।। প্রথম কলকাতা ।।
চাঁদ দেখতেও পাকিস্তানের ভরসা চীন। ভারতের দেখাদেখি চাঁদ ছোঁয়ার লোভ। সেটুকুও একার দ্বারায় সম্ভব হলো কী? চীন কেরামতি দেখাবে চাঁদের অন্ধকার পিঠে। ফিরেও আসবে? আর পাকিস্তানের স্যাটেলাইট শুধু দূর থেকে দেখবে? ছুঁতে না পেরে, কাছ থেকে দেখাই সই। চন্দ্রযান তিন কিন্তু সহজ কথা নয়, ভারত পেরেছে। চীন-পাকিস্তানের কাছে কী শুধুই স্বপ্ন?
ভারতের চন্দ্রযান ৩ মিশন সাকসেসফুল। মহাকাশ জয়ে চীন ভারতকে টেক্কা দিতে মরিয়া। তাই, শি এর দেশ চাঁদের অন্ধকার পিঠকেই বেছে নিল। রিস্ক নিল চীনের মহাকাশ সংস্থা চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মানে সিএনএসএ। মুন মিশন চাং-ই ৬ যাচ্ছে চাঁদে। না, শুধু যাওয়াতেই থেমে থাকবে না চীন। চাঁদের মাটি থেকে তুলে আনবে নমুনা। হ্যাঁ, একদম ঠিক আন্দাজ করেছেন। চাং-ই ৬ ফিরবে পৃথিবীতে, পৃথিবীর বুকে। শুধু চীন নয়, সঙ্গে যাবে আরো অনেকগুলো দেশ। মুন মিশন সাকসেসফুল করার পাশাপাশি চীনের টার্গেট আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নীত ও শক্তিশালী করা। তাই, চাং-ই ৬ এর সঙ্গে যাবে পাকিস্তান এর কিউবস্যাট উপগ্রহ, ফ্রান্সের ড্রোন রেডন ডিটেকশন ইন্সট্রুমেন্ট, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির নেগেটিভ আইরন ডিটেক্টর, ইতালির লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর। স্থানের কিউব সেট অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটা উপগ্রহ। মূলত বর্গাকার একটা বক্স।
চাঁদ ছোঁয়া তো দূরস্ত। কাছ থেকে শুধু চাঁদকে দেখতে পারবে পাকিস্তান। চাঁদের কক্ষে কিউবস্যাট উপগ্রহটিকে প্রতিস্থাপিত করা হবে যা চাঁদের চারপাশ ঘুরে চাঁদকে আরও কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে। মোদ্দা কথা, চীনের ভরসায় চাঁদ দেখবে পাকিস্তান। চীনের এই মুন মিশন নিয়ে জোর কদমে চলছে গবেষণা। ভারতের চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্য দেখে হিংসায় জ্বলছে চীন। আর তাই, চীন চাঁদের ফার সাইড থেকে নমুনা আনার ডিসিশন নিয়ে ফেলেছে। এখনো পর্যন্ত চাঁদ বা চাঁদের মাটি থেকে যতগুলো নমুনা এসেছে সবটাই নেয়ার সাইড এর। অর্থাৎ চাঁদের যে দিকটা আমরা দেখতে পাই সেটাই নেয়ার সাইড আর যেদিকটা আমরা দেখতে পাই না সেটাই চাঁদের অন্ধকার দিক মানে ফার সাইড। আর সাইড কে অত্যন্ত প্রাচীন বলে মনে করা হয়। আইটকেন অববাহিকা রয়েছে সেখানেই। চাঁদের তিনটে বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বিশিষ্ট ভূমি অংশ গুলোর মধ্যে একটা এই জায়গাটা দক্ষিণ মেরুর কাছেই, যার বৈজ্ঞানিক মূল্য অনেক।
চলতি বছরে, ভারতের ইসরো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রজান ৩ এর সফট ল্যান্ডিং করিয়েছে। ভারতকে নিয়ে চারিদিকে ধন্য ধন্য করে গেছে। তারপরই চাঁদের ফার সাইডে পা রাখতে মরিয়া বেজিং। চীনের ওই মিশন ২০২৪ সালের প্রথম দিকে হতে পারে যে মিশনের সাগরেদ হবে পাকিস্তান। কিন্তু, সাকসেসফুল হতে পারবে কী?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম