।। প্রথম কলকাতা ।।
Balakot Air Strike: ২০১৯ সালের শুরুতে ভারত- পাকিস্তান দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়ে ওঠে। ভারতের পুলওয়ামায় (Pulwama Attack) জওয়ানদের গাড়ির উপর আত্মঘাতী জঙ্গির বোমা হামলার জবাবে আরও কড়া সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় বিমান বাহিনী (Indian Air Force)। তাঁরা ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজকের দিনে জেট বিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে। আর তারপর প্রতিশোধ হিসেবে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানের বালাকোটে। ভারতের ইতিহাসে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক (Balakot Air Strike) এখনও পর্যন্ত রোমহর্ষক একটি ঘটনা।
ঘটনার সূত্রপাত অবশ্য ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেই দিন জম্বু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় জম্বু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে সেনা জওয়ানদের গাড়িতে এক আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা করে। সেই হামলায় প্রাণ হারান ৪৯ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স কর্মী এবং আক্রমণকারী খোদ। সেই ঘটনায় গর্জে ওঠে গোটা দেশ। তারপর ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ১২ টি মিরাজ ২০০০ জেট বিমান আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। তাঁরা বালাকোটের (Balakot) একটি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালায়। সেই ঘাঁটিটি জইশ- ই- মহম্মদ পরিচালিত ছিল বলে জানা যায়।
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব সেই সময় ভারতের এই বিমান হামলাকে অসামরিক স্বতপ্রণোদিত বিমান হামলা বলে অভিহিত করেছিলেন। ভারতীয় গণমাধ্যম অনুসারে, ভারতীয় বিমানের ওই হামলায় জঙ্গি ঘাঁটির প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জন নিহত হয়। কিন্তু পাকিস্তানের মতে, ভারতীয় জেট বিমান গুলি আকাশ সীমা লঙ্ঘন করার পর পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়। যার ফলে বাধ্য হয়ে ভারতীয় বিমানকে ফিরে যেতে হয়। তাঁরা সেই সময় পেলোড ফেলে দেয় পাকিস্তানের মাটিতে। যদিও তাতে কোন প্রাণহানি কিংবা ক্ষতি হয়নি বলেই দাবি করা হয় পাকিস্তানের তরফ থেকে।
২৬ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর তরফ থেকে ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করা হয়েছিল। কিন্তু ভারতের বিমানবাহিনীর মিগ ২১ বাইসন পাকিস্তানের এফ ১৬ এসকে ধাওয়া করে। তাদের একটি এফ ১৬ এস ভূপতিত হয়। একই সঙ্গে ভারতের বিমানবাহিনীর মিগ ২১ বাইসনও পাকিস্তানের মাটিতে পতিত হয়। ফলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আটক করে বাইসনের পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে (Avinandan Varthaman)। কিন্তু ১ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতের চাপের মুখে মুক্তি দেয় ওই পাইলটকে। বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকে ভারতের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল , তাঁরা সন্ত্রাসী শিবির ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। কিন্তু পাকিস্তানের তরফ থেকে দাবি করা হয়, জনবসতিহীন বনাঞ্চলে বোমা পড়েছিল। তাই কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম