Mouni Roy: পেটে যেতনা খাবার, মৌনীর জন্য বরাদ্দ ছিল ৩০টি ট্যাবলেট আর ইঞ্জেকশন! কেন জানেন?

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Mouni Roy: টানা ৩ মাস শয্যাশায়ী ছিলেন গ্ল্যাম ডল মৌনী রায়। গলা দিয়ে নামতোনা খাবার, খেতেন খালি কাঁড়ি কাঁড়ি ওষুধ‌। বরাদ্দ ছিল ৩০টা ট্যাবলেট, সোজা হয়ে দাঁড়াতেও পারতেন না অভিনেত্রী। কেরিয়ারের শুরুতেই শেষ হতে চলেছিল জীবন! জানেন কী হয়েছিল বঙ্গতনয়া মৌনীর? কোন ভয়ানক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি? সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুললেন খোদ নায়িকা।জানালেন নিজের জীবনের সেই দুর্বিসহ দিনের কথা।

 

সিনেপাড়ার অন্যতম চর্চিত নাম মৌনী রায়। বেশকিছু হিট ধারাবাহিক দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। আর এখন তো তিনি বলিউডের গ্ল্যাম ডিভা। অভিনয় থেকে আইটেম ডান্স, সবেতেই হাঁকিয়েছেন ছক্কা। বয়স চল্লিশ‌ ছুঁই ছুঁই হলেও শরীরের গড়ন দেখে তা বোঝা দায়। জানেন, এই মৌনীই নাকি একটা সময় খেতেন কেবল কাঁড়ি কাঁড়ি ওষুধ। রোজ নিতে হত ৩০টি করে ট্যাবলেট আর ইঞ্জেকশন। জানেন কী হয়েছিল অভিনেত্রীর?

 

ছিপছিপে গড়নের মৌনী আজ অনেকেরই স্বপ্নসুন্দরী। বঙ্গতনয়া বরাবরই সকলের নজর কেড়েছেন তার বোল্ড লুকের সৌজন্যে। কটাক্ষও কম হয়না। কখনও তার ফিগার তো কখনও আবার চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তার প্লাস্টিক সার্জারি। মৌনীকে নিয়ে বরাবরই চর্চা থাকে তুঙ্গে। তবে জানেন কী, কেরিয়ার শুরুর আগেই জীবন প্রায় শেষ হতে বসেছিল মৌনীর! ঘটে গেছিল ভয়ঙ্কর অঘটন।

 

এই ঘটনাটি ঘটে মৌনীর কেরিয়ারের শুরুর দিকে। তখনও নাগীন ধারাবাহিকের অফার আসেনি তার কাছে। সেই সময় রিয়েলিটি শো ‘ঝলক দিখলাজা’ সিজন ৯-এর প্রতিযোগী ছিলেন তিনি।‌ এই রিয়েলিটি শো-র দৌলতে জনপ্রিয়তা মিলেছিল ঠিকই, তবে সেই সঙ্গে শেষ হতে বসেছিল তার জীবনও। ঘটে গেছিল ভয়ঙ্কর দূর্ঘটনা। যার জেরে নিতে রোজ নিতে হত ৩০টি করে ট্যাবলেট আর একাধিক ইঞ্জেকশন।

 

পেটে খাবারটাও যেতনা। বেঁচেই ছিলেন কেবল ওষুধের ভরষায়। সেই সময় সোজা হয়ে দাঁড়াতেও পারতেন না মৌনী। শারীরিকভাবে রীতিমত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন অভিনেত্রী।

 

আসলে ‘ঝলক দিখলাজা’র পরেই শিরদাঁড়ার এল-৪ ও এল-৫ নড়ে গিয়েছিল মৌনীর। হাঁটাচলা তো দূর, সোজা হয়ে দাঁড়াতেও পারতেন না তিনি। ওজন বেড়ে গিয়েছিল। প্রায় তিন মাস শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। সেইসব দিনের বর্ননা দিতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘ওজন বেড়ে গিয়েছিল। সেই সময় আমাকে ৩০টা ওষুধ আর একাধিক ইনজেকশন নিতে হত। শিরদাঁড়ায় এপিডুরাল নিতে হত মাঝে মধ্যে। খুবই খারাপ সময় ছিল আমার জীবনের। প্রায় ৩ মাস আমি শয্যাশায়ী ছিলাম। এর পরেই নাগিনের ডাক পাই।’

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version