দিল্লি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের আপস করিয়ে দিয়েছে? নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে তারাও

।। প্রথম কলকাতা ।।

নির্বাচনের আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে বড় ধাক্কা। ঘুরছে পাশা। পাল্টা চাল দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নয়, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে দেবে নিষেধাজ্ঞা! অনেক তো হল, আর সহ্য করবে না দেশটা। মুখে বলছে এক, অথচ তলে তলে চলছে আপসের নীতি। মাঝখান থেকে টেনে আনল দিল্লিকে। কারণটা কি? সবটাই কি গদি টিকিয়ে রাখার স্ট্র্যাটেজি? নির্বাচন নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে যুক্তরাষ্ট্র, আর সেখানেই চাই ভারতকে। কিন্তু কীভাবে? শুনুন তবে।

এই তো কিছুদিন আগেই, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বাইরের দেশ থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে, বাংলাদেশ তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা দিতে দুবার ভাববে না। এবার একই সুর গেল দেশটার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গলায়। আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞা দেবে। প্রয়োজনে সেই প্রস্তুতিও নেবে। যারা বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের উপর বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে, তা সময় হলে তিনি বলবেন।

নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণভাবে। মানুষ তার গণতান্ত্রিক মতে ভোট দেবে। একই দৃষ্টিকোণে সহমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্র। শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে বৈঠক হয়েছে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার। তলে তলে চলছে ক্ষতপূরণের চেষ্টা। এটা স্পষ্ট যে, কেউই নির্বাচন নিয়ে খুব একটা জল ঘোলা চাইছে না। এরই মাঝে হঠাৎ বিস্ফোরক বক্তব্য ওবায়দুল কাদেরের। টেনে আনলেন দিল্লির প্রসঙ্গ। ব্যাপারটা কি? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেই ফেললেন, কোথায় নিষেধাজ্ঞা, কোথায় ভিসা নীতি, তলে তলে আপস হয়ে গেছে। দিল্লি আছে, আমেরিকারও দিল্লিকে দরকার। দিল্লি আছে, আমরা আছি। শত্রুতা কারোর সঙ্গে হবে না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব হবে। শেখ হাসিনা সবার সঙ্গে ইতিমধ্যেই বন্ধুত্ব করে ফেলেছেন। খটকাটা এখানেই। তাহলে কি এই বন্ধুত্বটা করলেন দিল্লির মাধ্যমে? হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্র আর বাংলাদেশের মাঝখানে দিল্লির প্রসঙ্গ এলই বা কেন? দিল্লি থাকলে বাংলাদেশ থাকবে, এর মানেটা কি? যার জেরে প্রশ্নের ঝড় উঠেছে সমালোচক মহলে।

ভারতে কিন্তু এই বিষয়ে কিছুই বলছে না। একদম চুপ। বরং বারবার বলে এসেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন হবে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিকভাবে। সেখানে হস্তক্ষেপের কোন ব্যাপারই নেই। দিল্লি এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য রাখেনি। যুক্তরাষ্ট্রের ইস্যুতে শেখ হাসিনা আর ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য তাহলে কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে? হাসিনার কথায়, ভিসা নীতি কার্যকর হোক আর না হোক বাংলাদেশের উদ্বেগের কিছুই নেই। অপরদিকে ওবায়দুল কাদের বোঝাতে চাইছেন, ভারত আর বাংলাদেশের বন্ধুত্ব এবং জাতীয় স্বার্থ এক সুতোয় বাঁধা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে আলাদা করে ভাবার অপশনই নেই।

বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এবং মর্যাদা আগের থেকে অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই তো বাংলাদেশের মাটিতে বেড়েছে বিদেশীদের আনাগোনা। অন্যান্য দেশগুলো চাইছে বাংলাদেশের সঙ্গে বেশি করে যোগাযোগ রাখতে। ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বহু দেশ তাদের পণ্য রপ্তানি করতে চলে আসছে বাংলাদেশে। তাই ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই। বাংলাদেশও চাইলে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। এমনটাই মনে করছে দেশটার শাসকদল।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version