BJP: জাতপাতের ভোট মোদী লড়বেন না ! বড় টার্গেট ২০২৪ এ, দমদার BJP-র দলীয় বৈঠক

।। প্রথম কলকাতা ।।

BJP: জাতপাতের রাজনীতি নরেন্দ্র মোদী করবেন না! কেন? মোদীর চরম টার্গেট বাঁধলেন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে। ৪ ঘন্টার একটা বৈঠক দমদার লক্ষ্য স্থির। ২০১৯র ভোটে জিতেও মাত্র কত শতাংশ ভোট ছিল বিজেপির জানেন? কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক কংগ্রেস কর্মীদের কতটা চাঙ্গা করতে পারবে সেটা নিয়ে বেশ সন্দেহ থাকলেও মোদীর নেতৃত্বে একটা দলীয় বৈঠক বেসিকভাবে বিজেপির লক্ষ্য স্থির করে দিল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য আসলে কি চাই শুধু ভোটে জেতাই শেষ কথা নয়। মোদী মাছের চোখের মতো যে লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন সেটা বড় জরুরী অ্যাচিভ করা। হ্যাঁ জয়ের থেকেও ২০২৪এ অনেক বেশি কিছু চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন পরপর দুবার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর এবং দেশের বিরোধী দলের ক্ষমতার ঝলক দেখার পর জয় নিয়ে নতুন করে ভাবার কিছু নেই ভারতীয় জনতা পার্টির কিন্তু এবার মোদী তৈরি করতে চাইছে আলাদাই প্যাটার্ন। তাহলে জেনে নেওয়া যাক নমো ঠিক কী চাইছেন

৫০ শতাংশ ভোট চাই

আনা চাই না ৫০ শতাংশ ভোট। এর মানে ২০১৯ সালে কি দেশজুড়ে ৩০০র বেশি আসনে জিতেও ৫০ শতাংশ ভোট আনতে পারেনি বিজেপি? আসল সত্যিটা জানুন তাহলে। কেন, কোন অঙ্কে এমন টার্গেট বেঁধে নিলেন নমো?‌চার ঘন্টা ধরে দলীয় বৈঠকে দেড় ঘন্টা সময় নেন নরেন্দ্র মোদী। চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দেন এবারের নির্বাচনে বিজেপিকে অন্তত ৫০ শতাংশ ভোট পেতেই হবে। কারণ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোট ৩০৩টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ভোট শতাংশ ছিল ৩৭.৩ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পায় বিজেপি তবে বিজেপির জয় আরও নিশ্চিত হবে। কীভাবে আসবে এই ৫০ শতাংশ ভোট তার উপায়ও বাতলে দেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই।

তিনি জানান, আম জনতার মাঝে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির প্রচার করতে হবে। চারটি দিকে প্রচারে বিশেষ জোর দিয়েছেন তিনি। মহিলাদের জন্য সরকারের কাজ, কৃষকদের আর্থিক উন্নয়নে সরকারের প্রকল্প, যুব সমাজের কর্মসংস্থানে সরকারের পদক্ষেপ এবং দারিদ্র দূরীকরণে সরকারের পদক্ষেপ। ফোকাস রাখতে হবে এই চার পয়েন্টে কাজ করতে হবে এর ওপর তাহলেই মিলবে ফলাফল। যেখানে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর জানা যায় তারা ৩ রাজ্যের ভোটের হারের জন্য কমল নাথ, ভুপেশ বাঘেলের মতো নেতাদের দায়ী করেছেন এবং রাহুল গান্ধী মেনে নিয়েছেন রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের ওভার কনফিডেন্সের কারণেই এত বড় হার।

জাতপাতের রাজনীতি নয় দারিদ্রে জোর

বিজেপি করবে না জাতপাতের রাজনীতি। এমনটাও হয় নাকি যেখানে দেশের সব রাজনৈতিক দলের কাছেই সমান গুরুত্ব পায় এই জাতপাতের অ্যাজেন্ডা। নরেন্দ্র মোদী খুব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন জাতপাতের রাজনীতি নয় দারিদ্র্যকে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জাতি হিসেবে প্রচার করতে হবে। এর মানে যাদের চালচুলো নেই, যাদের কাছে শিক্ষার আলো পৌছচ্ছে না তা যারা সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে তার উঁচু জাত হোক বা নিচু একইভাবে নজর দিয়ে সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে সকলের কাছে। একইসঙ্গে মোদীর বড় টোটকা আধুনিক যুগে সকলেই মোবাইলে আসক্ত তাই প্রচারের ক্ষেত্রেও সোশ্যাল মিডিয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি জানান, প্রতি মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর দিতে হবে যুব সম্প্রদায়কে আকর্ষণ করতে ইন্সটাগ্রামে রিল ব্যবহার করতে হবে। এবার আর কী কী টোটকা দেন ২০২৪র আগে মোদী ও শাহ সেটাই দেখার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version