।। প্রথম কলকাতা ।।
সমুদ্রের নিচে রাক্ষুসে মাছেদের বাস, আছে এলিয়েনও! সমুদ্রের নিচে ঠিক কি আছে? কাঁড়ি কাঁড়ি সোনা রূপো হীরে জহরত নাকি বিশাল বড় সভ্যতা? জানতে ইচ্ছা হয় না? সমুদ্রের গভীরে আজ পর্যন্ত কেন কেউ যেতে পারেনি কেন মঙ্গলের জমি কিংবা সূর্য সম্পর্কে মানুষ বেশি জানে? সমুদ্র সম্পর্কে আপনি জানেন মাত্র পাঁচ শতাংশ। বাকিটা পুরোটাই অধরা। আরে এত প্রশ্নই সমুদ্রকে বেশি রহস্যময় করে তুলেছে। এর গভীরতা কত? শেষ কোথায়? সবথেকে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার, সমুদ্রের নিচে কারা থাকে। চলুন আজকে আপনাকে নিয়ে যাবো সমুদ্রে সেই রহস্যময় জগতে।
সমুদ্রের ২৭ থেকে ৪০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত স্কুবা ড্রাইভারদের যাবার অনুমতি আছে। ১০০ মিটার পর্যন্ত যাওয়া যায়, কিন্তু এখান থেকে জলের প্রেসার অত্যাধিক বাড়তে থাকে। শরীরের বিভিন্ন অংশে আলাদা আলাদা ভাবে আঘাত লাগতে পারে। ২১৪ মিটার পর্যন্ত পৌঁছে হাবার্ট নিচ নামক এক ব্যক্তি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছিলেন। ৩৩২পর্যন্ত মিটার পর্যন্ত গিয়েছিলেন ইজিপ্টের এক ব্যক্তি। সমুদ্রের ঠিক ৫০০ মিটার গভীরতায় আছে নীল তিমি। যত নিচে যাবেন জলের জলের প্রেসার ততই বাড়তে থাকবে। যেখানে নীল তিমিও যেতে পারে না। ৫৩৫মিটার গভীরতায় থাকে সামুদ্রিক বিশেষ পিঙ্গুইন। ৮৩০ মিটার গভীরতা ডুবে যাবে বুর্জ খলিফাও। ১০০০ মিটার গভীরতা থেকে শুরু হয়ে যায় ডেঞ্জারাস জোন। এখানে আলো পৌঁছায় না। রাজত্ব চালায় দৈত্যাকার স্কুইড। ১২৮০ মিটার গভীরতায় থাকে বিশেষ এক ধরনের কচ্ছপ, যাদের ওজন প্রায় ৭০০ কেজির বেশি। মানুষ এত এলিয়েন নিয়ে কথা বলে, সমুদ্রের গভীরে দু হাজার মিটার গভীরতায়ও কিন্তু রয়েছে রিয়েল লাইফ এলিয়েন। মূলত এরা ব্ল্যাক ড্রাগন ফিস। অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে। ২০৫০ মিটার গভীরে রয়েছে লাল রঙের রাক্ষুসে স্কুইড। ওজন প্রায় ৭৫০ কেজরও বেশি। এদের এক একটা চোখ খাবারের প্লেটের মতো। শরীরে রয়েছে ধারালো ব্লেড, যা দিয়ে শিকারকে নিমেষে ঘায়েল করে। প্রায় ৩৮০০ মিটার গভীরতায় আজও পড়ে রয়েছে টাইটানিক। ৪০০০ মিটারের পর থেকে শুরু হয়ে যায় রাক্ষুসে অ্যাঙ্গলার ফিসের জগত। যারা রক্ত শুষে ভ্যাম্পায়ারের মতো শারীরিক সম্পর্ক করে। শরীরে থাকে বিশেষ আলো, অন্ধকারেও এরা দেখতে পায়, তবে মানুষের চোখে ধরা পড়ে না। তারও গভীরে জমা পড়ে আছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাটেলশিপের অংশ। প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মিটারের নিচে একমাত্র পৌঁছাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র নেভির রিসার্চ সাবমেরিন। প্রায় ১০ হাজার মিটারের কাছে যন্ত্র পাঠিয়েছিল বিজ্ঞানীরা। সমুদ্রের অন্ধকারে কোন দৈত্যাকার জীব সেটাকে আক্রমণ করে। সেটা যে কি ছিল জানা যায়নি।
জানলে আশ্চর্য হবেন, সমুদ্রের নিচেও আছে আগ্নেয়গিরি। সক্রিয় আগ্নেয়গিরির সংখ্যা প্রায় ১০০ থেকে ১০০০ টি। পৃথিবীতে মোট আগ্নেয়গিরির চার ভাগের তিন ভাগ আছে সমুদ্রের নিচে। লাভা জমে তৈরি হয়েছে বড় বড় পাহাড়। গভীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষের বেশি জাহাজের ধ্বংসাবশেষ। যেন এক মৃত্যুপুরী। সমুদ্রের গভীর মানেই নিশ্চিদ্র অন্ধকার। যার পুরো সত্যিই এখনো মানুষের সামনে আসেনি। উচ্চ চাপ আর তাপের কারণে সমুদ্রের নিচে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অনেকেই ভাবেন সমুদ্রের নিচে আছে বড় ধরনের খাজানা। সোনা রুপো কিংবা বিলুপ্ত হওয়া কোন সভ্যতা। যদিও সেই প্রমাণ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে সমুদ্রের নিচে যেই রাক্ষুসে ভয়ঙ্কর সব প্রাণীদের আস্তানা, তার প্রমাণ বহুবার পাওয়া গিয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম