Amazing Discovery: ভুল করে আবিষ্কার হয়েছে কোকা কোলা আর পটেটো চিপস! রয়েছে অবাক করা পদ্ধতি

।। প্রথম কলকাতা ।।

Amazing Discovery: কথায় বলে, ভুল করলে মাশুল গুনতে হয়। ভুল করলে অধিকাংশ সময় খেসারত দেওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। জানেন কি এই পৃথিবীতে এমন কিছু ভুল আছে যার জন্য আবিষ্কার হয়েছে মজার মজার জিনিস। সবার প্রিয় কোকা কোলা কিংবা পটেটো চিপস, এগুলি ভুল করে আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা কোকাকোলা বা পটেটো চিপসের জন্য আলাদা করে কোন গবেষণা চালাচ্ছিলেন না। কাজ করছিলেন অন্য কোন জীবন জিনিস আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে। তার মাঝেই হঠাৎ করে উদ্ভব হয়ে গিয়েছে এই জিনিসগুলি। বহু মানুষের প্রিয় কোকাকোলা আর পটেটো চিপস এখন এতটাই জনপ্রিয়, যদি বলা হয় এগুলি ভুলের আবিষ্কার তাহলে একটু হলেও রাগ হবে। হয়ত ভাববেন ভাগ্যিস ভুলটা হয়েছিল।

(১)জানলে আশ্চর্য হবেন পেসমেকার আবিষ্কার হয়েছিল হঠাৎ করেই। এটি এমন একটি ডিভাইস যা মানুষের অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে। পশুদের হৃদস্পন্দনের শব্দ রেকর্ড করার জন্য একটি অসিলেটের আবিষ্কার হয়েছিল। আবিষ্কর্তা মনের ভুলে একটি ট্রানজিস্টার সেই যন্ত্রে স্থাপন করেন। তারপর হঠাৎ করে সুইচ অন করতে চেনা একটি শব্দ পাওয়া যায়। সেই শব্দ হুবহু মিলিয়ে যায় মানুষের হৃদস্পন্দনের সঙ্গে। সেই যন্ত্র আজকের পেসমেকার নামে পরিচিত।

(২)চিনির অন্যতম বিকল্প হিসেবে পরিচিত স্যাকারিন। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবারে স্যাকারিন ব্যবহার করা হয়। সময়টা ১৮৭৯ সালের কথা। সেই সময় গবেষণাগারে নানান রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কাজ করছিলেন বিজ্ঞানী কনস্টাইন ফাহলবার্গ। তিনি কাজে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে বুঝতেই পারেননি কখন ঘড়ির কাঁটা দৌড়ে অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তাড়াহুড়ো করে খাবার সময় লক্ষ্য করেন মিষ্টি জাতীয় খাবার প্লেটে নেই, অথচ স্বাদ অনুভব করছেন এক্কেবারে মিষ্টির মত। যার অন্যতম কারণ তার হাতের আঙুল। সেখানেই ছিল বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ। মজা পেয়ে বিষয়টি নিয়ে আরো বিশদে গবেষণা শুরু করেন। তারপরে আবিষ্কার হয়ে যায় চিনির বিকল্প স্যাকারিন।

(৩)১৮৮৬ সালে মাথা ব্যাথার টনিক হিসেবে আবিষ্কার হয়েছিল এক ধরনের সিরাপ। সেটি প্রথম দিকে ঠান্ডা জলের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতি গ্লাস অনুযায়ী বিক্রি করা হত। সেই পানীয় রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। হঠাৎ এক ক্রেতা সেই পানীয় কিনতে গেলে তাকে ঠান্ডা জলের পরিবর্তে কার্বনেটেড মেশানো জলের সঙ্গে মিশ্রিত সিরাপ দেওয়া হয়। আর তখনই আবিষ্কার হয় কোকা কোলা।

(৪)১৮৫৩ সালের দিকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই জনপ্রিয় একটি খাবার ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের এক রেস্তোঁরায় এক গ্রাহক ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের আলুগুলো মোটা বলে রীতিমতো অভিযোগ করতে শুরু করেন। তার বারংবার অভিযোগে বিরক্ত হয়ে রাঁধুনী সেই আলুর টুকরো গুলিকে একদম পাতলা কাগজের মতো করে কেটে ফ্রাই করেন। সেগুলি মচমচে করে ভেজে লবণ মাখাতেই তৈরি হয়ে যায় আপনার প্রিয় পটেটো চিপস।

(৫)কোন সখে জিনিস ভাঙলে প্রথমেই মাথায় আসে আঠার কথা। জানেন কি, রীতিমত কাকতালীয়ভাবে আবিষ্কার হয়েছিল সুপার গ্লু। ১৯৮২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন মিত্র বাহিনীর জন্য ডঃ হ্যারি কুভার গবেষণা চালিয়ে এক ধরনের আঠা তৈরি করেছিলেন। যদিও তখন এই আঠা নিয়ে খুব একটা হইচই পড়ে যায়নি। ঠিক তার নয় বছর পর সেই আঠা দিয়ে যখন এক জোড়া রিফ্রাকটোমিটার প্রিজমের মাঝে ব্যবহার করেন, তখন দেখেন সেগুলি একে অপরের সঙ্গে শক্তভাবে আটকে রয়েছে। তারপরেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে সুপার গ্লুয়ের জাদু।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version