তাইওয়ান ঘিরে ড্রাগনের কারেন্ট চক্রব্যূহ! অ্যাকশন মোড অন, বাইডেনের মন্ত্রে এতো বড় ভুল ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

তাইওয়ানকে ঘিরে কিভাবে কারেন্ট চক্রব্যূহ বানাচ্ছে চীন? শি জিং পিং ফিরতেই অ্যাকশন মোড অন। কেন তাইওয়ানের চারপাশে সূক্ষ্ম সুড়ঙ্গ কাটছে ড্রাগনের দেশ?
বাইডেনের মন্ত্র কি বুমেরাং হয়ে গেল? এবার কী তাইওয়ানের মাটিতে ঢুকে অপারেশন চালানোর প্ল্যান?
বিপদ বুঝে কোথায় শেল্টার নিচ্ছে দেশটার মানুষগুলো?ড্রাগনের চোখরাঙানি। তাইওয়ানের এই বিপদ কাটাতে বাইডেনের টোটকা। আদৌ কাজ করবে কি? হঠাৎ করে তাইওয়ানকে ঘিরে ধরলো কেন চীনের সামরিক বাহিনী?তাইপে বলছে, সামরিক মহড়া চালিয়েছে বেইজিং।যুক্তরাষ্ট্রের এপেক সম্মেলন থেকে সবে ফিরেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তারপরেই এই অ্যাকশন। কেন?

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের আলোচনায় সবথেকে বেশি প্রায়োরিটি পেয়েছে তাইওয়ান ইস্যু। তারপরে তাইওয়ান কে ঘিরে চীনের মহড়া। কি মেসেজ দিতে চাইছেন শি জিং পিং? ঘুরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে রাখার স্ট্র্যাটেজি নয় তো?একটা কথা মনে রাখতে হবে, স্বশাসিত দ্বীপ অঞ্চলটিকে নিজেদের অংশ বলে মনে করে চীন। চীন মনে করে তাইওয়ান তাদের প্রপার্টি। এমনকি প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথাও জানিয়ে রেখেছে বেইজিং। অর্থাৎ যতদূর যাওয়ার যেতে পারে চীন। এদিকে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক না রাখলেও এ বিষয়ে ‘কৌশলগত অস্পষ্টতার’ নীতি মেনে চলে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে তাইওয়ানকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র দিয়ে থাকে ওয়াশিংটন। যে বিষয়টিকে চীন মোটেই ভালো চোখে দেখেনা।

তাই ফেস টু ফেস আলোচনাতে শি বাইডেনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাইওয়ানকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করা। বরং চীনের সঙ্গে দ্বীপ অঞ্চলটির শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলন তাদের সমর্থন করতে হবে। এই পুনর্মিলন চীন বাস্তবায়ন করবে, এটা কোনোভাবেই থামানো যাবে না। ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে অলরেডি চাপে ফেলে দিয়েছে চীন। শি জিনপিংয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় তাইওয়ান ঘিরে চীনা বাহিনীর তৎপরতা কিছুটা কম থাকলেও, শি জিং পিং দেশে ফিরতেই সেটা আবার পুরোদমে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে তাইপে। এখন কোটি টাকার প্রশ্ন হলো যুক্তরাষ্ট্র পুরো বিষয়টা কিভাবে সামাল দেবে? একদিকে চীনের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরীর মোক্ষম সময় এটা, অন্যদিকে তাইওয়ান কে বরাবর সাপোর্ট করে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে এখন বড় পরীক্ষা। কিভাবে দুদিক ব্যালেন্স করবে বাইডেনের দেশ, সেটা বলবে সময়।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version