।। প্রথম কলকাতা ।।
Republic Day 2023: রাত পোহালেই প্রজাতন্ত্র দিবস। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে দিল্লিতে। ইতিমধ্যেই সুপার হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে রাজধানীতে। মূলত প্রজাতন্ত্র দিবসে নাশকতার আশঙ্কাতেই এই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, দিল্লির (Delhi) আশপাশেই জঙ্গিরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। তাঁরা এই দিনে হামলা চালাতে পারে বলে, আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর পুলিশ-প্রশাসন। এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) জন্য দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড, বিমানবন্দর সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে কড়া নজরদারি রেখেছে।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। বিমানবন্দরে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন তিনি। ২৪ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সফরে পাঁচ মন্ত্রী ও মিশরের একটি উচ্চপর্যায়ে প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে রয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মিশরের রাষ্ট্রপতিকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি ‘আনন্দবাজার অনলাইন’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই প্রথমবার পুরোপুরি দেশে তৈরি অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম দেখা যাবে কুচকাওয়াজ এবং ‘গার্ড অফ অনার’-এ। বহুদিন ধরে ভারতকে আত্মনির্ভর করে তোলার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই কথাই মাথায় রেখে এ বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসে ব্যবহার করা হচ্ছে দেশীয় অস্ত্র। এবার দেশে তৈরি কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের সঙ্গে পরিচিত হবেন মানুষ। দ্য ওয়াল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে ২১ বারের তোপধ্বনিতে ব্যবহার করা হবে দেশে তৈরি ‘১০৫ এমএম ইন্ডিয়ান ফিল্ড গান’। সেইসঙ্গে গেল বছর যাঁদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গোটা দেশজুড়ে, সেই অগ্নিবীররা যোগ দেবেন কুচকাওয়াজে।
এখন দিল্লিতে সাজো সাজো রব। শেষ মুহূর্তের তোড় জোর তুঙ্গে। এ বছর ৩৫০০ ড্রোনের শো নজর কাড়তে চলেছে সকলের। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’ নিজের শক্তি প্রদর্শন করবে। সেইসঙ্গে ‘এএলএইচ ধ্রুব ও ‘এএলএইচ রুদ্র’ কপ্টারকেও দেখা যাবে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, আগামীকাল প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন থেকেই আঞ্চলিক ভাষায় সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং নির্দেশিকা পড়তে পারবেন আমজনতা। বুধবার দেশের প্রধান বিচারপতি ডি-ওয়াই চন্দ্রচূড় এমনটাই জানিয়েছেন। গত ২ জানুয়ারি দেশের শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে ‘ই-এসসিআর’ নামক এক উদ্যোগের সূচনা করা হয়েছিল। এখানে অনলাইনে সুপ্রিম কোর্টের যে কোনও রায় পড়া যাবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমস্ত রায়ই লেখা থাকতো ইংরেজিতে। যে কারণে অনেক মানুষেরই সমস্যা হতো বলে মনে করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই সমস্ত অঞ্চলিক ভাষায় রায় প্রকাশ করার জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিচারপতি এএস ওকার নেতৃত্বে গঠিত ৬ সদস্যের এই কমিটি অনুবাদের বিষয়টি দেখবে। যদিও এখনই সব ভাষায় মিলবে না এই সুবিধা। আপাতত ১,০৯১টি মামলা আঞ্চলিক ভাষায় অনূদিত হচ্ছে। হিন্দি, তামিল, গুজরাটি এবং উড়িয়া ভাষাতেই এই মুহূর্তে এই সুবিধা মিলবে। তালিকায় নেই বাংলা, কিন্তু খুব শীঘ্রই অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাতেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম