চীন রাশিয়ার ভাঙন ধরাচ্ছে মানচিত্র পলিসি ? প্রফিটে দাঁড়িয়ে ভারত, শির হাতছাড়া জি২০

।। প্রথম কলকাতা ।।

স্ট্যান্ডার্ড মানচিত্রই কাল, চীন থেকে দূরে সরছে রাশিয়াও? ভারতের দিকেই পাল্লা ভারী। মিষ্টি কথায় বেজিংকে পাঠ পড়ালো মস্কোও। জি-২০ সামিটে আরও কোণঠাসা চীন। শি জিং পিং এর অস্বস্তি কমবে কোথায়, বাড়ছে। একের পর এক সাপোর্ট হারাচ্ছে শি এর দেশ, জি২০-র মঞ্চ এড়ানোর এটাই কি বড় কারণ? ভারতের মতো ব্যালেন্সের পরীক্ষা দিচ্ছে রাশিয়াও। ন্যায্য স্ট্যান্ড পয়েন্টে দাঁড়িয়ে পুতিন নিলেন কঠিন পদক্ষেপ। একদম স্ট্রেটকাট জবাব “দাবি করলেই কিছু বদলাবে না”। স্পষ্টভাবে ঠিক এটাই বলেছেন ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত। বুঝিয়ে দিয়েছেন, চীন যতই স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপে অরুণাচল কে নিজেদের বলে দাবি করুক, তাতে কিছুই বদলাবে না।

তাহলে কী মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, ব্রুনেই এর মতো রাশিয়া ও চীনের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে? হ্যাঁ, অন্তত বিশ্লেষকরা মনে করছেন। চীনের নতুন ম্যাপ বিতর্কে এবার ভারতের পাশেই দাঁড়াচ্ছে রাশিয়াও। তবে, দু নৌকায় পা দিয়েও হাঁটতে চাইছে মস্কো, এমন মত ও প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। কেন? কারণটা কি? আসলে আগামীদিনে ভারত ও চীন নিজেদের সমস্যার সমাধান করে নেবে অলরেডি বলে আশা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। এতেই রাশিয়ার ব্যালেন্স নীতি আরো বেশি প্রকট হচ্ছে। একটা কথা বলতেই হচ্ছে, রাশিয়া, চীন ও ভারতের মধ্যে ত্রিস্তরীয় আলোচনার ব্যবস্থা রয়েছে। ২০২০ সালের আগে যেটা খুবই সক্রিয় ছিল।

গালওয়ান সংঘর্ষের পরে দুই পড়শি দেশের মধ্যে আলোচনা প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে কিন্তু তারপরেও চীন এবং ভারতের মধ্যকার এই সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলে আশাবাদী রাশিয়া। রাশিয়া চাইছে আপাতত ত্রিস্তরীয় আলোচনা ব্যবস্থার মাধ্যমে দুই দেশ নিজেদের মতানৈক্য দূর করুক, কাছে আসুক। তাহলে কি ভারত চীন সম্পর্ককে স্বাভাবিক করতে মধ্যস্থতার পন্থা নিচ্ছে পুতিনের দেশ? প্রশ্ন উঠছে।

সময়ের সাথে সাথে সেটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে ঠিক যেমনভাবে, চীনের ম্যাপ বিতর্কে সময়ের সাথে সাথে সমর্থন বাড়ছে ভারতের। ফলে জি-২০-র মঞ্চে চীনকে কোণঠাসা করার শক্তি বাড়ছে ভারতের হাতে। যা জিনপিং প্রশাসনের প্যালপিটিশন বাড়াচ্ছে। তাহলে দিল্লির জি ২০ সামিটে কী এই জন্যই এড়িয়ে যাচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং? জি-২০ বৈঠকে শি এর না আসার জল্পনা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। পরিবর্তে নয়াদিল্লিতে আসতে পারেন চিনের প্রিমিয়ার তথা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। তাতেও কী জি ২০ র মঞ্চে মান রক্ষা হবে বেজিং এর? উত্তর দেবে সময়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version