POK তে পাকিস্তানকে আল্টিমেটাম দিল্লির! কাকার চরম চাপে, ইসলামাবাদ হতবাক

।। প্রথম কলকাতা ।।

POK থেকে সরে যাও পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে হুমকি দিল্লির। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এ কোন নয়া অ্যাকশন ভারতের? আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুরো বেকাদায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কাকার। কানাডা নিয়ে দাদাগিরি করতে গেলে ভাবতে হবে ইসলামাবাদকে। পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রীর বোধহয় আরও অভিজ্ঞতা দরকার বলছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা। পিওকে নিয়ে পাকিস্তানের নির্বাচনের আগেই ভারত কোন অ্যাকশন নিতে চলেছে? পাকিস্তান একই বদভ্যাসের বারবার প্রয়োগ করলে ধমক তো খেতে হবেই। একেই কানাডা ইস্যু নিয়ে লাগাতার আলটপকা মন্তব্য ইসলামাবাদের আর এবার দিল্লি কার্যত চুপ করিয়ে দিল পাকিস্তানকে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে বড় বয়ান দিল্লির পাকিস্তান কার্যত চমকে গেলে ভারতের এমন ওপেন চ্যালেঞ্জে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি পেটাল গহলৌত বলে দিলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পাকিস্তান সরে যাও পাল্টা ইসলামাবাদ কী জবাব দিল?

পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকার সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনে মুখ খোলেন। হয়ত তিনি ভেবেছিলেন এভাবে ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলা যাবে কিন্তু সেটা তো হলই না বরং পাল্টা কাকার ও তাঁর দেশকে পড়তে হল চরম অস্বস্তিতে। ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি পেটাল গহলৌত কড়া সুরে বলেন পাকিস্তানের বদঅভ্যাস রয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে তারা বরাবর আন্তর্জাতিক মঞ্চকে কাজে লাগায়। রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য দেশ এবং বিভিন্ন সংগঠন এই ব্যাপারে অবগত যে নিজেদের অন্ধকার দিকটি থেকে নজর ঘোরাতেই আন্তর্জাতিক মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে এমনটা করে পাকিস্তান। সে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

এখানেই শেষ নয় গহলৌত আরো বলেন জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর পুরোপুরি ভারতের অংশ। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনও অধিকার নেই পাকিস্তানের। ব্যাস পাকিস্তান কার্যত থ হয়ে যায় দিল্লির এমন পাল্টা শুনে৷ এদিন পাকিস্তানকে শুধু কাশ্মীর ইস্যু চুপ করানোই নয় রীতিমত কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতেও।

দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখার জন্য পাকিস্তানকে পদক্ষেপ করতে হবে পেটাল গেহলট বলেছেন প্রথমত সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, অধিকৃত কাশ্মীর থেকে সরে যেতে হবে তৃতীয়ত, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় তা বন্ধ করতে হবে। ২০০৮-এর মুম্বই হামলার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেই মেসেজো দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। অনেকেই বলছেন পাকিস্তানে আর কয়েকমাস পরই নির্বাচন তার আগে রাষ্ট্রপুঞ্জে গিয়ে কার্যত মুখ পুড়িয়ে এল পাকিস্তান। পিওকে নিয়ে পাকিস্তানের ভয় কার্যত বাড়িয়ে দিল দিল্লি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version