Asafoetida Farming: ভারতে কদর বেশি এই সুগন্ধি মশলার, কৃষকদের মুনাফা দিতে পারে হিং চাষ

।। প্রথম কলকাতা।।

Asafoetida Farming: ভারতীয় উপমহাদেশের বহু খাবারে একটি সুগন্ধি মশলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে । যা খাবারের স্বাদ বদলে দিতে ঠিক ম্যাজিকের মতো কাজ করে । এটি হিং ( Asafoetida) নামে পরিচিত । এমনিতেই ভারতীয় খাবারে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি মশলা ব্যবহার করা হয়। বলতে গেলে বিভিন্ন ধরনের মশলা (Various Spice) ব্যবহার করা হয়। তবে তার মধ্যে ভারতে (India) সর্বশ্রেষ্ঠ স্থানে রয়েছে হিং। কিন্তু জানলে অবাক হবেন হিং ভারতে সেই ভাবে উৎপাদিত হয় না। আফগানিস্তান, তুর্কি এমনকি কাজাকিস্তান থেকেও ভারতে হিংয়ের আমদানি করা হয়।

জানা যায়, আফগানিস্তান থেকে হিংয়ের বীজ এনে বৈজ্ঞানিকভাবে পালামপুরের হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ বায়োস্যাম্পল্ড টেকনোলজির (HIBT) পরীক্ষাকারে গাছ তৈরি করা হয়েছিল । আর তারপর ভারতের হিমাচল প্রদেশের লাহৌল স্পিতি ও কন্নৌর নামক স্থানগুলিকে হিং চাষ করার জন্য বেছে নেওয়া হয়। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে মাত্র সাত জন কৃষককে হিং এর বীজ দেওয়া হয়েছিল । যদিও ভারতে এখনও পর্যন্ত বহু পরিমাণে হিং চাষ করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু ভারতে হিংয়ের চাহিদা অত্যন্ত বেশি তাই এই মশলার জন্য অন্য দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চায় না ভারত। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী , বাইরের দেশগুলিতে যত পরিমানে হিং চাষ করা হয় তার ৪০ শতাংশ হিং ভারতীয় উপমহাদেশেই ব্যবহার করা হয়।

এখনও পর্যন্ত ভারতের প্রথম হিং উৎপাদনকারী রাজ্য হিসেবে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) নাম উঠে আসে। তাই এই চাষ ক্রমশ বাড়তে থাকলে অবশ্যই কৃষকরা লাভের মুখ দেখতে পাবেন। সারাদেশ জুড়ে যখন বৃহত্তর স্তরে হিং চাষের চিন্তাভাবনা করা হবে তখন তা বাইরে থেকে আমদানি করার প্রয়োজন পড়বে না। দেশের যতটুকু প্রয়োজন তা মেটানোর পরেও যদি কিছু থাকে তা রপ্তানি করার চিন্তাভাবনা করা যাবে।

* কীভাবে তৈরি হয় হিং ?

হিং কিন্তু সরাসরি গাছ থেকে আসে না। এই হিং গাছ অনেকটা গাজর প্রজাতির হয় । গাছটি ছোট আকৃতির হয় , এক একটি গাছ প্রায় পাঁচ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। আর সেই এক একটি গাছ থেকে খুব বেশি হলে ১ লিটার হিং তৈরি করার ওলিও-গাম নামক রেজিন নির্গত হয় । তা থেকেই পরবর্তীতে তৈরি করা হয় হিং, যার গন্ধ অত্যন্ত মনোমোহক ।

হিং তৈরির প্রক্রিয়া থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই সুগন্ধি মশলাটি অত্যন্ত মূল্যবান। তাই বাজারে যে সকল হিং রোজদিন পাওয়া যাচ্ছে সেগুলি বহু অশুদ্ধিতে ভরা থাকতে পারে। যে কোন সাধারণ হিংয়ের সঙ্গে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ আটা মিশিয়ে দেওয়া হয়। আর তারপর তৈরি করা হয় স্বল্পমূল্যের হিং এতে এক দিকে যেমন ব্যবসায়ীর লাভ হয় তেমনই লাভ হয় কৃষকদের। হিং গাছ চাষ করার জন্য শীতল এবং শুষ্ক আবহাওয়া অনুকূল বলে মনে করা হয় । যার ফলে ভারতের হিমালয় অঞ্চলের শীতল মরুভূমিকে বেছে নেওয়া হয়েছে চাষের জন্য।

পালামপুরের হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ বায়োস্যাম্পল্ড টেকনোলজির ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমারের মতে, ভারত প্রতিবছরের আফগানিস্তান ,ইরান , উজবেকিস্তানের মত দেশ গুলি থেকে কাঁচা হিং আমদানি করে প্রায় ১৫৪০ টন যার বাজার মূল্য ৯৪২ কোটি টাকা। ভারতের বাজারে যেহেতু হিংয়ের চাহিদা ভীষণ তাই এই মশলা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতকে আত্মনির্ভর হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version