পাকিস্তানের মাথায় ব্যাধি! দিল্লি দিল পাল্টা কড়া জবাব, পাক মহিলা বিদেশমন্ত্রী ব্লান্ডার করলেন

।। প্রথম কলকাতা ।।

পাকিস্তানকে বন্ধুত্বের পাল্টা বড় প্রতিক্রিয়া দিল দিল্লি। ভারত এখন পাকিস্তানের বাঁচার একমাত্র পথ শাহবাজ শরিফের মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে গদি ছাড়ার আগে। ইসলামাবাদের উপ বিদেশমন্ত্রী ভেবেছিলেন সবক শেখাবেন হয়ে গেল উল্টোটাই। বাঁচতে হলে একটাই পথ। ভারতের সঙ্গে কথা বলতে চায় পাকিস্তান। কিন্তু এরই মাঝেই ব্লান্ডার করে দিলেন পাকিস্তানের উপ বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। সরাসরি পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গিয়ে ভারতকে হামলা। যা বললেন তার ঠেলা ভুগতে হবে রাওয়ালপিন্ডিকে। বড়সড় রিয়াকশন দিয়েই দিল দিল্লি।

একটার পর একটা দরজা সপাটে বন্ধ হয়ে গেল পাকিস্তানের মুখের ওপর। পাকিস্তানিরা রীতিমত খিল্লি করছে শাহবাজ শরিফের বক্তব্যে। তারা বলছেন ভারত তো পাকিস্তানকে পাত্তাও দেয় না। তাহলে কি পাক প্রধানমন্ত্রীর গদি ছাড়ার আগে মানসিক সমস্যা হয়ে গেল কোনও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটা কনফিউশন তৈরি হচ্ছে কারণ শাহবাজ শরিফ বলছে তার দেশ দিল্লির সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রস্তুত। নেপথ্যে যাই প্ল্যানিং প্লটিং থাকুক না কেন এদিকে তারই সরকারের উপ বিদেশমন্ত্রীর তীব্র কটাক্ষ ভারতকে নিয়ে। প্রকাশ্য মঞ্চে ঠাট্টার সুরে ভারতকে পশ্চিমাদের ডার্লিং বলে রীতিমত কটাক্ষ। অবশ্য এক্ষেত্রে পাল্টা দিতে ভারতকে শব্দ খরচ করতে হয়নি। পাকিস্তানের কূটনৈতিক মহলই বলছে আসলে ভারত ডার্লিং অব দ্য ওয়ার্ল্ড এটা বলার দরকার ছিল। ভারত এমূহুর্তে আন্তর্জাতিক স্তরে যে অবস্থানে রয়েছে তাতে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশরা সমঝে চলে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম তো প্রশ্ন তুলছে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া পাকিস্তানকে বিশ্ব ডার্লিং বানাবেই বা কেন? এ নিয়ে পাকিস্তানিদের প্রশ্ন করলে তারা সরকারের বিরুদ্ধেই কথা বলছেন। তাদের দাবি শাহবাজ শরিফ গদি ত্যাগ করার আগে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত না বাড়িয়ে তাদের জন্য যদি কিছু ভালো করে যেত পাকিস্তানীরা দোয়া দিত। এদিকে এরই মাঝে ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া৷ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য সম্পর্কে অবগত আছেন ভারতের কূটনীতিকরা, তবে এই বিষয়ে ভারতের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট। প্রত্যেকটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই একইরকম সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হবে না। কিন্তু সেরকম সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সন্ত্রাস ও হিংসামুক্ত একটি পরিবেশ গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। এর মানে সোজা কথায় সন্ত্রাসমুক্ত যতদিন না হবে পাকিস্তান কোনওধরণের বার্তালাপই সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বিশ্লেষকেরা বলছেন একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখতে হবে পাক সরকারের ভিতরেই কিন্তু দু ধরণের মতামত, কেন? সূত্রের খবর পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ভারতের প্রতি বন্ধুত্বের হাতে বাড়ানোর বক্তব্যে নাকি রীতিমত অসন্তুষ্ট তাদের সরকারে থাকা বিলাবল ভুট্টোর দল। তবে পাকিস্তানের থিঙ্ক ট্যাঙ্কদের দাবি ভারতের সঙ্গে কথা বলার যে প্রস্তাব দিয়েছেন শরিফ এটা আরও আগে দেওয়া উচিত ছিল পাকিস্তানে। গদি ছাড়ার আগে যেন বুদ্ধি বাড়ল প্রধানমন্ত্রীর।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version