Christmas Party Hangover: ক্রিসমাস পার্টিতে অতিরিক্ত মদ্যপান, চটজলদি হ্যাংওভার কাটাবে কয়েকটি খাবার

।। প্রথম কলকাতা ।।

Christmas Party Hangover: বড়দিনের পার্টি(Christmas Party) মানে সারা রাত জেগে হইহুল্লোড়, আর তার সঙ্গে নানান ধরনের পানীয়। অনেকেই বেছে নেন কড়া অ্যালকোহলের গ্লাস কিংবা বিয়ারের বোতল। অতিরিক্ত অ্যালকোহল( Alcohol) পেটে যাওয়ায় নানান সমস্যা তৈরি হয়। ২৫শে ডিসেম্বরের পরের দিন সকাল শুরু হয় অন্যান্য সাধারণ দিনের মতো। তাই অফিস যেতে হয়। সেখানে ঘুমে ঢুললে কিংবা আলসেমি থাকলে বসের কাছে বকা খেতেই হবে। পার্টির আগে এবং পার্টির শেষে যদি বিশেষ কয়েকটি টিপস ফলো করেন, তাহলে এই সমস্যা হবে না। আপনি নেশায় সহজে বুঁদ হবেন না, আবার হ্যাংওভার(Hangover) কাটতে বেশি সময় লাগবে না। বিশেষ করে যাদের সারা বছর পার্টি(Party) করার অভ্যাস নেই, অথচ বড়দিনের আনন্দে গা ভাসান তাদের আবার অন্য সমস্যা। অতিরিক্ত মদ্যপানে শরীরের মধ্যে এক অস্বস্তি ভাব কাজ করে, যার কারণে বমি হয়। জেনে নিন এই সব ঝুট ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে বড়দিনের পার্টির আগে এবং শেষে কি কি করবেন।

পার্টিতে যাওয়ার আগে কী করবেন?

কিছু কিছু খাবার আছে যা শরীরে অতিরিক্ত অ্যালকোহলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে,পাশাপাশি পুষ্টি যোগায়। তখন আর শরীরে অস্বস্তি ভাবের কোন সম্ভাবনা থাকে না। মদ্যপনের আগে প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভালো প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে ওটস এবং কলাতে। আপনি যদি আগে থেকেই কয়েকটি কলা খেয়ে থাকেন, তাহলে রক্তে অ্যালকোহলের শোষণ সেভাবে হবে না। ওটস খেলে লিভার ভালো থাকবে এবং শরীরের অ্যালকোহলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। চিয়া বীজে রয়েছে প্রোটিন এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আপনি এই বীজের পুডিং খেতে পারেন। এর ফলে রক্ত অ্যালকোহলের শোষণের পরিমাণ অনেকটা কম হবে।

হ্যাংওভার কাটাতে কাছে রাখুন এই খাবার

•মদ্যপানের সাথে বেছে নিন স্যালাড জাতীয় কিছু খাবার। ভাজাভুজি জাতীয় খাবারকে এড়িয়ে যান। একসাথে প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান করা একেবারেই উচিত না। ধীরে ধীরে পান করুন কিন্তু লিমিট রেখে। দুই থেকে তিন পেগ হয়ে গেলে নিজেই নিজেকে সতর্ক করুন।

•কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। সারাদিনের কাজের এনার্জি এই ফল থেকে পাওয়া যাবে। পার্টির পরের দিন সকালে ব্রেকফাস্টে অবশ্যই কলা রাখতে পারেন। যদি সরাসরি কলা খেতে পছন্দ না করেন , কলা দিয়ে ওটস বা ফ্রুট স্যালাড বানিয়ে খান। হ্যাংওভার কাটাতে খুব ভালো কাজ দেবে।

•ক্রিসমাসের পরদিন একটু উষ্ণ গরম জল নিয়ে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। তাতেও যদি হ্যাংওভার না কাটে তাহলে এক ঘন্টা অন্তর দুই চামচ মধু খেতে পারেন। তার পাশাপাশি রাখুন একটু হালকা এক্সারসাইজ, হ্যাংওভার কাটতে বাধ্য।

•অনেকক্ষণ ধরে জল না খাওয়ার কারণে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। তাই বারবার আপনাকে জল খেতে হবে। নরমাল জলের পাশাপাশি হাতের কাছে রাখুন ডাবের জল। যতবার মদ্যপান করবেন ঠিক তার পরেই বেশ কিছুটা জল খেয়ে নিন। এছাড়াও মদ্যপানের পরে বেশ অনেকটা পরিমাণ জল খেলে খুব একটা নেশা হয় না। পরদিন সকালেও নিজেকে অনেকটা ঝরঝরে লাগবে।

•সকালে চটজলদি পান করে ফেলতে পারেন এক কাপ গরম কফি কিংবা চা। যদি মনে হয় কফি শরীরের ক্ষতি করবে, বেশ কড়া করে আদা চা বানিয়ে খেতে পারেন। তারপর সকালে ঠান্ডা জলের পরিবর্তে গরম জলে স্নান করুন। যদিও প্রতিদিন গরম জলে স্নান করা শরীরের জন্য খারাপ। তবে পরের দিন এই দু’টি কাজ আপনাকে অনেক আরাম দেবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version