Telangana Congress: কংগ্রেসের তেলেঙ্গানা জয়ে বিজেপি খুশি! কেন ? রাহুল গান্ধী নয় ইনিই আসল হিরো

।। প্রথম কলকাতা ।।

Telangana Congress: তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস জেতায় বিজেপি খুশি! কেন? কেসিআরকে সরানো মুখের কথা ছিল না কংগ্রেসের জেতার পিছনে হিরো রাহুল গান্ধী নন। দ্বিতীয় প্রশান্ত কিশোর জেতালো কংগ্রেসকে। তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস তো জিতল কিন্তু কীভাবে জিতল সেটা জানেন কি? রাহুল গান্ধীর ক্যারিশ্মা নয় আসল খেলা অন্য কারোর। তেলেঙ্গানা যে চমক দিয়েছে কংগ্রেস কেন অন্য রাজ্যে দিতে পারল না? এদিকে বিরোধী দল কংগ্রেস জেতায় বিজেপির অন্দরে বড় লাভের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বছর দু’য়েক আগের কথা তেলঙ্গানার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও নিজে এখানে ফার্মহাউজে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন আমাকে জিততে সাহায্য করবেন? আর সেই ইনিই হলেন সুনীল কানুগোলু তিনি তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসকে এনে দিলেন চমকে দেওয়ার মতো ফল।

কে এই সুনীল কানুগোলু? তিনি কোনও কংগ্রেস নেতা নয় প্রশান্ত কিশোরের মতো তিনি একজন ভোটকুশলী। কংগ্রেসের কর্নাটক জয়ের নেপথ্যেও সুনীলের চওড়া ব্যাট ব্যাপক সহায়তা করেছে কংগ্রেসকে। নাম তখনই উঠে এসেছিল এনার। এ বার সেই সুনামের মর্যাদাও রাখলেন সুনীল। তেলঙ্গনায় যে ক্ষমতা দখল করতে পারে দশ মাস আগে ভাবতেও পারেনি কংগ্রেস। সুনীল যেমন ছক কষেছেন তেমন তা চোখ বন্ধ করে মেনেছেন রেবন্ত রেড্ডি ও বাকী নেতারা। সুনীলের প্রথম কাজ ছিল তামিলনাড়ুতে সুনীল তখন প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের কর্মী। সেই কাজ শেষ হওয়ার পর নতুন কাজের অপেক্ষায় ছিলেন কিন্তু লোভনীয় প্রস্তাব থাকলেও কোনও এক অজানা কারণে কেসিআরের সঙ্গে জোট বাঁধতে চাননি সুনীল। কিছু দিনের মধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করার কথা জানাজানি হয় এআইসিসির ভোট কৌশল নির্ধারণ কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দেন সুনীল। কিন্তু এই সুনীল তেলেঙ্গানায় যে চমক দেখালেন রাজস্থান বা মধ্যপ্রদেশে তা করতে পারেননি নেপথ্যে কিন্তু দায়ী কংগ্রেসই।

সূত্রের খবর, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটকে সুনীলকে ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া হয়েছিল রাজস্থান বা মধ্যপ্রদেশে সুনীল তেমনটা পাননি। যেখানে অশোক গহলৌত বা কমল নাথের মতো বর্ষীয়ান নেতাদের ‘সুনজরে’ ছিলেন না তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুনীলের সংস্থার এক কর্মী ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে জানিয়েছিলেন তেলঙ্গানায় তাদের স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল। তারা প্রথমে সমীক্ষা করেন তার পর সেই অনুযায়ী মাটিতে কাজ করেন। শোনা যায়, কানুগোলুর টিম রাজস্থানের ভোটের আগে সেখানে সমীক্ষা চালিয়েছিল তার উপর ভিত্তি করে কংগ্রেস নেতৃত্ব বেশ কয়েক জন প্রার্থীকে টিকিট না দেওয়ার ব্যাপারে মনস্থিরও করেছিল কিন্তু জয়পুরের অন্দরে কানাঘুষো শোনা যায় গহলৌতের তাতে ঘোর আপত্তি ছিল। মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ ও ছত্তিশগড়ে ভুপেশ বাঘেলরাও মানতে চাননি সুনীলের কথা। যার ফলাফল একেবারে হাতেনাতে পেয়েছে কংগ্রেস।

কংগ্রেস তেলেঙ্গানায় জেতায় বিজেপির অন্দরে স্বস্তির হাওয়া। কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি তেলঙ্গনা রাষ্ট্রীয় সমিতি তথা অধুনা ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি কোনও মতাদর্শ নির্ভর দল নয়। পৃথক তেলঙ্গনা রাজ্যের দাবিতে এই দল তৈরি হয়েছিল। সেই রাজ্য তৈরিতে কংগ্রেস তথা সনিয়া গান্ধীর অবদানও ছিল প্রচুর। তাই আলাদা কোনও মতাদর্শ না থাকায় চন্দ্রশেখরের পক্ষে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ। আর এতেই বিজেপি স্বস্তিতে কারণ। চন্দ্রশেখরের পার্টি দুর্বল হলে বিজেপি সেই শূন্যস্থান দখলের চেষ্টা করবে। এবার বিধানসভা ভোটে তেলঙ্গনায় ৯টি আসনে জিতেছে বিজেপি। তা ছাড়া এর আগে হায়দরাবাদ পুরসভা ভোটেও গেরুয়া বাহিনী জিতেছে। ফলে তেলেঙ্গনায় কংগ্রেসের জয় আশায় রাখল বিজেপিকে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version