।। প্রথম কলকাতা ।।
তিনি শাড়ি পরেন সবসময়। অথচ গত ২৪ বছর তা কেনেননি একটিও। তিনি ইনফোসিস কর্ত্রী সুধা মূর্তি। এক ডাকে তাঁকে চেনেন গোটা বিশ্ব। বহু কোটি টাকার মালকিন তিনি। তবুও কেনেন না একটি শাড়িও। তাহলে এতো টাকা নিয়ে কি করেন তিনি? শাড়ি না কিনলেও একটা বিষয়ে তাঁর শখ বরাবরের। সেই শখের কথা জানলে হাঁ হয়ে যাবেন যে কেউ। ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির মতো তাঁর স্ত্রী সুধা মূর্তিও ভারত তথা গোটা বিশ্বেই পরিচিত একটি নাম। তাঁর আরও একটি পরিচয় তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের শাশুড়ি৷ নসুধা মূর্তি বর্তমানে ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন৷ এ ছাড়াও সমাজকর্মী, লেখক, শিক্ষিকা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর৷ ২০০৬ সালে সমাজসেবার জন্য পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন সুধা মূর্তি৷ ২০২৩ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে তাঁকে৷
ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন সুধা মূর্তি৷ এছাড়াও ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অফ সায়েন্স থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি রয়েছে তাঁর৷ ১৯৯৬ সালে ইনফোসিস ফাউন্ডেশন স্থাপন করেন সুধা মূর্তি৷ মূলত সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে এই প্রতিষ্ঠানটি৷ সুধা মূর্তি টাটা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লোকোমোটিভ কোম্পানি বা টেলকো-র প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেও কাজ করেছেন৷ একাধিক জনপ্রিয় বইয়ের লেখিকাও সুধা মূর্তি৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সুধা মূর্তি মোট ৭৭৫ কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারী৷ মূলত তাঁর লেখা বই, ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের রয়্যালটি থেকেই উপার্জন হয় তাঁর৷ সুধা মূর্তির বার্ষিক আয় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বলেও বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে৷
সুধা মূর্তিকে সবসময়ই শাড়ি পরতে দেখা যায়। কিন্তু গত ২৪ বছরে নতুন কোনও শাড়ি কেনেননি তিনি৷ এর পিছনে অবশ্য বিশেষ একটি কারণ রয়েছে৷ সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪ বছর আগে শেষ বার শাড়ি কিনেছিলেন সুধা মূর্তি৷ কারণ হিসেবে সুধা মূর্তি জানিয়েছিলেন, হিন্দু ধর্মে কাশী গিয়ে নিজের সবথেকে পছন্দের একটি জিনিস ত্যাগ করে আসতে হয়৷ সুধা মূর্তি কাশীতে গিয়ে কেনাকাটা বিশেষত শাড়ি কেনার অভ্যাস ত্যাগ করেছিলেন৷ এর পর থেকে নিজের আত্মীয়, বন্ধুদের থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া শাড়িই পরেন সুধা মূর্তি৷
শুধু শাড়িই নয়, একান্ত আবশ্যিক ছাড়া কোনও কিছুই কেনেন না তিনি৷ সুধাা মূর্তি জানিয়েছেন, অন্য জিনিস না কিনলেও প্রচুর সংখ্যায় বই কেনেন তিনি৷ তাঁর কাছে কুড়ি হাজারেরও বেশি বই রয়েছে৷ তাঁর বইয়ের সম্ভার অনেক বড় লাইব্রেরিকেও টেক্কা দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম