।।প্রথম কলকাতা।।
BSP: চার রাজ্যে বড় ধাক্কা খেয়েছেন মায়াবতী। নির্বাচনের আগে প্রচারপর্বে কোনো খামতি রাখতে দেখা যায়নি মায়াবতীকে। এবার প্রচারে ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিল বিএসপি। রাজস্থান ও মধ্য়প্রদেশে আটটি সভা করেছিলেন মায়াবতী ছত্তিশগড়ে ও তেলাঙ্গানায় করেছিলেন দুটি করে সভা। কিন্তু তার প্রভাব বিশেষ পড়ল না ভোটবাক্সে। ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও তেলাঙ্গানাতে খাতা খুলতে পারেনি মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি। শুধুমাত্র রাজস্থানে শান্তনা পুরস্কার হিসাবে পেয়েছে ২ টি আসন।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর মিলেছে, জাতীয় আহ্বায়ক তথা মায়াবতীর ভাইপো আকাশ আনন্দ জানিয়েছেন, বিএসপি রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্য়প্রদেশ ও তেলাঙ্গানায় তৃতীয় শক্তি হিসাবে উঠে আসবে। এবার ভাইপো (পড়ুন আকাশ)কে সামনে রেখে প্রচার শুরু করেছিলেন মায়াবতী। তবুও লাভের লাভ কিছু হল না।
রাজনৈতিক মহল ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে দেখেছিল চব্বিশের লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল হিসাবে । আর সেমিফাইনাল ম্যাচে দাপুটে ব্যটিং গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির ঝোড়ো ব্যাটিং এ বেসামাল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। অন্যান্য বিরোধীদের সাথে বিএসপি নেত্রীর মায়াবতীর মিথ এবার কার্যত ভেঙেচুরে গেল । এবারের ভোটে জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর (পড়ুন মায়াবতী) ভাইপোর অভিষেক ঘটাতে চাওয়ায় কি সর্বনাশ ডেকে আনল মায়াবতীর ? প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে রাজনৌতিক মহলে। কিন্তু সেটা তো হলোই না উল্টে, সুপার-ফ্লপ হল মায়াবতী।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিএসপি ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে সব মিলিয়ে ছত্তিশগড়ে ২.০৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে। যেখানে ২০১৮ সালে ছিল ৩.৮৭ শতাংশ ভোট। রাজস্থানে পেয়েছে ১.৮২ শতাংশ ভোট, যেখানে ২০১৮ সালে ছিল মধ্য়প্রদেশে পেয়েছে ৩.৩২ শতাংশ ভোট। আর তেলাঙ্গানায় পেয়েছে ১.৩৮ শতাংশ ভোট। ২০১৮ সালের তুলনাতেও এবার একেবারে বিপর্যস্ত অবস্থা বিএসপির। রাজস্থানে কেবলমাত্র সদুলপুর ও বারি বিধানসভা কেন্দ্রে জয় পেয়েছে বিএসপি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম