।। প্রথম কলকাতা ।।
World Tuberculosis Day: বিশ্বের দশটি মৃত্যুর কারণের মধ্যে অন্যতম যক্ষ্মা। যক্ষার জন্য দায়ী মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৮৮২ সালের ২৪শে মার্চ। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন বিজ্ঞানী রবার্ট কোচ। প্রতিবছর এই দিনটিকে স্মরণ করে গোটা বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় যক্ষ্মা দিবস (World Tuberculosis Day)। যক্ষ্মার সাধারণ লক্ষণ গুলির মধ্যে রয়েছে জোরে শ্বাস নিলে বুকে ব্যথা, একদম খিদে কমে যাওয়া, কাশির সঙ্গে রক্তপাত, হঠাৎ রোগা হয়ে যাওয়া, জ্বর, ক্লান্তি প্রভৃতি।
যক্ষ্মা একেবারেই নতুন রোগ নয়, সেই প্রাচীন কাল থেকে মানুষের মনে এই রোগ নিয়ে নানান আতঙ্ক রয়েছে। বিশ্বের বেশ কিছু দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা অত্যন্ত বেশি। যক্ষ্মা দ্রুত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। যে ব্যক্তির যক্ষ্মা রয়েছে তার প্রতিবার হাঁচি কাশির সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ড্রপলেট বার হয়, যা বাতাসে উড়ে বেড়ায়, তবে মনে রাখা উচিত যক্ষ্মা রোগ আর সংক্রমণ এক নয়। পরিসংখ্যার অনুযায়ী ১৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী সবার শরীরের ভেতরে কম বেশি যক্ষ্মার জীবাণু আছে। কিন্তু সবাই রোগে ভোগেন না। এই রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে যারা তাদের শরীরে বিশেষ কিছু লক্ষণ দেখা দেবে।
কারা যক্ষ্মার ঝুঁকিতে রয়েছেন?
- যারা প্রতিনিয়ত ক্যানসারের ওষুধ খাচ্ছেন
- ডায়াবেটিস রয়েছে
- অপুষ্টির শিকার
- নোংরা এলাকায় থাকেন
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম
যদি কাশি, কফ ওঠা, কাশি কিংবা কফের সাথে রক্ত, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যাথা, হঠাৎ করে শরীর দুর্বল হওয়া, খাওয়ার প্রতি অরুচি, শরীর খুব ঘামা এই ধরনের লক্ষণগুলি দেখা দেয়, তাহলে বিষয়টিকে একেবারেই অবহেলা করবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। এই রোগে আতঙ্কের কিছু নেই। সঠিক নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা করালে যক্ষ্মা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।
বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ মানুষ এখনো যক্ষ্মা রোগে ভোগেন। আশ্চর্যের বিষয় হল, বহু দরিদ্র দেশের মানুষ জানেন না এই রোগ নিরাময়যোগ্য। যার কারণে বছরের পর বছর ধরেও এই রোগ সঠিকভাবে শনাক্ত করা যায় না। চিকিৎসা শাস্ত্রে উন্নতির জোয়ার আসলেও সম্পূর্ণভাবে যক্ষ্মার বিপদ নির্মূল করা যায়নি। সচেতন আর সতর্কতার অভাবে যক্ষ্মা এখনো গোটা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই রোগ সম্পর্কিত সতর্কতা এবং সচেতনতা করতে প্রতিবছর ২৪ শে মার্চ পালন করা হয় বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। ২০১৯ সালে গোটা বিশ্বের যক্ষ্মা সংক্রান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই রোগের বিরুদ্ধে চলা লড়াইয়ে ভারত অনেকটা সাফল্য পেয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম