Delhi Murder Case: আফতাবের বিরুদ্ধে ‘থার্ড ডিগ্রি’ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, নির্দেশ আদালতের

।। প্রথম কলকাতা।।

Delhi Murder Case: কখন যে কে কাছের মানুষ থেকে শত্রুতে পরিণত হয়, তা বোঝা দায়। আর তার সব থেকে বড় উদাহরণ দিল্লি হত্যাকাণ্ড। এবার শ্রদ্ধা খুনে অভিযুক্ত আফতাবের বিরুদ্ধে কোনওরকম থার্ড ডিগ্রির ব্যবহার করা যাবে না, জানিয়ে দিয়েছে রাজধানীর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। সেইসঙ্গে পুলিশকে পাঁচ দিনের মধ্যে অভিযুক্তের নারকো টেস্টের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ধরা পরার পর থেকেই বারবার নিজের বয়ান পাল্টাচ্ছে আফতাব। পুলিশকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে অভিযুক্ত, অভিযোগ এমনটাই। তবে নারকো টেস্ট হলে ঘটনার সত্যতা সামনে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে মেয়ের হত্যাকাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বাবা বিকাশ ওয়াকার। তিনি মেয়ে শ্রদ্ধার খুনের দায় শুধু আফতাবই নয়, তার পরিবারের উপরও চাপিয়েছেন। তাঁর কথায়, শ্রদ্ধার খুনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আফতাবের পরিবার। পাশাপাশি অভিযুক্তকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ভালোবেসে বেঁচে ও মরার অনেক শপথ নিশ্চয়ই শুনেছেন, কিন্তু ভালোবাসা যখন ঘৃণাতে পরিণত হয়, তখন ফল কী হয়? প্রেমে পড়ে কি কেউ দানব হতে পারে? উত্তর, ‘হ্যাঁ’ হতে পারে। কারণ এমনই ঘটনা সামনে এসেছে দিল্লিতে। যা সকলকে অবাক করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, আফতাব পুনাওয়াল্লা বান্ধবী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। শুধু খুন নয় তারপর তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করে এই লিভ-ইন পার্টনার এবং পরে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় তা ছড়িয়ে দেয়। ১৮ দিন ধরে এই কাজ করে গিয়েছে সে। এদিকে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে শুধুমাত্র আফতাবের জন্য দিল্লি আসেন শ্রদ্ধা। আর তার পরিণতি হল এই।

কল সেন্টারে চাকরিসূত্রে আলাপ হয় দু’জনের। আফতাব ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় শ্রদ্ধার পরিবার রাজি ছিল না তাঁদের সম্পর্কে। আর তারপরেই একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রদ্ধা ও আফতাব। দিল্লির মেহেরৌলিতে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকছিলেন দু’জনে। আর তারপরই ঘটল এই মর্মান্তিক ঘটনা। বিগত কয়েকদিনে বহু তথ্য সামনে এসেছে আফতাবকে ঘিরে। আর এদিকে লাভ জিহাদের অভিযোগ তুলেছেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ। এই ঘটনা গোটা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version