হামাসের মতোই ফেঁসে গেল চীন ? বেজিংয়ের ছায়ায় ভয়, ভারতকে টেনে নিল তাইওয়ান

।। প্রথম কলকাতা ।।

হামাসের মতোই পালানোর পথ পাবেনা চীন? চীনের মেরুদণ্ড ভেঙে দিল তাইওয়ান? গোপনে ভারতের হাতে কোন ব্রহ্মাস্ত্র তুলে দিল তাইপে? কাতারে কাতারে ভারতীয়, কেন ছুটে যাচ্ছে তাইওয়ানের দিকে? কোন গুপ্তধনের সন্ধান তাইওয়ানের মাটিতে? ইসরাইলের পর তাইওয়ান, ঢেলে দিল ভারতকে। জানেন? কিভাবে শুকিয়ে কাঠ হবে বেজিং? চীনের ছায়া তাইওয়ানেও? বুড়িয়ে যাওয়াকেই ভয়? এক লক্ষের লাইফ সেট, রাতারাতি হাতে চাঁদ পেল ভারত। চীনকে উড়িয়ে দিল ভারত। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ভারত দ্বীপ রাষ্ট্র তাইওয়ানের কতটা কাছাকাছি।তাইপের হাতে এবার মোক্ষম অস্ত্র। নড়ে যাবে ভিত।ভারতকে দিল বড় সুযোগ। সত্যিই কি লটারি পেলো ১ লাখ ভারতীয়? একেই বলে সোনায় সোহাগা।ব্লুমবার্গের রিপোর্ট বলছে, তাইওয়ান বিভিন্ন কারখানা, কৃষি, স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ বিভিন্ন সেক্টরে অন্তত এক লক্ষ ভারতীয় কর্মীকে নিয়োগ করতে চাইছে।

ডিসেম্বরের মধ্যেই কর্মসংস্থান চুক্তি স্বাক্ষর করবে ভারত তাইওয়ান। যে আলোচনা একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু তাইওয়ান ভারত থেকে এতো কর্মী নেবে কেন? বড় প্রশ্ন। দ্বীপ রাষ্ট্র টার ভেতরে কী চলছে জানুন। বর্তমানে তাইওয়ান জনসংখ্যার সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে তাইওয়ানে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। ফলে অল্পবয়সী কর্মীর সংখ্যা সেখানে কমে যাচ্ছে। বয়স্ক, প্রবীণ প্রজন্মের সংখ্যা বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, ২০২৫ সালের মধ্যে তাইওয়ান একটা ‘অতি-বয়স্ক’ সমাজে পরিণত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই তকমা তখনই দেওয়া হয়, যখন কোনো দেশের মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশেরও বেশি বয়স্ক মানুষ থাকেন।

আর এখানেই ভয় তাইওয়ানের। কারণ এই একই সমস্যার কারণে চীন কেউ আর্থিক ক্ষতি ফেস করতে হচ্ছে। বার্ধক্যের কারণে চীনা শ্রমশক্তিও একইভাবে এফেক্টেড হচ্ছে। তাই তাইওয়ান এবার ভারতকে বেছে নিতে যাচ্ছে। যা চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, বেজিং তাইওয়ানকে তাদের নিজস্ব অঞ্চল বলে দাবি করে। এদিকে তাইওয়ান নিজেদের স্ব-শাসিত দ্বীপ বলে দাবি করে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে তাইওয়ানের যে কোনও আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে চীন চাপে পড়বেই।

জানিয়ে রাখি, তাইওয়ানে বেকারত্বের হার গত ২০০০ সাল থেকে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। সেখানকার অর্থনীতি প্রায় ৭৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। যা সচল রাখতে এখন ভারতীয় কর্মীদের সাহায্য নিতে পারে তাইওয়ান। আর তাইওয়ানের সঙ্গে চুক্তি হলে, ভারতের জন্যেও সেটা বিরাট বড় বেনিফিটেড হবে। ভারতীয় কর্মীরা সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সমান হারে বেতন এবং বিমার মতো সুরক্ষাও পাবে। একবার ইসরায়েল, একবার তাইওয়ান। ভারতের কর্মী বিভিন্ন দেশে কাজের সুযোগ পাচ্ছে। যা ভারতের জন্য অবশ্যই গোল্ডেন অপারচুনিটি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version