India America Pakistan: ভারতকে অবজ্ঞা করা আমেরিকা জব্দ হল মোদী মন্ত্রে! পাকিস্তান সাবধান, দুরত্ব বাড়ছে কয়েকগুণ

।। প্রথম কলকাতা ।।

India America Pakistan: ভারতকে নিয়ে ঠাট্টা করা আমেরিকা কি পালটে গেল মোদী ম্যাজিকে? যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ পাকিস্তানের শত্রু হয়ে উঠল কেন? সামনে খারাপ দিন আসছে ইমরান খানের কথা মতো মালিক-চাকরের সম্পর্কই সত্যি হল। গত ৮ বছরে মারাত্মক কান্ড ঘটিয়ে দিয়েছে ভারত। খবরটা জানেন? আমেরিকা নাকি ভুল থেকে খুব কমই শিক্ষা নেয়৷ ‘স্ট্র্যাটেজিক নার্সিসিজম’ বা ‘কৌশলগত নার্সিসিজম’ ভোগে আমেরিকা। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে উল্টেপাল্টে গেল সব হিসেব। পাকিস্তান যত শত্রু হচ্ছে ভারত ততই কাছে আসছে, নাকি উল্টোটা। বিশ্বের সুপারপাওয়ারের সঙ্গে যেচে সম্পর্ক কেন খারাপ করল পাকিস্তান? ভারত কি ফায়দা তুলবে পাক-মার্কিন সম্পর্কের অবনতির? আমেরিকার ভারতকে এত দরকার কেন? নেপথ্যে চিন -ই কি একমাত্র কারণ?

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসলামাবাদের আজ এই দশা একমাত্র তাদের নিজেদের কারণে। জানেন ভারতের সঙ্গে এখন গলায় গলায় বন্ধুত্ব হওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই একসময় রীতিমত মজা ওড়াতো দিল্লির। তাহলে কে ঘোরালেন গোটা খেলা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটা পয়েন্ট থেকেই ইসলামাবাদ দুচক্ষের বিষ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। পাকিস্তান সুবিধা নিয়েছে আর তার বদলে দিয়েছে লাগাতার বিশ্বাসঘাতকতা। এমন সময় এল যখন পাকিস্তানের শত্রু আর পাকিস্তানের মিত্র কিনা একসঙ্গে হাত মেলাল। সন্ত্রাসবাদে লাগাতার মদতই চালচুলো সবটা কেড়ে নেবে পাকিস্তানের৷ ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সময়কালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিচার্ড নিক্সন। প্রকাশ্যে সেসময় ভারতের সমালোচনা করতেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট গান্ধীর সঙ্গে সম্পর্ক একেবারেই ভালো ছিল না। ভারত প্রসঙ্গে নিক্সন নাকি বলেছিলেন ‘‘ওই দেশের মহিলারা পৃথিবীর সবচেয়ে কম আকর্ষণীয় এতে কোনও সংশয় নেই” মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন উক্তি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি৷ তবে ভারত যেন মধুর সম্পর্ক রেখেই বদলা নিল তার। মোড় ঘুরেছিল প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিংহ রাওয়ের আমলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ইসলামাবাদের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের যা সম্পর্ক বা ট্রাম্পের আমলে সে ইকুয়েশন ছিল তাতে ভারত কোনওভাবেই দায়ী নয়। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের পর থেকেই যেন চিড় ধরে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের সম্পর্কে। দূরত্ব বাড়ছে তারপর থেকে চরম বিশ্বাসঘাতকতা ওসামা বিন লাদেনকে অ্যাবোটাবাদে লুকিয়ে রেখেছিল পাকিস্তান।

ভারতের নামে নিন্দা কুৎসা করলেও আজ দেখুন মাথা নত করতেই হল আমেরিকাকে। তথ্য বলছে ১৯৯১ সালে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে ৫৪২ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক লেনদেন হয়। ১৯৯৮ সালে দ্বিতীয় বার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। সে সময় আমেরিকা- ভারতের বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ ১২২০ কোটি ডলার। বাজপেয়ীর জমানায় ১৯৯৮-২০০৪ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে ১০.৮ শতাংশ হারে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। কারণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমেরিকাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছিলেন বাজপেয়ী। এটা ভোলা যাবে না। ইমরান খানকে নিয়ে অশান্তি আবহেই আমেরিকা সোজাসাপটা বলে দিয়েছিল
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক চায় যুক্তরাষ্ট্র কোন বিশেষ দল বা প্রার্থীর সঙ্গে নয়। কূটনীতিবিদরা বলছেন শুধু বিজেপির আমলেই নয়। ২০০৪ -২০১৪ সাল পর্যন্ত মনমোহন সিংহ ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেই ১০ বছরেও আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক বৃদ্ধি ছিল চোখে পড়ার মতো। ২০০৪ সালে দুই দেশের মধ্যে ২২৫৬ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়। ২০১৪ সালে মনমোহন যখন কুর্সি ছাড়েন তখন বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৮৫৯ কোটি ডলার। আর মোদীর আমলে তো রীতিমত ম্যাজিক। নমোর আমলে ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক বৃদ্ধির হার ৯.২ শতাংশ। এর মানে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ৫০ বছরের পরিসংখ্যানের দিকে চোখ রাখলে বোঝা যায় আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক লেনদেনের গ্রাফ লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। আর এই পরিসংখ্যানই এখন ভয় ধরাচ্ছে পাকিস্তানের মনে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version