Mary, mother of Jesus: বড়দিন মানেই যিশুর মা মেরির নাম উচ্চারিত হয়, কেন জানেন?

।।‌ প্রথম কলকাতা ।।

Mary, mother of Jesus: সামনেই বড়দিন। সেজে উঠছে চার্চগুলি। গোলাপে, মোমবাতিতে (Candel) প্রার্থনায় রচিত হয় স্বর্গীয় পরিবেশ। অনেক চার্চেই বিভিন্ন মডেলে ফুটিয়ে তোলেন যীশুর জন্ম বৃত্তান্ত। যীশুর সঙ্গেই থাকে মা মেরির কথা।

ইতিহাস বলে ২৪ ডিসেম্বর রাতে বেথেলহেমের এক গোশালায় কুমারী মা মেরির কোলে জন্ম (Birth) হয় যীশুর। বলা হয় বিশ্ব থেকে হিংসা ভেদাভেদ মুছে ফেলতেই জন্ম হয় তাঁর। চলুন জেনে নেওয়া যাক মা মেরির কথা।

সে বহু বহু বছর আগের কথা। নাজারেথ নামে এক স্থান ছিল। সেখানে মরিয়ম (Mary) নামে এক মহিলা বাস করতেন। তিনি জোসেফ নামে এক ব্যক্তির প্রেমে পড়েন। একদিন ঈশ্বর জিব্রাইল নামে পরীকে দূত হিসেবে মরিয়মের কাছে পাঠালেন। জিব্রাইল মরিয়মকে বলেন ঈশ্বর মানুষকে সাহায্য করার জন্য পৃথিবীতে একটি পবিত্র আত্মা পাঠাচ্ছেন। সেই আত্মা মরিয়মের পুত্র হিসেবে জন্মগ্রহণ করবে। তার নাম হবে যিশু।

অবিবাহিত মেরি চিন্তায় পড়লেন। পরী তাকে এ কথাও বললেন, এটা হবে ঈশ্বরের অলৌকিক ঘটনা। এ কথা শুনে মরিয়ম ঈশ্বরের কথায় রাজি হলেন। তিনি এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এবং তিন মাস পর ফিরে এসেছিলেন। ততক্ষণ তিনি অন্তঃসত্ত্বা।

এতে জোসেফ চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি মরিয়মকে বিয়ে না করার কথা ভাবতে শুরু করেন। কিন্তু একদিন রাতে ঘুমের মধ্যে একজন জোসেফকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে তাকে ঈশ্বরের ইচ্ছার কথা বলেন। ঈশ্বরের কথা অনুযায়ী জোসেফ পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মেরিকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তারা বেথেলহেমে যান। সেখানে পৌঁছে তারা দেখতে পেলেন সেখানে প্রচুর ভিড়। তাদের থাকার জায়গা নেই। তারা একটি পশুর শস্যাগারে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে মরিয়ম ঈশ্বরের পুত্র জন্ম দেন। তার নাম রাখেন যিশু। ঈশ্বর আকাশে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের মাধ্যমে যীশুর জন্ম নির্দেশ করেছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের জ্ঞানী গুণীরা সেই নক্ষত্র দেখে যীশুর জন্মস্থানে পৌঁছন। তারা শিশু এবং তার পিতামাতার জন্য উপহার (Gift) নিয়ে আসেন। বেথেলহেমের অন্যান্য অংশে যেখানে রাখালরা পশু চড়াতেন ঈশ্বরের দূতরা সেইসব জায়গায় গিয়ে তাদের সুসংবাদ দিতে লাগলেন। উপহার বিলি করলেন। খুশি হয়ে রাখালরা পৃথিবীতে পবিত্র আত্মাকে স্বাগত জানাতে গান গেয়েছিল। যিশুর জন্ম উপভোগ করতে উৎসবে মেতে উঠেছিল। দিনে দিনে তা আজকের বড়দিনের উৎসবে পরিণত হয়েছে। যতদিন এই উৎসব থাকবে ততদিনই উচ্চারিত হবে মা মেরির নাম।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version