Bangladesh: নির্বাচনের আগে চার দেশ সফর, মনোমালিন্য মিটবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে! মাস্টারস্ট্রোক শেখ হাসিনার

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh: সামনেই বাংলাদেশের নির্বাচন। টানটান উত্তেজনা। এরই মাঝে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন শেখ হাসিনা! এখন আন্তর্জাতিক ময়দানে যে দেশের খবরগুলো একটু বেশি ঘুরছে, যেমন ইউক্রেন রাশিয়া তাইওয়ান চীন যুক্তরাষ্ট্র পাশাপাশি বারংবার চলে আসছে বাংলাদেশের নাম। দেশটা গণতান্ত্রিক। নির্বাচনও তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু এই নির্বাচন এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? নেপথ্যে কাজ করছে, বিশ্ব ভূ-রাজনৈতিক পরিকল্পনা। নির্বাচনের আগে তিন মাসে চার দেশ সফর করতে চলেছেন শেখ হাসিনা। এটা তাঁর মাস্টার প্ল্যান নয় তো? তাহলে কি নির্বাচনের আগে দেশটা নিজেদের ঘুঁটি মজবুত করতে চাইছে? যুক্তরাষ্ট্র সফরে কি মিটে যাবে সব মনোমালিন্য?

বাংলাদেশের কাছে জুলাই আগস্ট আর সেপ্টেম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতালি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত আর যুক্তরাষ্ট্র সফরে শেখ হাসিনার গেম প্ল্যান কেমন হবে? আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন, কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রীতিমত ভিসা ইস্যুতে জোর গলায় বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর যুক্তরাষ্ট্র সফরের তুমুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু কেন? তাহলে কি তিনি সম্পর্ক মেরামত করতে চাইছেন? নির্বাচনের আগে চার দেশের সফর ভীষণ ভীষণ ভাইটাল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র ভারত আর চীনের সঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। শেখ হাসিনা দেখা করতে পারেন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সরকার প্রধানের সঙ্গে।

যুগান্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাইতে ইতালির ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনে একটা কনফারেন্স হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে যোগ দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত চীন সহ জাতিসংঘের বহু সদস্য রাষ্ট্র। আর আগস্টের শেষের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছে ব্রিকস সম্মেলন। এক টেবিলে বসতে পারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ,চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সহ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন । তাহলে বুঝতেই পারছেন, এই সময়ে শেখ হাসিনার বিদেশ সফর ঠিক কতটা ইম্পর্ট্যান্ট । সোজা কোথায়, তার এই সফর বৈদেশিক সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ার সমান। এখানেই বিষয়টা থেমে নেই। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে রয়েছে ভারতের জি-টোয়েন্টি সম্মেলন। সেখানে যোগ দেয়ার পর তৃতীয় সপ্তাহে রয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন। তখন শেখ হাসিনা যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে। এই যে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সরকার প্রধানদের সাক্ষাৎ হবে, সেখানে কোন কোন বিষয়ের স্থান পেতে পারে? এই নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। তবে অবশ্যই দেশটির জাতীয় স্বার্থ আগে থাকবে।

একটু খেয়াল করে দেখবেন, বিনিয়োগ থেকে শুরু করে দ্বিপাক্ষিক নানান সম্পর্কের ক্ষেত্রে চীন এবং ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বেশ মজবুত। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের একটু অবনতি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সম্পর্কে ফাটল ধরার কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে জো বাইডেন আর নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে আলোচনায় পাকিস্তান আফগানিস্তান মিয়ানমার গুরুত্ব পেলেও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে কোন খবর পাওয়া যায়নি। আশ্চর্যের বিষয়। আঞ্চলিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে অথচ সেখানে বাংলাদেশ নেই। কেন বলুন তো? নাকি দুই রাষ্ট্র এই নিয়ে কোন কথাই বলতে চাইছে না? যেখানে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশের এত গুরুত্ব। এখানে যেমন প্রশ্ন রয়েছে, তেমনি ধারণা করা যাচ্ছে, বাংলাদেশ নিয়ে ভারত আর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি আলাদা। সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করলেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অটুট রেখেছে। তাই আগামী দিনে শেখ হাসিনার সফরে বেশ কিছু সুফল মিললেও মিলতে পারে। নতুন সম্ভবনা রয়েছে বাংলাদেশের জন্য।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version