Covishield side effects: কোভিশিল্ডের মারাত্মক সাইড এফেক্ট! কতটা ঝুঁকিতে রয়েছে আপনার জীবন? যা বলছেন চিকিৎসকরা

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Covishield side effects: কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনে মারাত্মক সাইড এফেক্ট! ইংল্যান্ডের পর ভারত, জানেন কোভিশিল্ড ঠিক কতটা বিপজ্জনক? আপনিও কি কোভিশিল্ডের টিকাই নিয়েছেন? টিকা নেওয়ার পরে রাতের ঘুম উড়েছে আপনারও? জানেন, ঠিক কতটা বিপদের মধ্যে রয়েছেন আপনি? ঠিক কতটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আপনার জীবন?

 

করোনাকালের ভয়াবহতার কথা মনে আছে নিশ্চয়? ভয়ঙ্কর কঠিন দিন দেখেছে গোটা বিশ্ব। সেইসব দিনের কথা মনে পড়লে আজও কেঁপে ওঠে সাধারণ মানুষ। সেই সংক্রমণ থেকে বাঁচতেই তৈরি করা হয়েছিল জীবনদায়ী ভ্যাকসিন। আর এবার সেই ভ্যাকসিনই হয়ে উঠল বিষ। অতিমারী থেকে বাঁচার ‘রক্ষাকবচ’ বলে দাবি করা কোভিশিল্ডে রয়েছে ভয়ংকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সম্প্রতি সেই কথা স্বীকারও করে নিয়েছে ওষুধ নির্মাণ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

 

খবর চাউর হওয়ার পর থেকেই ছড়িয়েছে উত্তেজনা। যারা কোভিশিল্ড ভ্যকসিন নিয়েছেন তাদের মনে উঠছে নানা প্রশ্ন। ঠিক কী হতে পারে এই ভ্যাকসিন থেকে? টিকা করণের কতদিন পর দেখা যাবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া? কীই বা হবে সেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায়? জীবনদায়ী এই ভ্যাকসিনের জন্যই কি এবার প্রাণ হারাতে হবে আম জনতাকে? এবার এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

 

কোভিশিল্ড নিয়ে যে প্রশ্নটা সবচেয়ে বেশি উঠছে তা হল, কোনোভাবে হার্ট অ্যাটাকের কারণ এই ভ্যাকসিন? এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা বলছেন, আপাতত এর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটি এখনও গবেষণার বিষয়। তবে চিকিৎসকদের মতে, দেশের সিংহভাগ মানুষ এখনও সুরক্ষিত আছেন। কারণ, প্রতি ১০ লাখে মাত্র ৭ থেকে ৮ জনের শরীরেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

 

এছাড়াও আমার আপনার অনেকের মনেই প্রশ্ন, টিকা করণের এত বছর পরেও কি কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে? জবাবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনও ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ যারা টিকা করণের এতদিন পরেও সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন তাদের চিন্তা করার বিশেষ কারণ দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

 

এছাড়াও আরও একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষের মনে। তা হল, কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার উপসর্গ কী? ঠিক কি দেখে বুঝবেন আপনার শরীরেও কোভিশিল্ডের খারাপ প্রভাব পড়েছে কী না?

 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ভ্যাকসিনের প্রভাবে যে রোগটি হতে পারে তা হল TTS ওরফে থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমের। হ্যাঁ, এটি একটি বিরল রোগ। এই বিরল রোগে শরীরের নানা জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। কমে যেতে পারে রক্তে প্লেটলেটসের মাত্রা। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর ফলে মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা, পেটে যন্ত্রণা, পা ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, ফিট হওয়া বা জ্ঞান হারানো এমনকি ভাবনাচিন্তা করার ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনার আশেপাশের কারোর মধ্যে যদি এমন কোনও উপসর্গ দেখছেন তাহলে তাকে অবশ্যই চিকিৎসকদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিন। সেই সাথে নিজেও সতর্ক হন এবং চারপাশের মানুষকেও সতর্ক করুন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

 

 

Exit mobile version