।। প্রথম কলকাতা ।।
কুক আইল্যান্ডস আর নিউই দ্বীপে কোন গুপ্তধনের সন্ধান পেলেন বাইডেন? ইন্দো-প্যাসিফিকের খেলায় নতুন ট্যুইস্ট। চীন পুরো দিশেহারা, কালঘাম ছুটছে। দু-দুটো দ্বীপকে কী সাধে কবজা করলো যুক্তরাষ্ট্র? অশনি সংকেত, চীনের জন্য জীবন্ত ফাঁদ দুই রহস্যময় দ্বীপ। তলে তলে বড় ইক্যুয়েশন ইন্দো প্যাসিফিক’ অঞ্চলকে মুক্ত ও অবাধ করতে কিনা করছে যুক্তরাষ্ট্র? আর এবার তো সরাসরি দুটো দ্বীপকে দখল করে নিল বাইডেনের দেশ।
প্রশান্ত মহাসাগরের দ্য কুক আইল্যান্ড আর নিউই দ্বীপকে নিয়ে বেনিফিট এর লম্বা লিস্ট বাইডেনের হাতে। এই দুটো দ্বীপ যুক্তরাষ্ট্রের আয়ত্তে থাকলে ‘ইন্দো প্যাসিফিক’ অঞ্চল মুক্ত ও অবাধ হবে, ধারণা বাইডেনের। এই পদক্ষেপ ওই অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের যে এফেক্ট তার সঙ্গে মোকাবিলা করতেও সাহায্য করবে। এই পদক্ষেপ ওই অঞ্চলে বেআইনি ভাবে মাছ ধরা আটকাতেও সাহায্য করবে। এতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে হাঁটবে ওই অঞ্চল। আর ঠিক এই কারণেই প্রশান্ত মহাসাগরের নিউই দ্বীপ ও কুক আইল্যান্ডস কে অবশেষে স্বাধীন করা হল। এই দুটো দ্বীপকে ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে’র মর্যাদা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনকে এই অঞ্চলে চাপে রাখতেই এই ডিসিশন।
স্বীকৃতি দেওয়ার পরপরই এই দুই দ্বীপ রাষ্ট্রের সঙ্গে তড়িঘড়ি কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরুয়াত করে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমেই কুক ও নিউই দ্বীপে ঢালাও ইনভেস্ট করছে বাইডেন প্রশাসন। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে, গণস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট এর প্ল্যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চীনের কিন্তু প্যালপিটিশন বাড়ছে। হঠাৎ কেন কুক আর নিউইয়ে নজর পড়ে গেল বাইডেনের? স্বশাসিত হলেও নিউ জিল্যান্ডের উপর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির জন্য নির্ভরশীল ছিল এই দ্বীপ দুটো আর বিশ্ব রাজনীতিতে বেশ কয়েক বছর গুরুত্বহীন হয়ে ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের এই অঞ্চল। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ক্ষমতার লড়াইয়ে বেশ অর্থবহ হয়ে উঠেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চল। যে অঞ্চলকে ঘিরে লক্ষ্যণীয় মাত্রায় বাড়ছে চীনের অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক আগ্রহ। দু’টি দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি হলেও প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক এলাকায় তাদের দখল কিন্তু খুব কম নয় আর তাই যুক্তরাষ্ট্র এই দুটো দ্বীপকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করলো যুক্তরাষ্ট্র। সবটাই কি দিখাবা? আদতে কী যুক্তরাষ্ট্রের বড় এফেক্ট কাজ করবে কুক আর নিউই দ্বীপে? চীন কি পুরোটা চুপচাপ বসে দেখবে? বাইডেন বড় রিস্ক নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা এমন একটি সময়ে এলো, যখন দোরগোড়ায় ১৮টি সদস্যদের নিয়ে প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম। এই ফোরাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় প্রভাব বিস্তারের বড় হাতিয়ার! এই ফোরামে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ছোট দ্বীপপুঞ্জ কিন্তু এই ফোরামে নেই সলোমন দ্বীপের প্রধানমন্ত্রী মানাসেহ সোগাভারে, কারণ তার দেশ চীন ঘনিষ্ঠ। অতএব সেদিক থেকেও চীন ধাক্কা খাচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারছে না শি এর দেশ। সেখানে কৌশলে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলকে নিরাপদ, মুক্ত, অবাধ ও উন্নয়নমুখী করতে অ্যামেরিকা বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা দিতে কোন পথে হাঁটে চীন? এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম