চন্দ্রযান-৩ মিশনের মাস্টারমাইন্ড! ইসরো প্রধানের বেতন জানলে চোখ কপালে উঠবে

।। প্রথম কলকাতা ।।

চন্দ্রযান ৩ এর চোখ দিয়ে চাঁদের রহস্য জানবে গোটা বিশ্ব। এই এত বড় কর্মকাণ্ডের পিছনে একজনের বিরাট ভূমিকা এস সোমনাথ, ইসরোর চেয়ারম্যান স্কুল শিক্ষকের ছেলে থেকে কিভাবে হলেন ইসরো প্রধান? পথটা সহজ ছিল না। শুধু চন্দ্রযান ৩ নয়, নেতৃত্ব দিয়েছেন একাধিক মিশনের তৈরি করেছেন মহাকাশযানের ব্লু প্রিন্ট। এত বড় দায়িত্ব কীভাবে সামলান? ইসরোর চেয়ারম্যানের পদের মাইনে জানেন কত? মোট সম্পত্তির পরিমাণই বা কত! এস সোমনাথ, চন্দ্রযান ৩ এর বিশ্বকর্মা, ৫৯ বছরের এই মানুষটার কামালে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব।

চন্দ্রযান ৩- র মাস্টারমাইন্ড তিনি জন্ম ১৯৬৪ সালে, কেরলের আলাপ্পুঝারের। পুরো নাম শ্রীধরা পানিকার সোমনাথ। বাবা ছিলেন হিন্দি শিক্ষক। ছোট থেকে রকেট সাইন্স নিয়ে আগ্রহ ছিল। মহাকাশ গবেষণা দুনিয়ায় যাত্রা শুরু করেছিলেন ১৯৮৫ সালে। যোগ দিয়েছিলেন বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে তারপর কেরিয়ারের জন্য আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সামনে এসেছে একের পর এক দুর্দান্ত সুযোগ। এত সাফল্যে যার ঝুলিতে। ইসরোর চেয়ারম্যান পদ সামলাচ্ছেন! তার প্রতি মাসে বেতন কত জানেন?

২০২২ সালের একদম শুরু থেকে সামলাচ্ছেন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। বর্তমানে মাস গেলে বেতন পান প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা হিসাব অনুযায়ী, বছরে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা। এস সোমনাথের মোট সম্পত্তির পরিমাণ চার থেকে ছয় কোটি টাকা। বেতন যাই হোক, তিনি আছেন বলে ভারতবাসী মহাকাশ গবেষণায় এত বড়ৎস্বপ্ন দেখার সাহস দেখিয়েছে। এবার শুধু স্বপ্ন ছোঁয়ার অপেক্ষা। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত হন। চন্দ্রযান ২ মিশনেও ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য পিএসএলভি রকেট গবেষণার সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। ভারতের মহাকাশ গবেষণায় মানুষটার অবদানের তালিকাটা বড্ড লম্বা। তাঁর রকেট সাইন্সের দক্ষতা বলে শেষ করা যাবে না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version