Lok Sabha Election 2024: বছর ঘুরলেই লোকসভার ‘ফাইনাল ম্যাচ’, প্রার্থী তালিকায় চমক আনতে বড় সিদ্ধান্ত মোদী-শাহের!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Lok Sabha Election 2024: বছর ঘুরলেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনকেই এখন পাখির চোখ করেছে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল। গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে জোর ঝটকা দিয়ে বড়সড় সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালে রাজ্যে তখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৩। তবে লোকসভায় তারা ছিনিয়ে নিয়েছিল ১৮টি আসন। তবে এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের সাংসদদের প্রার্থী করা নিয়ে বড়সড় আপডেট দিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। ২০১৯ সালেও যে সব সাংসদ জয় পেয়েছেন, তাঁরা চব্বিশের নির্বাচনে দলের টিকিট পাবনে কি না তা নিয়ে চিন্তায় থাকবে। শুধু বাংলার ক্ষেত্রেই নয়, এই সমীক্ষা বেশ চাপের গোটা দেশের বিজেপি সাংসদদের কাছেই। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ যেতে পারেন কোন কোন সাংসদ সেই নিয়ে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে। কানাঘুষো খবর পাওয়া যাচ্ছে, ১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সময়েও বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ১০৪ জন সাংসদ বাদ পড়েছিলেন। এ বারও সাংসদের নাম বয়স ও কাজের নিরিখে বাদ পড়ার লাল খাতায় সেঞ্চুরি ছুঁতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সবথেকে ইন্টারেস্টিং বিষয় হল সদ্য হয়ে যাওয়া ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনে ২১ জন সাংসদকে প্রার্থী করেছিল গেরুয়া শিবির। শুধু প্রার্থী করায় নয় এঁদের মধ্যে অনেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। আর এই ২১ জনের মধ্যে ১২ জন জয়লাভ করে ইতিমধ্যেই বিধায়ক হয়ে গিয়েছেন। হেরে যাওয়ার তালিকায় রয়েছেন ৯ জন। চব্বিশের লোকসভা নির্বকাহ্নে এঁদের কাউকেই আর প্রার্থী করা হবে না। নতুন প্রার্থী খোঁজা হবে ওই সব আসনে।

এবার আসা যাক তাবড় তাবড় নেতাদের কেন বাদ পড়তে হতে পারে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের জন্য। এর কারণ হিসাবে যেটা মনে করা হচ্ছে, কেউ বাদ পড়বেন বয়সের জন্য। কেউ সাংসদ হিসেবে প্রত্যাশামাফিক কাজ করতে না পারার অভিযোগে। ব্যতিক্রম অবশ্যই কেউ কেউ থাকলেও, মূলত ৭৫ বছরের বেশি বয়স্ক আর কাউকেই প্রার্থী করা হবে না। আবার যেটা খবর পাওয়া যাচ্ছে , এই দুই কারণ না থাকা সত্বেও অন্য কোনো এক কারণে বাদ পড়ার তালিকায় থাকতে পারেন গান্ধী পরিবারের দুই সদস্য মেনকা ও তাঁর পুত্র বরুণ, দিল্লির গৌতম গম্ভীরও বাদ পড়ার তালিকায় থাকতে পারেন। পাশাপাশি যে সব সাংসদ বহু বছর ধরে জিতে আসছেন, সেইখানেও মুখ বদলের সম্ভাবনা রয়েছে।

এখনো নির্বাচনের বাকি কম করে ২-৩ মাস, নির্বাচনের আগেই কিন্তু ভোটাভুটি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। যার নেতৃত্বে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। ‘নমো’ অ্যাপের মাধ্যমেই শুরু হয়েছে এই ভোটাভুটি। বিজেপি সাংসদদের সেই ভোট নিয়ে বেশ চিন্তায় ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই অ্যাপের মাধ্যমেই কাজ ও জনপ্রিয়তা যাচাই করা হচ্ছে দেশের সব সাংসদের। এই নমো অ্যাপের শুরু করা সমীক্ষার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জন মন সমীক্ষা’। সাংসদকে নিয়ে ‘অখুশি’, ‘অল্প খুশি’ না কি ‘খুব খুশি’ সবই জানানো যাচ্ছে। শুধু মাত্র ভোটাভুটি করেই বিজেপি নেতা কর্মীরা যে ছাড় পাবেন তা কিন্তু নয়। বিজেপির নেতা-কর্মীদের বলতে হবে মোদী সরকারের বিদেশনীতি থেকে অর্থনীতি, কর্মসংস্থানের উদ্যোগ থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা … কোন কাজ কাকে বেশি প্রভাবিত করেছে। জানাতে হচ্ছে কে কেন্দ্রের কোন কোন প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version