।। প্রথম কলকাতা ।।
The Milk Goddess: এই মহিলার জন্য প্রাণে বেঁচেছে প্রায় ২৫০ জন বেশি শিশুর। যে সব মায়েদের বুকের দুধ হয় না কিংবা যে বাবারা সিঙ্গেল তাদের কাছেই ইনি হলেন দুধের দেবী। ইনি প্রতিদিন প্রায় ছয় থেকে সাড়ে ছয় লিটার নিজের বুকের দুধ সংগ্রহ করেন, তারপর তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখেন। বহু শিশুর কাছে তিনি সাক্ষাৎ ঈশ্বর। বিশেষ করে মা হারা নবজাতক শিশুদের কাছে ইনি মায়ের থেকে কম নন।
পুরো নাম এলিসাবেথ অ্যান্ডারসন সিয়েরা (Elisabeth Anderson Sierra)। অনেকে তাকে চেনেন এলিসাবেথ বলে, তবে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ তাকে বলেন দুধের দেবী (The Milk Goddess)। প্রতিদিন সকালে উঠে তার প্রথম কাজ হল বুকের দুধ সংগ্রহ করা। তিনি যেখানেই থাকুক না কেন দিনে অন্তত ছয় বার বুকের দুধ পাম্প করতে হয়। বর্তমানে তার ফ্রিজে প্রায় আড়াইশো লিটারের বেশি বুকে দুধ পড়ে রয়েছে। আসলে এলিসাবেথ ভুগছেন হাইপার ল্যাক্টেশন সিনড্রোম (Hyper Lactation Syndrome) নামক একটি রোগে। এই রোগের ফলে স্তনে মাত্রাধিক দুধ আসে, যার কোন চিকিৎসা নেই। এলিসাবেথের এই রোগ বাঁচিয়েছে বহু শিশুকে। এলিসাবেথ তার বুকের দুধ বহু শিশুকে ডোনেট করেন। গত ৮ বছরে তিনি তার এই কাজ থেকে এখনো মুক্তি পাননি। তিনি ডোনেট করেছেন প্রায় ৬ হাজার লিটারের বেশি বুকের দুধ যা বিশ্ব রেকর্ডর দ্বিগুণ।
যদি এলিসাবেথ না থাকত তাহলে হয়তো বহু শিশুকে মায়ের বুকের দুধ ছাড়া বড় হতে হত। বলার অপেক্ষা রাখে না, একটা নবজাতক শিশুর কাছে মায়ের বুকের দুধ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যে শিশুর মা নেই তাদের কাছে এলিসাবেথ ভগবানের সমান। যেসব মায়েদের বুকের দুধ হয় না, সারোগেট বা সিঙ্গেল বাবারা এলিসাবেথের গ্রাহক। এলিসাবেথের বুকের দুধ খেয়ে প্রাণে বেঁচেছে প্রায় আড়াইশোর থেকে বেশি শিশুর। গোটা বিশ্ব এলিসাবেথকে তাই চেনে ‘দ্য মিল্ক গডেস’ অর্থাৎ দুধের দেবী নামে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম