আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন তুললেই সর্বনাশ! এই কায়দা করলে আপনার টাকা চুরি হবে না

।। প্রথম কলকাতা ।।

প্রতি মাসে রেশন তুলতে গিয়ে বুড়ো আঙুলের ছাপ তো আপনিও দিচ্ছেন। কখনও ভেবে দেখেছেন এই পদ্ধতি কতটা সেফ? ফিঙ্গারপ্রিন্ট চুরি করে গায়েব হয়ে যাচ্ছে বহুজনের জমানো টাকা তাহলে কি আর রেশন তুলবেন না? এই চারকোণা স্ক্রিনটাকে ভালোভাবে দেখুন আঙুলের ছাপ দিতে গিয়ে এই কটা বিষয় মাথায় না রাখলে আপনাকেও একই ফল ভুগতে হতে পারে। আতঙ্কে বায়োমেট্রিক লক করেছেন অনেকেই। কিন্তু বায়োমেট্রিক লক করে রেশন তোলা যাবে কী? আপনার মনের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর নিয়েইআজকের এই প্রতিবেদনে।

প্রত্যেকটি রেশন দোকানে একটি পিওএস যন্ত্র থাকে। ইন্টারেনেটের মাধ্যমে ওই যন্ত্রের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে খাদ্য দফতরের। আপনি কত পরিমাণ রেশন নিচ্ছেন সেই সব তথ্য ওই একবার আঙুলের ছাপের মাধ্যমে খাদ্য দফতরের সাথে লিঙ্ক হয়ে যাচ্ছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনার বায়োমেট্রিক ম্যাচ করছে আপনি রেশন সামগ্রী নিতে পারবেন না। কিন্তু ওই আঙুলের ছাপেই তো সব আপনার। সারা মাসের রোজগার থেকে গোটা জীবনের সঞ্চয়। একটা আঙুলের ছাপ চুরি করেই সব গায়েব হয়ে যেতে পারে। এ দিকে রেশনে বায়োমেট্রিকের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। রেশনের বায়োমেট্রিক মেশিনে আঙুল ঠেকাতেও ভয় পাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু সত্যি কি ভয়ের কোনও কারণ রয়েছে?

সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন রেশনের বায়োমেট্রিক মেশিনের তথ্য যদি অন্যের কাছে চলে যায় তা হলে সেটা কেউ অপব্যবহার করতেই পারে। যদি কোনও রেশন ডিলার ইচ্ছে করে এই কাজ করে থাকেন তাহলে সেই খবর খাদ্য দফতরের কাছে যাবে না। তবে সাইবার বিশেষজ্ঞদের আরেকটা অংশ বলছেন বায়োমেট্রিকের জন্যে রেশন দোকানে যে ই-পস মেশিন ব্যবহার করা হয় তাতে বাইরের কোনও অ্যাপ ব্যবহার হয় না ফলে জালিয়াতির সম্ভাবনা অনেকটাই কম। যদি না কেউ যেচে ঠকাতে চান কিন্তু বলা হচ্ছে সম্ভাবনা কম! জাতিলাতি আটকানো যাবে না তা জোর দিয়ে বলতে পারেননি কেউ।

ভয়ে আতঙ্কে বায়োমেট্রিক লক করছেন অনেকই। তাহলে কি আর রেশন তুলতে পারবেন না?আঙুলের ছাপ যদি লক হয়ে যায় তাহলে মাসের রেশন পাওয়া যাবে কীভাবে? এই সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বায়োমেট্রিক লক থাকুক বা না থাকুক রেশন তুলতে কোনও অসুবিধা হবে না। যেহেতু উপভোক্তা এবং তাঁর পরিবারের সকলের আঙুলের ছাপ আগে থেকেই রেজিস্ট্রার হয়ে রয়েছে। তাই রেশন তোলার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না‌

রেশন দুর্নীতি রুখতে এই বায়োমেট্রিক চালু হয়েছিল। আগে একাংশ ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠত মজুত থাকা রেশন বেচে দেওয়ার। কিন্তু বায়োমেট্রিক লক হওয়ায় ডিলারদের সেই সুবিধা থাকছে না। যা পণ্য বেচে যাচ্ছে তার খবর চলে যাচ্ছে খাদ্য দফতরের কাছে। ফলে সেই পরিমাণ পণ্য তারা পাঠাচ্ছে রেশন ডিলারকে। তবে, অনেক সময় উপযুক্ত ইন্টানেটের অভাবে আঙুলের ছাপ নেয় না। তখন ওটিপি-র মাধ্যমে রেশন তুলতে হয়। এই পদ্ধতিতে অনেকটাই সেফ থাকবেন আপনি। বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরাও।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version