।। প্রথম কলকাতা ।।
BJP: মুখ দেখবে না ভারত? ভোট হবে শুধু একটা নামে! মোদীর মাস্টারপ্ল্যান ফাঁস! “নমো”ই বিগ প্রজেক্ট! ২৪ এর লোকসভা ভোটের জন্য স্পেশাল ডোজ রেডি। এই ‘রথ’ই ট্রাম্পকার্ড, হুহু করে ঢুকবে ভোট। কোন হাতিয়ারে শান দিচ্ছেন মোদী? রণকৌশলেই বাজিমাত, বাকিদের কাছে শুধুই স্বপ্ন? একটা শব্দেই ঘটবে মিরাকল। কোনো ট্রিক্স, রং বা চিহ্ন নয়। একটা নাম’ই ব্র্যান্ড! একটা নামই পদ্মের অ্যাসেট। সাদা চোখে সাক্সেস দেখাবে একটাই নাম ‘নমো’।কি আছে “নমো” তে? কেন প্রতিটা প্রজেক্টের সঙ্গে মোদী বা নমো জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা?২৪ এর লোকসভা ভোটে পদ্ম শিবিরের ভোটব্যাঙ্ক ভরানোর। মাস্টারপ্ল্যান টা কী?মানুষের প্রয়োজন বুঝে তাঁদের অধিকার পাইয়ে দেওয়াই সামাজিক ন্যায়, আর এটাই মোদী সরকারের মূল লক্ষ্য।যে লক্ষ্য পূরণে বিজেপির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ‘নমো’ বা ‘মোদী’।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক সে বড়কর এক প্রজেক্ট, সমাজ কল্যাণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি সহ একাধিক ক্ষেত্রে যে প্রজেক্টগুলো সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে চালু করেছেন মোদী, সেগুলোর সঙ্গে জুড়ে গেছে মোদীর নাম। ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’ অভিযান থেকে ঔষধি কেন্দ্র, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ড্রোন দেওয়া থেকে রোজগার মেলায় সরকারি নিয়োগপত্র বিলি, সব জায়গায় একটাই নাম ম্যাজিকের মতো কাজ করছে, নরেন্দ্র মোদী। যেমন এই ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’ বিজেপির বড় হাতিয়ার। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে যাঁরা বাদ পড়ে পড়েছেন, তাঁদের যোগ করাই এই প্রজেক্টের লক্ষ্য। তার জন্য প্রচারের রথ গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে। অথচ মানুষ এটাকে বলছে মোদীর রথ। সরকারি প্রকল্প থেকে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের খুঁজে বের করাই মোদীর রথের টার্গেট। সরকারি কর্মসূচি হলেও রথের গায়ে লেখা ‘মোদী সরকার’। মোদ্দা কথা ভোটে প্রার্থীর মুখ, রং, দলের চিহ্ন এসব গৌণ। প্রাধান্য পাচ্ছে ‘নমো’। ঠিক যেভাবে সদ্য হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে বড় জয় পেয়েছে বিজেপি। কোনো মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ছাড়াই এই তিন রাজ্যের ভোটে লড়েছিল পদ্ম শিবির। তাদের ভরসা ছিল নরেন্দ্র মোদির ওপর। মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড় এবং রাজস্থানে মোদী মন্ত্রেই বাজিমাত করেছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের আগে মোদীর জনপ্রিয়তায় ফের একবার শিলমোহর পড়েছে এই নির্বাচনগুলোতে। দিনে দিনে মানুষের ভরসা হয়ে উঠেছেন মোদী।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের ট্রেন্ড দেখেই বুঝতে পারছেন, দেশজুড়ে ফের এক বিশাল ‘মোদীঝড়’ আসতে চলেছে। তাহলে হাওয়া কোনদিকে বইছে, সেই আঁচ পেয়েই কি বিরোধীরা অনিশ্চয়তায় ভুগছে? বিরোধীদের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় সরকারের নাম কি খাতায়-কলমে মোদী সরকার হয়ে গেল? যদিও, নরেন্দ্র মোদী এ সবের তোয়াক্কা করেন না। তিনি মানুষের প্রয়োজন এর কথা ভাবেন। তাই মানুষের কাছে মোদীর গ্যারান্টি, মোদীর ওষুধের দোকান, মোদীর রথ’ই শেষ কথা। এমনকি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে চাষের জমিতে ফসল ছড়ানোর জন্য ড্রোন তুলে দিয়ে মোদী বলেছেন, যাঁরা ড্রোন চালাবেন, তাঁদের ‘নমো ড্রোন দিদি’ নাম দেওয়ার পরামর্শ এসেছে। অতএব, মোদী বা নমোই ১৪০ কোটি ভারতবাসীর শেষ ভরসা। মোদীর কাছে সবথেকে বড় জাতি গরিব, মহিলা, তরুণ সম্প্রদায় আর চাষী। এই ৪ টে ভোটব্যাঙ্কই পদ্ম শিবিরের মেইন টার্গেট। মোদী জানেন, তাঁদের উত্থান হলেই ভারত উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। ২০১৯ এর অভিজ্ঞতা অ্যাপ্লাই করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। ২৪ এর নির্বাচনে যে সাফল্যের ক্রেডিট পাবে কেন্দ্রীয় নয়, আপামর জনসাধারণের “মোদী সরকার”।
তারপরেও, মোদী এলেই জিতব। ওভার কনফিডেন্সে ডুবে থাকতে বারণ মোদীর, বরং লোকসভা নির্বাচনে মোদীর রোডম্যাপই বিজেপি কর্মীদের বড় ভরসা। বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে মোদীর সতর্ক করে বলেছেন, ভোটে জিততে হলে করতে হবে কঠোর পরিশ্রম। মোদী প্রচারে এলেই ভোটে জিতব ছাড়তে হবে এই মানসিকতা। বরং আরও বেশি করে সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে জনগণকে জানাতে হবে! তাঁরা যাতে সেই সুযোগ-সুবিধ পায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সবমিলিয়ে মানুষের মন জিততে মোদী তাঁর দলীয় কর্মীদের আরও বেশি করে পরিশ্রম করার বার্তা দিলেন। একইসঙ্গে “নমো নমো” ডোজেই ভোট বৈতরণী পার করার লক্ষ্যে অবিচল নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম