মেল ড্রোন ছড়িয়ে দিচ্ছে চীন! টেকনোলজির জোর খাটাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, মালিক হবে কি ভারতও?

।। প্রথম কলকাতা ।।

যুদ্ধের সংজ্ঞা বদলে দেওয়া খতরনাক মেল ড্রোনের চাহিদা বাড়ছে হু হু করে। নিশানায় একেবারে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে, সহজেই গুঁড়িয়ে দিতে পারে ট্যাঙ্ক। আন্দাজ নেই, যে এই মারণাস্ত্র ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর। কবে থেকে এই ড্রোন ব্যবহারের শুরু? কোন কোন দেশে বাড়ছে মেল ড্রোনের ব্যবহার? মেল এবং হেল ড্রোনের মধ্যে তফাৎ টা কী? চীনের কব্জায় মেল ড্রোনের টেকনোলজি, রপ্তানি করছে দেশে দেশে। ভারতের হাতে আছে কী এই ভয়ানক অস্ত্র? ড্রোন সম্পর্কে কতটা জানেন আপনি? স্কিপ করবেন না, শেষ পর্যন্ত ভিডিওর সঙ্গে থাকুন। এই রিপোর্টেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। মেল ড্রোন কাকে বলে, এর ফিচার কী?

১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার ফুট উচ্চয়তায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারে যে ড্রোনগুলো, সেগুলোই মেল ড্রোন। মেল ড্রোন তুলনামূলক কম উচ্চতায় দীর্ঘ সময় ধরে উড়তে পারে, এটাই এর বৈশিষ্ট্য। আর যে ড্রোনগুলো এর থেকেও উঁচুতে দীর্ঘসময় উড়তে পারে, সেগুলোকে সংক্ষেপে বলা হয় ‘হেল’ ড্রোন জানা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে মেল ও হেল ড্রোন নিয়ে একটা চুক্তি হতে পারে, তেমন চান্স রয়েছে। যার আর্থিক মূল্যমান ২ থেকে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু, ইউরোপ, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে মেল ড্রোন রীতিমতো ব্যবহার করা হয়, এর চাহিদাও বিরাট। এই দেশগুলোতে দিনে দিনে মেল ড্রোনের ব্যবহার বাড়ছে।

শুরুটা হয়েছিল ২০০১ সালে। ড্রোন ওয়ার্স ওয়েবসাইটের তথ্যও তেমনই বলছে। ২২ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং চীনের মতো সামরিক শক্তিধর দেশগুলো মিলিটারি গ্রেডের ড্রোন ব্যবহার শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ড্রোনের ব্যবহার বেড়েছে। এরইমধ্যে মিডিয়াম অলটিচিউড লংগার এন্ডুরেন্স বা মেল ড্রোনের চাহিদাও বেড়েছে। এই ড্রোন পাওয়ার চেষ্টার তালিকায় রয়েছে ভারত, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, তাইওয়ান। অন্যদিকে, চীন এই ড্রোনের এতটাই ব্যবহার করে যে, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিপুল সংখ্যক মেল ড্রোন দেশটা বিশ্ববাজারে রপ্তানি করেছে। এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা মহাদেশের নাইজেরিয়া, সৌদি আরব, মিশর, আলজেরিয়া এবং পাকিস্তানের মতো দেশে সেইসব ড্রোন রপ্তানি করে চীন। প্রায় ওই একই সময়ে ড্রোন সংক্রান্ত নিজেদের প্রযুক্তি উন্নয়নে অনেকটাই এগিয়ে যায় ইরান ও তুরস্ক। ২০১৯ থেকে ২০২২ সালে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে প্রচুর পরিমাণে মেল ড্রোন রপ্তানি করে তুরস্ক ও। এদিকে, ২০১৯ সালেই মার্কিন প্রযুক্তির মেল ড্রোন ব্যবহার শুরু করে ফ্রান্স।

মেল ড্রোনের মারাত্মক চাহিদা, এটা যেমন ঠিক তেমন এটাও সত্যিই। আধুনিক সময়ের বিভিন্ন যুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করছে ড্রোন। সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান-সহ বিভিন্ন যুদ্ধে এখন মানববিহীন ড্রোন ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তবে বলতেই হচ্ছে ড্রোন হামলা প্রায়ই জটিল আইনি ও নৈতিক মতবিরোধ তৈরি করে। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তির মাধ্যমে ড্রোন ব্যবহার বন্ধ করার চেষ্টা হলেও, সাফল্য আসেনি কোনও বারই। বরং বিভিন্ন ধরনের ড্রোন তৈরি আর তার ব্যবহারের ব্যাপ্তি দুরন্ত গতিতে এগিয়েই চলেছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version