গাজার হাসপাতালে হামলায় বড় পাল্টি যুক্তরাষ্ট্রের! ইজরায়েল ভয় পেয়েছে, ছবি দেখে বিশ্ব হতবাক

।। প্রথম কলকাতা ।।

গাজার হাসপাতালে বড় অ্যাটাক ইজরায়েলের নতুন খেলা। হামলার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপালো তেল আভিভ? আমেরিকার অবস্থান জটিল হয়ে যাচ্ছে। আরও ৫০০ জন স্পটডেথ গাজায় অবস্থা করুণ। বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠছে। আমেরিকার কথা যেন কানেও তুলছেন না নেতানইয়াহু কিন্তু সেটা প্রকাশ্যে বলার সাহসও নেই ইজরায়েলের। এবার গাজার হাসপাতালের ওপর বড়সড় হামলা। কিন্তু হামলা করেও দায় স্বীকার করল না ইসরায়েল। চাপিয়ে দিল ইসলামিক জেহাদ গোষ্ঠীর ওপর। ইসলামিক জেহাদ গোষ্ঠী কারা? কীভাবে হামলা চালানো হল জানেন? গাজার হাসপাতালের করুণ- মর্মান্তিক-ভয়াবহ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ভাইরাল হচ্ছে। গোটা বিশ্ব দেখতে পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক। মঙ্গলবার রাতে মধ্য গাজার আল–আহলি আরব নামের হাসপাতালে এ হামলা চালানো হয় এর আগে ইসরায়েলি হামলায় আহত শত শত রোগী ও গৃহহীন অসংখ্য বাসিন্দা নিরাপদ ভেবে ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। শয়ে শয়ে আহত প্যালেস্তানীয় মানুষের চিকিৎসা চলছিল সেখানে।

হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাসপাতালে বোমা হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকে হামলার ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাইডেন সতর্ক করেছিলেন গাজা নিয়ে নেতানইয়াহুকে কিন্তু কে শুনল কার কথা৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি ঠিক এজন্যই এই চাপে পড়েই ইজরায়েল গাজার ইসলামিক জেহাদ গোষ্ঠীর ওপর হামলার দায় চাপাচ্ছে। ইসলামিক জেহাদ গোষ্ঠী গাজার অপর একটি সশস্ত্র গ্রুপ এটা দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র গ্রুপ বলে পরিচিত। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য মোটামুটি ১৯৮০ সাল নাগাদ এই জঙ্গি গোষ্ঠী মাথাচাড়া দেয়। একাধিক রিপোর্ট বলছে এরাও ইরানের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা পায়। ইজরায়েল ও আমেরিকা উভয়ই এই ইসলামিক জেহাদকে জঙ্গি গোষ্ঠী বলে উল্লেখ করে।

NTY রিপোর্ট বলছে, হামাস আর ইসলামিক জেহাদ উভয়ই সশস্ত্র অবস্থায় থাকে। আগেও এরা একসঙ্গে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লড়েছে এমন নজিরও রয়েছে। আবার অনেক সময় সামনে থাকে জেহাদ আর সাইডলাইনে থাকে হামাস কিন্তু গাজারই সংগঠন হলে গাজা ওপরই কেন হামলা করতে যাবে ইসলামিক জেহাদ গোষ্ঠী? হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি ইজরায়েলই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে পাল্টা ইহুদি রাষ্ট্রের দাবি এটা মিস ফায়ার। এর পেছনে ইসলামিক জেহাদ গোষ্ঠী রয়েছে। মিশরের প্রেসিডেন্ট বলছেন হাসপাতালে হানা এটা আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী এটা মানবতার বিরোধী। কূটনৈতিক মহলের দাবি আমেরিকার এবার ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানো কি কঠিন হয়ে যাবে? বাইডেন মুখে যতই হুঁশিয়ার হুঙ্কার দিন না কেন ২০০০ আমেরিকার সেনার ট্রুপ মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েলের সমর্থনে। তবে বর্তমানে গাজার অবস্থা নাড়িয়ে দিচ্ছে গোটা বিশ্বকে‌।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version