকবে। আর উত্তর? হিমালয় পাদদেশের উপরে রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা! মালদার উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত। এর জেরে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। তিস্তা সহ একাধিক নদীর জলস্তর বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগস্টে বর্ষার মারাত্মক রুপ। বিশেষজ্ঞদের কথায়, মূলত এল নিনোর কারণেই এই পরিণতি। নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারে বর্ষা।

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ১৯ শতাংশ বৃষ্টির খামতি রয়েছে পূর্ব এবং উত্তর পূর্ব ভারতে। অন্যদিকে, ১৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারত, দুই শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে মধ্য ভারতে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ২৯ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৩৭ শতাংশ, বিহারে ২৮ শতাংশ এবং নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরাতে যথাক্রমে ২৪ শতাংশ, কেরালাতে বৃষ্টির ঘাটতি ৪২ শতাংশ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version