Unidentified Object In Sea Beach: চন্দ্রযান ৩ এর রকেট ভেঙে চুরমার? সফট ল্যান্ডিং হবে তো, সৈকতে পাওয়া ধ্বংসাবশেষ নিয়ে তুমুল হইচই

।। প্রথম কলকাতা ।।

Unidentified Object In Sea Beach: চন্দ্রযান ৩ কী ভেঙে খান খান? অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে ভেসে এলো তামাটে রঙের রহস্যময় সিলিন্ডার। ওটাই কী চন্দ্রযান-৩ রকেটের ধ্বংসাবশেষ? অস্ট্রেলিয়ার স্পেস এজেন্সি যা বললো, তাতে চমকে যেতে বাধ্য। জানেন, কী বলছে ইসরো? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? চারিদিকে একেবারে হুলস্থুল কাণ্ড। সৈকতে পর্যটক নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করলো অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন। বিপদের চান্স ১০০%। অস্ট্রেলিয়ার গ্রিন হেড বিচ। সেখানেই তামার রঙের বিশাল সিলিন্ডারের হদিশ, যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল চর্চা। কী বলছে অস্ট্রেলিয়ার স্পেস এজেন্সি? তামাটে রঙের সিলিন্ডার আকৃতির ওই বস্তুটি কোনও স্পেস শিপের অংশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিষয়টা জানাজানি হতেই, এটা চন্দ্রযান-তিন রকেটের অংশ হতে পারে বলে, এর মধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় তুমুল জল্পনা। যদিও এর নেপথ্যে রয়েছে কিছু কারণ ও। বুঝিয়ে বলছি, দেখুন গত ১৪ জুলাই চন্দ্রযান ৩-র সফল উৎক্ষেপণ করে ইসরো। নভযানটিকে নিয়ে চাঁদের পথে রওনা হয় LVM 3 রকেট। ১৫ সেকেন্ডেরও কম সময়ে যানটিকে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে দেয় সেটি। এই LVM 3 রকেটের তিনটে স্টেজ ছিল। ভারতের মহাকাশ সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চন্দ্রযানকে নিয়ে রকেটটি যতই পৃথিবীর কক্ষপথের দিকে এগিয়েছে, ততই এক এক করে এর স্টেজগুলি আলাদা হয়ে গিয়েছে। LVM 3 তে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় তরল হাইড্রোজেন।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, সাধারণত মহাকাশযানকে নিয়ে পাড়ি দেওয়া রকেট পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেই জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু কখনও কখনও এই রকেটগুলির কিছু অংশ ভূপৃষ্ঠে বা সাগরে এসে পড়ে! সেক্ষেত্রে LVM 3র ভগ্নাবশেষ সমুদ্রে গিয়ে পড়ার সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই ধরনের ধ্বংসাবশেষকে বলা হয় মহাশূন্যের আবর্জনা। অতএব, অস্ট্রেলিয়া সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা ওই ধাতব বস্তু এলভিএম-থ্রির অতিবাহিত পর্যায়গুলির মধ্যে একটি হতেই পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কেমন দেখতে ওটা?

সিলিন্ডারের মতো রহস্যময় ওই বস্তুটি লম্বায় প্রায় ৩ মিটার লম্বা। পেটের দিকে প্রায় আড়াই মিটার চওড়া। তবে, এই জল্পনা নিয়ে মুখ খোলে নি ইসরো। যদিও মঙ্গলবার ইসরো টুইট করে জানিয়েছিল বর্তমানে পৃথিবীর কক্ষপথের তৃতীয় স্তরে রয়েছে চন্দ্রযান ৩। কিন্তু তারপরেও চন্দ্রযান ৩ রকেটের ভগ্নাবশেষ ভেসে আসা নিয়ে লেখালেখি বা আলোচনা থামেনি। রবিবার, অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র ভেসে আসা সিলিন্ডারটিকে দেখে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। সিলিন্ডারটিকে বিপজ্জনক বলে দেগে দেওয়া হয়। এরপরই ওটা স্পেস শিপের অংশ কিনা, তা জানতে অস্ট্রেলিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তদন্তকারীরা। আর অস্ট্রেলিয়ার স্পেস এজেন্সির অনুসন্ধানের মাঝে বিশ্বের তাবড় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন। বাকিটা সময়ের সাথে সাথে আরো স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version