Sajid Mir: পাকিস্তানের জেলে বড় জঙ্গির কাম তামাম! জানা গেল কে শেষ করছে ? ইসলামাবাদের মিথ্যে ফাঁস

।। প্রথম কলকাতা ।।

Sajid Mir: পাকিস্তানের জেলের ঢুকে ২৬/১১ মুম্বই হামলার চক্রির কাম তামাম জঙ্গি সাজিদ মীর বেঁচে আছে নাকি এখনও? সাজিদ মীর মুম্বই অ্যাটাকে কো বীভৎস কাজ করেছিল সেটা জানেন? পাকিস্তান কী জঙ্গিদের সরিয়ে দেবে এভাবেই আস্তে আস্তে? ১ বছর আগে সাধু সাজার চেষ্টা করেছিল যে ইসলামাবাদ? পাকিস্তানে ঢুকে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের মারছে টা কে? পাকিস্তানের মিথ্যে গোটা বিশ্বের সামনে বেরিয়ে গেল। এবার প্রকাশ্য রাস্তা, মসজিদের সামনে বা খোলা বাজারে নয় যা হল একেবারে নিরাপত্তায় ঢাকা জায়গায় হয়েছে। সেটা হল পাকিস্তানের জেল। পাকিস্তানের মিডিয়া যে খবর করছে তা হল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড এবং ২৬/১১ মুম্বাই হামলার এর অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী লস্কর-ই-তৈবার(এলটি) সন্ত্রাসী সাজিদ মীরকে পাকিস্তানের সেন্ট্রাল জেল ডেরা গাজি খানের ভিতরে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির দ্বারা খাবারে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। এটা শুধু একটা খবর নয় এখান থেকে উঠে আসছে একাধিক জোরালো প্রশ্ন। কে মারার চেষ্টা করতে পারে সাজিদ মীরকে? পাকিস্তান পুলিশ কী কোনও প্রমাণ জোগার করতে পেরেছে?

আজ থেকে একবছর আগে লস্করের এই সাজিদ মীরকেই তুরুপের তাস বানিয়েছিল ইসলামাবাদ। মুম্বই হামলার এতবছর পর তাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। তখন বিশেষজ্ঞরা বলেই দিয়েছিলেন জিন্নাহর দেশ FATFর ধূসর তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্যই এই গ্রেফতারি প্ল্যান করেছে। কিন্তু এবার এই সাজিদ মীরকে নিয়েই চাঞ্চল্যকর খবর। সাজিদ মীর কি বিষপ্রয়োগে মারা গেল? পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ অতীতে মীর মারা গেছেন বলে দাবি করেছিল কিন্তু ভারত ও পশ্চিমা দেশগুলো পাকিস্তানের ওই দাবিকে বিশ্বাস করেনি এবার তো প্রমাণ হাতেনাতেই। কয়েক মাস আগেই সাজিদকে লাহোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ডেরা গাজি খানে জেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। তবে বিষপ্রয়োগের পর সন্ত্রাসবাদীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং আইএসআই দ্বারা এয়ারলিফট করে সিএমএইচ বাহাওয়ালপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে সে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছে বলে খবর।

হঠাত করে ISI কেন উদ্ধার করতে এল? কোনও প্রমাণ ঢাকতে নাকি? ওয়াকিবহাল মহল বলছে খালিস্তানি ইস্যুতে একেই ভারতের ওপর চাপ তৈরি করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তান কি এটা চেয়েছিল যে এই সাজিদ মীরের ক্ষেত্রেও ভারতের কাঁধে দোষ চাপাতে। যাতে বলা যায় এই খুনের চেষ্টার নেপথ্যেও ভারতেরই হাতে আছে। আশঙ্কা, অনুমান উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না একেবারেই। জানা গেছে,২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে সেন্ট্রাল জেল ডেরা গাজি খানের এক রাঁধুনি হঠাত্‍ নিখোঁজ হয়ে যায়। সন্ত্রাসী সাজিদ মীরের ব্যক্তিগত রাঁধুনি হিসাবে সে কাজ করছিল। পাকিস্তানি এজেন্সি তাকে ধরার চেষ্টা করছে। এখানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লস্কর-ই-তৈয়বা সন্ত্রাসী সাজিদ মীরকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হিসাবে মনোনীত করার জন্য গত জুন মাসে জাতিসংঘে প্রস্তাব পেশ করেছিল ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু চীনের বাধায় তা সম্ভব হয়নি।

রাষ্ট্রপুঞ্জে নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ আল কায়েদা নিষেধাজ্ঞা কমিটির অধীনে। সাজিদ মীরকে একজন বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসাবে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য ভারত ও আমেরিকার উদ্যোগে জল ঢেলে দেয় চীন।২৬/১১ মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলায় তার ভূমিকার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মাথায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কারও রেখেছে। তাই আমেরিকা দ্বারা ভারতের ওপর এক্ষেত্রে চাপ তৈরি করা সম্ভব নয় কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কে মারতে চাইল সাজিদ মীরকে? সত্যিটা সামনে আসবে কি কোনওদিনও।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version