।। প্রথম কলকাতা ।।
পিওকে ওপর এবার হামলা। বদলা হবে অনন্তনাগের। পাকিস্তানকে পুরোপুরি একা করে দেবে ভারত কীভাবে জানেন? অনন্তনাগে জঙ্গিদের হাতে কারা শহীদ হলে পরিচয় জানতে হবে। যদি আপনি একজন ভারতবাসী হন ইন্ডিয়ান আর্মির পাল্টা বদলা কতটা ভয়ঙ্কর এখনও কি উপত্যকায় সক্রিয় নেটওয়ার্ক লস্করের? একটা জঙ্গিদমন অভিযান, একটা অপারেশন আর এবার পিওকে নিয়ে পাকিস্তান তড়পাবে। পাকিস্তানকে কেউ বাঁচাতে পারবে না ভারতের প্রতিশোধের থেকে। অনন্তনাগ এনকাউন্টারে ৩ জওয়ান শহিদ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বদলা আগুন বাড়ছে দেশে। কীভাবে এর প্রতিশোধ নেবে ইন্ডিয়ান আর্মি? ঠিক কী ঘটেছিল মঙ্গলবার উপত্যকায়?
পাকিস্তান চিৎকার করলেও হয়ত কোনও দেশ এগিয়ে আসবে না। ভারতীয় সেনার ওপর বড় হামলা। যা হয়েছে তা যুদ্ধের থেকে কিছু কম নয় একেবারেই নয় অনন্তনাগে সেনা ও জঙ্গির গুলির লড়াইতে শহিদ হন দুই সেনা কর্তা এবং এক পুলিশ কর্তা। এরপরই কড়া গলায় কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিং বলে দেন এর শীঘ্রই বিচার মিলবে এর মানে এর বদলা যে নেওয়া হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। একইসঙ্গে মোদী সরকারের মন্ত্রী বড় বয়ান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং বলে দিলেন পাকিস্তানের থেকে বদলা নিতে হলে পাকিস্তানকে একা করে দিতে হবে। এর মানে কূটনৈতিক স্তরে পাকিস্তানকে এবার চেপে ধরবে ভারত যাতে হাঁসফাঁস করে তারা।
অনন্তনাগে মিশনের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন ১২তম শিখ লাইট ইনফ্য়ান্ট্রির কর্নেল মনপ্রীত সিং। জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ দেন এই বীর জওয়ান মনপ্রীত সিং। দু সন্তানের বাবা মনপ্রীত বর্তমানে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সঙ্গে নিযুক্ত ছিলেন। পঞ্চকুলার সেক্টর ৬ এর নিবাসী মনপ্রীত সিং তাঁর শহিদ হওয়ার খবর পঞ্চকুলা শোকস্তব্ধ। সিং পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সৈনিক ছিলেন মনপ্রীত। যিনি প্রাণ দিলেন দেশরক্ষার লড়াইয়ে। ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন মেজর আশিস ধনচক। এদিকে মৃত্যু হয় এক পুলিশকর্তা ডিএসপি হুমায়ুন ভাটের। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কাশ্মীরে বসে থাকা কিছু গদ্দার।
গোটা উপত্যকা জুড়ে এখন ড্রোন চক্কর কাটছে। দুই জঙ্গিকে ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তারক্ষীরা সেই খবর পৌঁছে গেছে। সেনা অফিসাররা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলেন স্থানীয় এক এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে জঙ্গি সংগঠন রেজিসটেন্স ফোর্স সন্ত্রাসবাদীরা। এর লস্কর – ই- তৈবারই গোষ্ঠী বলে খবর। সেই মতো অভিযান চালানো হয় তারপরই গুলির লড়াই। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, এটাই হল সঠিক সময় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওপর হামলা করার। প্রথমত ভারতের ওপর এত বড় জঙ্গি হামলা। লস্কর-ই-তৈবাকে এটার পরিণতি ভুগতেই হবে। দ্বিতীয়ত পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ এখন ক্ষোভের টগবগ করে ফুটছে। পাকিস্তান সরকার ও পাকিস্তান সেনাকে তারা সহ্য করতে পারছে না। এমনকি আন্তর্জাতিক স্তরে বহু কূটনীতিবিদ পিওকে ইস্যুকে ধরে অ্যান্টি পাকিস্তান পরিস্থিতি তৈরি করছে। তাই এটাই হয়ত সঠিক সময় অ্যাকশন নেওয়ার। এবার দেখার আসলে কোন পথে কীভাবে এর রিভেঞ্জ নেয় ইন্ডিয়ান আর্মি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম