।।প্রথম কলকাতা।।
Lips care tips: শীতকালে সমস্যা হয় ঠোঁটে। যত্ন একটু কম হলেই অনেকের ঠোঁট শুকিয়ে যায়। ঠোঁট ফেটে চামড়া উঠতে শুরু করে। এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়। ঠোঁটেও তার প্রভাব পড়ে। চামড়া উঠতে পারে। এমনকী ঠোঁট ফেটে রক্তপাতও হতে পারে। তাই ঠোঁটের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ঠোঁট (lip) নরম রাখার জন্যে বাড়িতেই যত্ন নিতে হবে। এতে ঠোঁট থাকবে গোলাপি, নরম এবং সুন্দর। ঠোঁটের গোলাপি রঙ ধরে রাখতে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা মেনে চলুন।
প্রায় সবার বাড়িতেই অ্যালোভেরা (aloevera) গাছ রয়েছে। অ্যালোভেরার পাতার ভেতর যে জেল রয়েছে তা আপনার ঠোঁটের জন্য খুবই ভালো। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। ঠোঁটকেও রাখে নরম।বাজারচলতি অ্যালভেরা জেলও কিনতে পারেন। এর সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়েও তা ঠোঁটে লাগাতে পারেন।শুধু অ্যালোভেরা জেলও ঠোঁটে লাগাতে পারেন। উপকার পাবেন। আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতার ঘাটতি হবে না।
ঘি আমাদের সবার বাড়িতেই আছে। ঘি-এ এমন কিছু উপাদান আছে, যা আপনার ত্বক এবং ঠোঁটের জন্য খুবই ভালো। আপনার ঠোঁট যদি খুব শুষ্ক হয় এবং চামড়া উঠতে থাকে তবে ঠোঁটে নিয়মিত ঘি লাগান। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ঘি লাগিয়ে নিন। আঙুলে( finger) করে ঘি নিয়ে ঠোঁটে সামান্য মালিশ করে নিলেই হবে। নিয়মিত লাগালেই চোখে পড়বে পরিবর্তন।
ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার জন্যে মধু( honey)ব্যবহার করুন। মধু খুব ভালো প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। এই প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজারের সাহায্যে আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারবেন। মধুর গুণে ঠোঁটের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় থাকবে। সহজে ঠোঁট ফাটবে না।শুধু মধু ঠোঁটে লাগাতে পারেন।মধুর সঙ্গে সামান্য পরিমাণ গ্লিসারিন মিশিয়েও তা ঠোঁটে লাগাতে পারেন। আঙুলে বা কটন বাডে সামান্য মিশিয়ে লাগিয়ে নিন ঠোঁটে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে লাগান। সারারাত ওভাবেই রেখে দিন। পরের দিন সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন।
ঠোঁটে লাগাতে পারেন এমন অল্প পরিমাণে দুধ(Milk) নিন। একটি পাত্রে এই দুধের মধ্যে কয়েকটি গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রাখুন। ৩ ঘণ্টা ওভাবেই রেখে দিন। তারপর সেই দুধ দিনে অন্তত ২-৩ বার ঠোঁটে লাগান। এতে সারাদিন আপনার ঠোঁটে আর্দ্রতা বজায় থাকবে। ঠোঁট থাকবে নরম এবং গোলাপি আভা দেখেও তাক লাগবে।
ঠোঁট শুকিয়ে গেলে জিভ ছোঁয়াবেন না। এতে ঠোঁট আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।ঠোঁট শুষ্ক হয়ে গেলে তার ভালোভাবে যত্ন নিন, নাহলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করে মৃত কোষ সরিয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁট বেশি ভালো থাকবে। সঠিক লিপবাম (lip balm) ব্যবহার করুন। যে লিপবামে কর্পূর, ইউক্যালিপটাসের মতো উপকরণ আছে, তা ব্যবহার করবেন না।ঠোঁটে পেট্রলিয়াম জেলি লাগাতে পারেন।ঠোঁট ময়শ্চারাইজ করুন নিয়মিত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম