Bronze: রান্নাঘরে কাঁসার বাসনেই সারবে হাজারো রোগ, গাদা গাদা ওষুধের প্রয়োজন নেই

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bronze: কাঁসার পাত্রে ভাত খাওয়া কিংবা কাঁসার গ্লাসে জল খাওয়ার চল প্রায় উঠে গিয়েছে। অথচ ৪০ থেকে ৫০ বছর আগে বাড়িতে বাড়িতে গ্লাস হিসেবে ব্যবহার করা হত কাঁসা (Bronze) কিংবা তামা। কাঁসা মূলত একটি মিশ্র ধাতু, যেখানে তামা (copper) থাকে। প্রায় ৭৮ শতাংশ তামার সঙ্গে মেশানো হয় ২২ শতাংশ টিন। তামা অত্যাধিক তাপমাত্রায় গরম করে তৈরি করা হয় এই সুপার ধাতু। সাধারণত সরাসরি তামার সংস্পর্শে নোনতা কিংবা টক জাতীয় খাবার প্রতিক্রিয়া তৈরি করে কিন্তু তামা টিনের সংকর ধাতু কাঁসার পাত্রে খাবার খেলে সেই প্রতিক্রিয়া হয় না। বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত কাঁসার পাত্রে খাবার খান কিংবা জল পান করেন তাহলে হাজারো রোগ তাকে ছুঁতে পারবে না। কাঁসার পাত্রে রয়েছে আশ্চর্য ক্ষমতা যা আপনাকে দৈনন্দিন গাদা গাদা ওষুধ থেকে দূরে রাখবে।

(১) প্রতিদিন কাঁসার পাত্রে খাবার খেলে শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্টেরর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষত থেকে রক্ষা করবে এবং ক্যানসার থেকে দূরে রাখবে।

(২) যারা বাত কিংবা আর্থ্রাইটিসে বেশি ভুগছেন তাদের জন্য কাঁসার পাত্রে খাবার খাওয়া উপকার বলে বিবেচিত হয়। কারণ তামায় রয়েছে প্রদাহ বিরোধী গুনাগুন। যা বাতের সমস্যা কমায়।

(৩) কোন ব্যক্তি যদি রোজ কাঁসার পাত্রে খাবার খান তাহলে শরীরে তামার ঘাটতি দূর হয়। পাশাপাশি বৃদ্ধি পায় মস্তিষ্কে থাকার নিউরনের কার্যক্ষমতা। যার কারণে স্মৃতিশক্তির উন্নয়ন ঘটে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার বৃদ্ধি হয়।

(৪)কাঁসার থালায় সংক্রমণের আশঙ্কা খুব কম। উপরন্তু কাঁসা জলে লুকিয়ে থাকা ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে। তাই নিয়মিত কাঁসার পাত্রে জল কিংবা খাবার খেলে ছোট বড় নানান সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

(৫) একটা সময় ছিল যখন বহু মানুষ কাঁসার পাত্রে জল সারা রাত রেখে দিতেন। তারপর সকালে উঠে সেই জল পান করতেন। আসলে কাঁসার মধ্যে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা পাকস্থলীতে থাকা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সক্ষম।

(৬) কাঁসার পাত্রে খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক, আলসার, পাকস্থলী ইনফেকশন, বদ হজম প্রভৃতি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। পাশাপাশি লিভার এবং কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে । শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন দূর হবে।

(৭) কাঁসায় রয়েছে এমন উপাদান যা মানুষের রক্তের মেলালিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। রোজ কাঁসার পাত্রে খাবার খেলে ত্বকের কোমলতা এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এই অভ্যাস শ্বেতি রোগের ক্ষেত্রে বেশ উপকারী।

বর্তমানে কাঁসা কিংবা তামার বাসনের জায়গা দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিক, স্টিল, অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতু। প্লাস্টিকের ব্যবহার যে মানব জীবনের জন্য ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর তা কমবেশি সবাই জানেন। স্টিলে খুব একটা ক্ষতি না হলেও, উপকার পেতে প্রতিদিন কাঁসার বাসন ব্যবহার করতে পারেন। সেই প্রাচীন কাল থেকে রান্নার কাজে কাঁসার বাসন ব্যবহার করা হয়ে আসছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version