International Day of Happiness: মনের কথা কাউকে বলতে পারছেন না? ৫ টোটকাতেই হবেন সবচেয়ে সুখী

।। প্রথম কলকাতা ।।

International Day of Happiness: সুখী থাকা বড্ড কঠিন, এমন ধারণা মনে পুষে রাখেন অনেকেই। বিশেষ করে যারা একাকিত্বে ভোগেন, মনের কথা কারো সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন না, তাদের কাছে সুখ যেন অধরা। জানেন কি, এই সুন্দর পৃথিবীতে সুখী থাকা বড্ড সহজ। যদিও তার জন্য নিজেকে ভালোবাসা অত্যন্ত জরুরি। তার সাথে মেনে চলতে হবে সামান্য কিছু টিপস। নিজের সুখ থাকবে নিজের হাতের মুঠোয়। আপনার মন কতটা ভালো থাকবে আর কতটা খারাপ থাকবে তা নিয়ন্ত্রণ করবেন নিজেই। যতই অফিসের ব্যস্ততা বা পারিবারিক চাপ থাকুক না কেন, তার মাঝেও রয়েছে সুখের ভাণ্ডার। প্রতিবছর গোটা বিশ্বজুড়ে ২০ মার্চ পালন করা হয় আন্তর্জাতিক সুখ দিবস (International Day of Happiness)।

সুখী হওয়ার মূলমন্ত্র

(১) প্রযুক্তি যত উন্নত হয়েছে ততই মানুষ ঘরের কোণে নিজেকে বন্দী করে ফেলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম গুলি হয়ে উঠেছে অনেকটা তালা চাবির মতো। যেখানে আপনার মনকে আটকে রাখা হয়। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় কম, বেশি সময় কাটান বাস্তব দুনিয়ার সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাদের সঙ্গে অত্যাধিক কথা বলছেন কিংবা ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করছেন তারা আপনাকে নাও বুঝতে পারে। কোন ব্যক্তির সঙ্গে যখন আপনি সামনে দাঁড়িয়ে খোলাখুলি কথা বলেন, সেখানে আলাদা মাত্রার মানসিক প্রশান্তি রয়েছে।

(২)সারাদিন যতই কাজের ব্যস্ততা থাকুক না কেন পরিবারের জন্য অন্তত কিছু সময় বার করতেই হবে। সেই সময় পরিবারের প্রিয়জনদের সঙ্গে আড্ডা দিন, গল্প করুন, সারাদিনে ছোট ছোট কথাগুলি তাদের সঙ্গে শেয়ার করুন। নিজের কথা কাউকে বলার জন্য কাছের মানুষদের অত্যন্ত প্রয়োজন। নিজের কথা অন্য কাউকে বলতে না পারলে দিনের পর দিন মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে, গ্রাস করে একাকিত্ব।

(৩) জীবনে কি পেলেন না, তার হিসাব না করে কি কি পেয়েছেন তার হিসাব করুন। অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করা একদম ছেড়ে দিন। কোন কাজের ক্ষেত্রে নিজেই নিজেকে চ্যালেঞ্জ জানান। প্রয়োজনে প্রতিদিন আপনার প্রাপ্তির তালিকা তৈরি করতে পারেন। মাঝে মাঝে সেই তালিকা একবার চোখ বোলালে দেখবেন মন ভালো হয়ে গেছে। প্রতিদিন না হলেও প্রাপ্তির তালিকা সপ্তাহে কিংবা মাসে অন্তত একদিন তৈরি করতে পারেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা এই কাজটি নিয়মিত করেন তারা অন্যদের চেয়ে একটু বেশি সুখী।

(৪) দিনে অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোটা অত্যন্ত জরুরি। ঘুম সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে, মস্তিষ্ককে বিশ্রামে রাখে, আর মনকে শান্ত করে। ঘুম পরের দিনের ব্যস্ততাকে সামাল দিতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে আপনার মেজাজ এমনিতেই খিটখিটে হয়ে যাবে। সবার সঙ্গে ভালোভাবে হেসে কথা বলতে পারবেন না। সারাদিন বিরক্ত অনুভব করবেন। তাই সুখে থাকতে ঘুমটা অত্যন্ত দরকার।

(৫) সারাদিনে অন্তত দশ মিনিট সময় বার করুন নিজের জন্য। সময়টা কাজে লাগান ধ্যানে। প্রতিদিন ধ্যান করলে মনের নেগেটিভ এনার্জি দূর হয় এবং পজিটিভ এনার্জি বৃদ্ধি পায়। মনের মধ্যে তৈরি করে ভালোলাগার অনুভূতি। ধ্যান করার সময় শান্ত নিরিবিলি কোন জায়গা বেছে নেবেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version